কলকাতা : দিনভর খবরে ছিল ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু দিনের শেষে এমন বিতর্কের জন্য শিরোনামে থাকবে লাল-হলুদ, সমর্থক-কর্তা সকলের কাছেই চরম অপ্রত্য়াশিত। এ দিন ইনভেস্টরদের সঙ্গে মিটিং ছিল ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের। সামনেই সুপার কাপ। এখনও অবধি এই মরসুমে ইস্টবেঙ্গলের প্রাপ্তির ঘর শুন্য়। বরং অপ্রাপ্তিই বেশি। স্বাভাবিক ভাবেই আগামী মরসুমের জন্য বেশ কিছু পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইস্টবেঙ্গল টিম ম্যানেজমেন্ট। ডুরান্ড কাপ, আইএসএলে চরম ব্যর্থতার পরও ইস্টবেঙ্গল কোচ বারাবর দায় চাপিয়েছেন ফুটবলারদের ওপর। দলে ভালো মানের ফুটবলার নেই এমনটাই দাবি করে আসছিলেন ইস্টবেঙ্গল কোচ। তাঁর পরিকল্পনায়ও যে প্রচুর গলদ ছিল, সে কথা এক বারের জন্য়ও মুখে আনেননি ইস্টবেঙ্গল কোচ। নতুন মরসুমের জন্য় দল গুছিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে নানা পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইস্টবেঙ্গল। তার মধ্যে অন্য়তম সিদ্ধান্ত কোচ বদলের। এরপরই ব্রিটিশ কোচের মন্তব্য় ব্য়পক বিতর্ক তৈরি করেছে। বিস্তারিত TV9Bangla-য়।
এ মরসুমে ইস্টবেঙ্গল কোচের নানা সিদ্ধান্তের মধ্যে ছিল সুমিত পাসির নামও। খারাপ পারফরম্য়ান্স করলেও লাগাতার তাঁকে খেলিয়ে যান স্টিফেন। একটি ম্য়াচে সুমিত পাসির আত্মঘাতী গোলও ছিল। তাঁর পারফরম্যান্স স্ক্যানারে থাকলেও কোচের অতিরিক্ত ভরসা ছিল সুমিতের ওপর। চাকরি খোয়ানোর খবর শুনেছেন কয়েক ঘণ্টা। তারপরই বিতর্কিত মন্তব্য ইস্টবেঙ্গল কোচ স্টিফেন কনস্ট্যান্টাইনের। নিজের দলের ফুটবলার সুমিত পাসিকে ক্রমাগত খেলানোর ফলে অনেক সমালোচনা শুনতে হয়েছে ব্রিটিশ কোচকে। টানা ব্যর্থতার পরও পাসিতে আস্থা রাখেন স্টিফেন। এক ভিডিও কনফারেন্সে সেই প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে বেফাঁস মন্তব্য ইস্টবেঙ্গল কোচের। ব্রিটিশ কোচ বলেন, ‘সুমিত পাসি আমার ছেলে নয়। কারণ ওর মায়ের সঙ্গে আমি কখনও দেখা করিনি।’ এরকম মন্তব্যে বিতর্কে তো জড়ালেনই, পাশাপাশি নিজের নিম্নরুচির পরিচয়ও দিলেন লাল-হলুদের ব্রিটিশ কোচ।
বোর্ড মিটিংয়ের আগে ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের বিক্ষোভ। সেখানে তোলা, ‘এটিকের মতো দল গড়তে হবে’ স্লোগান এবং পোস্টার বিতর্কের ঝড় তুলেছিল। ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের একটা বড় অংশ এই স্লোগানে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এ বার ইস্টবেঙ্গলেের বিদায়ী কোচের এমন মন্তব্য়ে সরগরম সোশ্যাল মিডিয়া।