
কলকাতা: কেরল ম্যাচের পর গোয়া ম্যাচেও হার। ঘরের মাঠে আইএসএলের (ISL) প্রথম ম্যাচেই ধাক্কা ইস্টবেঙ্গলের (East Bengal)। আইএসএলের ইতিহাসে কলকাতা থেকে প্রথমবার ৩ পয়েন্ট নিয়ে ঘরে ফিরছে এফসি গোয়া। একেবারে শেষ মিনিটে গোল হজমেই পাল্টে গেল ম্যাচের ভাগ্য। প্রথমার্ধ জুড়ে শুধুই গোয়ার দাপট। দ্বিতীয়ার্ধে সুমিত পাসি আর তুহিন দাসকে তুলে সার্থক গোলুই আর নাওরেম মহেশকে নামান ইস্টবেঙ্গল কোচ। আর তাতে পাল্টে যায় লাল-হলুদের খেলা। আক্রমণে গতি বাড়ে। গোলও হয়। কিন্তু ইনজুরি টাইমে এদু বেদিয়ার ফ্রিকিক আর রক্ষণের ভুলেই ১ পয়েন্ট হাতছাড়া।
এরপর নর্থ ইস্ট ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে ম্যাচ। ডার্বির আগে ঘুরে দাঁড়ানোর ওই শেষ সুযোগ। ম্যাচের পর কোচ স্টিফেন কনস্ট্যান্টাইন বলেন, ‘প্রথমার্ধে আমার দল একটু নার্ভাস ছিল। দ্বিতীয়ার্ধে সুহেরকে পেনাল্টি বক্সে যে ফাউল করা হয়েছিল, ওটায় ওদের গোলকিপারকে লাল কার্ড দেখানো উচিত ছিল। আমরা তাহলে কিছুটা অ্যাডভান্টেজ থাকতাম।’ এ দিনও ম্যাচের শুরু থেকে সুমিত পাসিকে খেলান কনস্ট্যান্টাইন। রাইট ব্যাকে খেলেন পাসি। দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য পাসিকে তুলে নেন স্টিফেন।
১৮ জনের দলে ছিলেন না এলিয়ান্দ্রো। ছিলেন না অনিকেত যাদবও। অনুশীলনে কাঁধে চোট পেয়েছিলেন এলিয়ান্দ্রো। তাই তাঁকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছিল। অনিকেত যাদব কেন ১৮ জনের দলে নেই তা একমাত্র কোচই জানেন। মাঝমাঠের হাল খারাপ দেখেও তা মেরামতির চেষ্টা করতে পারছেন না ইস্টবেঙ্গল কোচ। তবে ডহার্তি এ দিন খেললেন শুরু থেকে। নজরও কাড়লেন অজি মিডফিল্ডার। তবে পাস খেলার মতো পাশে কাউকে পেলেন না। নাওরেম নামতে সঙ্গ পেলেন।
স্টিফেন যতই বলুন, দল তৈরির জন্য সময় বেশি পাননি সমর্থকদের ধৈর্য্যের বাঁধ কিন্তু ক্রমশ ভাঙছে। প্রিয় দলের হার দেখার জন্য সমর্থকরা মাঠে আসেন না। ইভান গঞ্জালেজ মুখে যতই বলুন, ফুটবলটা মাঠে হয়। প্রাক্তন দলের বিরুদ্ধে তাঁর পারফরম্যান্স মোটেই সন্তুষ্টজনক নয়। যত তাড়াতাড়ি কনস্ট্যান্টাইন নিজের ভুল শোধরাবেন ততই মঙ্গল।