কলকাতাঃ অচলাবস্থা কাটল ইস্টবেঙ্গলে। তামাম লাল-হলুদ জনতা যে প্রশ্নের মরিয়া উত্তর খুঁজছিল, তা মিলল অবশেষে। আইএসএল খেলছে ইস্টবেঙ্গল। বুধবার বিকেলে নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শ্রী সিমেন্ট ও লাল-হলুদ কর্তাদের নিয়ে বৈঠকের পর বেরিয়ে আসে সমাধানসূত্র। শ্রী সিমেন্টকে সঙ্গী করেই আইএসএলে নামবে ইস্টবেঙ্গল।
অনিশ্চয়তা কাটল। কিন্তু চুক্তি জট? গত কয়েক মাস ধরে টার্ম শিট, সাতদফা শর্তাবলী নিয়ে যে দড়ি টানাটানি চলছে অবিরত, তা যেখানে দাঁড়িয়ে ছিল, সেখানেই রইল। গতবার যে প্রাথমিক চুক্তিপত্রের উপর ভিত্তি করে আইএসএল খেলেছিল ইস্টবেঙ্গল, এ বারও তাই কার্যকর থাকবে। যার অর্থ হল, ইনভেস্টর ও ক্লাবের দাবি, প্রতিবাদ, অনড় মনোভাব— সবই থেকে গেল। শুধু ফুটবল ফিরল মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে।
গত বছর সেপ্টেম্বরে নবান্নেই শ্রী সিমেন্টের সঙ্গে প্রথমবার হাত মিলিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। সেদিনও উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। আর প্রায় ১ বছর পরে মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপেই মিটল চুক্তি জটের সমস্যা। আবার হাতে হাত মিলিয়ে এগিয়ে চলার শপথ নিল দুপক্ষই। ফের শ্রী যুক্ত হওয়ার পর ইস্টবেঙ্গলের শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার মুখ্যমন্ত্রীকে কৃতজ্ঞতা জানাতে গিয়ে জানান, “খেলা হবে দিদির স্লোগান। সেটা যেন এখানেও অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠল। ধন্যবাদ দিদি।”
ইনভেস্টরের শর্তবলী মানলে ক্লাব বিক্রি করে দিতে হবে। এই যুক্তিতেই দীর্ঘকালীন প্রতিবাদের পথে হেঁটেছিলেন ক্লাব কর্তারা। আইনজীবীদের হস্তক্ষেপ, চুক্তিপত্রে শর্তাবলী বদল— নানা ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্যেও পরিস্থিতি পাল্টায়নি। উল্টে ইনভেস্টারদের তরফে স্পষ্ট বলে দেওয়া হয়েছিল, কর্তারা চুক্তিপত্রে সই করলে তবেই আইএসএল নিয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু করবেন তাঁরা। বলা যেতে পারে, ক্লাব-ইনভেস্টর জোড়াতালি সম্পর্কে দাঁড়িয়ে আইএসএল খেলবে লাল-হলুদ।
বুধবার বিকেলে ক্লাবে কার্যত যুদ্ধ জয়ের ছবি। কর্তাদের হাসিমুখই যেন বলে দিচ্ছিল, পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, নিজেদের অবস্থান থেকে সরে আসেননি তাঁরা।
প্রশ্ন থাকছে দুটো। এক, ৩১ আগস্টের মধ্যে দলবদলের কাজ শেষ করতে হবে। এত কম সময়ের মধ্যে তা কি সম্ভব? দুই, কলকাতা লিগে কি খেলতে দেখা যাবে ইস্টবেঙ্গলকে? হাতে মাত্র ৬ দিন সময়। ফুটবল মাঠে ফিরতে এ বার পাহাড় ভাঙতে হবে ইস্টবেঙ্গলকে।
কলকাতাঃ অচলাবস্থা কাটল ইস্টবেঙ্গলে। তামাম লাল-হলুদ জনতা যে প্রশ্নের মরিয়া উত্তর খুঁজছিল, তা মিলল অবশেষে। আইএসএল খেলছে ইস্টবেঙ্গল। বুধবার বিকেলে নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শ্রী সিমেন্ট ও লাল-হলুদ কর্তাদের নিয়ে বৈঠকের পর বেরিয়ে আসে সমাধানসূত্র। শ্রী সিমেন্টকে সঙ্গী করেই আইএসএলে নামবে ইস্টবেঙ্গল।
অনিশ্চয়তা কাটল। কিন্তু চুক্তি জট? গত কয়েক মাস ধরে টার্ম শিট, সাতদফা শর্তাবলী নিয়ে যে দড়ি টানাটানি চলছে অবিরত, তা যেখানে দাঁড়িয়ে ছিল, সেখানেই রইল। গতবার যে প্রাথমিক চুক্তিপত্রের উপর ভিত্তি করে আইএসএল খেলেছিল ইস্টবেঙ্গল, এ বারও তাই কার্যকর থাকবে। যার অর্থ হল, ইনভেস্টর ও ক্লাবের দাবি, প্রতিবাদ, অনড় মনোভাব— সবই থেকে গেল। শুধু ফুটবল ফিরল মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে।
গত বছর সেপ্টেম্বরে নবান্নেই শ্রী সিমেন্টের সঙ্গে প্রথমবার হাত মিলিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। সেদিনও উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। আর প্রায় ১ বছর পরে মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপেই মিটল চুক্তি জটের সমস্যা। আবার হাতে হাত মিলিয়ে এগিয়ে চলার শপথ নিল দুপক্ষই। ফের শ্রী যুক্ত হওয়ার পর ইস্টবেঙ্গলের শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার মুখ্যমন্ত্রীকে কৃতজ্ঞতা জানাতে গিয়ে জানান, “খেলা হবে দিদির স্লোগান। সেটা যেন এখানেও অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠল। ধন্যবাদ দিদি।”
ইনভেস্টরের শর্তবলী মানলে ক্লাব বিক্রি করে দিতে হবে। এই যুক্তিতেই দীর্ঘকালীন প্রতিবাদের পথে হেঁটেছিলেন ক্লাব কর্তারা। আইনজীবীদের হস্তক্ষেপ, চুক্তিপত্রে শর্তাবলী বদল— নানা ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্যেও পরিস্থিতি পাল্টায়নি। উল্টে ইনভেস্টারদের তরফে স্পষ্ট বলে দেওয়া হয়েছিল, কর্তারা চুক্তিপত্রে সই করলে তবেই আইএসএল নিয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু করবেন তাঁরা। বলা যেতে পারে, ক্লাব-ইনভেস্টর জোড়াতালি সম্পর্কে দাঁড়িয়ে আইএসএল খেলবে লাল-হলুদ।
বুধবার বিকেলে ক্লাবে কার্যত যুদ্ধ জয়ের ছবি। কর্তাদের হাসিমুখই যেন বলে দিচ্ছিল, পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, নিজেদের অবস্থান থেকে সরে আসেননি তাঁরা।
প্রশ্ন থাকছে দুটো। এক, ৩১ আগস্টের মধ্যে দলবদলের কাজ শেষ করতে হবে। এত কম সময়ের মধ্যে তা কি সম্ভব? দুই, কলকাতা লিগে কি খেলতে দেখা যাবে ইস্টবেঙ্গলকে? হাতে মাত্র ৬ দিন সময়। ফুটবল মাঠে ফিরতে এ বার পাহাড় ভাঙতে হবে ইস্টবেঙ্গলকে।