Kanyashree Cup: মহমেডানের চিঠি, ইস্টবেঙ্গল মাঠ থেকে সরল কন্যাশ্রী কাপের সেমিফাইনাল

সোমবার টুর্নামেন্টের কোয়ার্টার ফাইনালে নিউ আলিপুর সুরুচি সংঘকে ২-১ হারিয়ে সেমিতে পা রাখে লাল-হলুদ শিবিরের কন্যেরা। অন্যদিকে চাঁদনি স্পোর্টিং ক্লাবকে ১-০ গোলে হারিয়ে সেমির টিকিট পাকা করে মহমেডান।

Kanyashree Cup: মহমেডানের চিঠি, ইস্টবেঙ্গল মাঠ থেকে সরল কন্যাশ্রী কাপের সেমিফাইনাল
Image Credit source: Twitter
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 25, 2023 | 12:15 AM

কলকাতা: কন্যাশ্রী কাপের সেমিফাইনালে মুখোমুখি ইস্টবেঙ্গল ও মহমেডান (East Bengal vs Mohammedan)। সূচি অনুযায়ী ২৫ জানুয়ারির ম্যাচটি হওয়ার কথা ছিল ইস্টবেঙ্গল মাঠে। কিন্তু বেঁকে বসে সাদা-কালো শিবির। বিপক্ষের ঘরের মাঠে সেমিফাইনাল খেলতে রাজি ছিল না তারা। সোমবার আইএফএ-কে চিঠি দিয়ে ম্যাচ ইস্টবেঙ্গল মাঠ থেকে সরিয়ে নিরপেক্ষ ভেনুতে আয়োজন করার আবেদন জানায় মহমেডান। মঙ্গলবার তার উত্তর এসেছে। মহমেডানের ইচ্ছেয় সায় দিয়ে কন্যাশ্রী কাপের সেমিফাইনাল (Kanyashree Cup Semifinal) ইস্টবেঙ্গল মাঠ থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার বৈঠক শেষে আইএফএ-র তরফে জানানো হয়, বুধবারের সেমিফাইনাল ম্যাচটি খেলা হবে কিশোরভারতী স্টেডিয়ামে। দুপুর ২টো নাগাদ শুরু হবে ম্যাচ। বিস্তারিত TV9 Bangla-য়।

সোমবার টুর্নামেন্টের কোয়ার্টার ফাইনালে নিউ আলিপুর সুরুচি সংঘকে ২-১ হারিয়ে সেমিতে পা রাখে লাল-হলুদ শিবিরের কন্যেরা। অন্যদিকে চাঁদনি স্পোর্টিং ক্লাবকে ১-০ গোলে হারিয়ে সেমির টিকিট পাকা করে মহমেডান। কিন্তু বিপক্ষের ঘরের মাঠে সেমিফাইনাল ম্যাচ খেলতে রাজি হয়নি মহমেডান। নিরপেক্ষ ভেনুর আবেদন জানিয়ে আইএফএ-কে চিঠি দেয় পড়শি ক্লাবটি। তাতেই সাড়া দিয়ে ম্যাচ সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। গ্রুপ পর্বে মশাল গার্লরা ওয়েস্ট বেঙ্গল পুলিশ, বালি গ্রামাঞ্চল কেএস, অল এয়ারলাইন্স রিক্রিয়েশন ক্লাব, বেহালা আকিয়া সম্মিলনী এবং আদিবাসী ইউনাইটেড এফসিকে হারিয়েছে ইস্টবেঙ্গলের মেয়েরা। বেহালার বিরুদ্ধে রেকর্ড ৩৫-০ গোলে জয়। পরপর জিতলেও দলের মেয়েদের মধ্যে আত্মতুষ্টির সুযোগ দিতে চান না ইস্টবেঙ্গলের মহিলা দলের কোচ সুজাতা কর। বললেন,  “মেয়েদের মধ্যে আত্মতুষ্টি দেখিনি। প্রতিটি ম্যাচে পরিবর্তন করেছি। ঘুরিয়ে ফিরিয়ে খেলাচ্ছি। ঘাড়ে নিশ্বাস ফেলার মতো স্ট্রং আমার বেঞ্চ। তাই আত্মতুষ্টি আসার কোনও জায়গা নেই।”

যে টিম স্পিরিট প্রথমদিকের ম্যাচগুলিতে ছিল সেমিফাইনালেও সেটা আশা করছেন কোচ। তবে মাঝে কয়েকটি ম্যাচে ওয়াকওভার পেয়ে যাওয়ায় মেয়েদের মধ্যে গা ছাড়া ভাব লক্ষ্য করেছেন। কোচ বলছেন, “কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচ সেই গা ছাড়া মনোভাব পাল্টে ঘুরে দাঁড়ানোর জায়গা করে দিয়েছে। টিম স্পিরিটটা ফিরিয়ে আনতে পেরেছি। আমার দলের প্রত্যেকেই যোগ্য। কেউ উনিশ কুড়ি নয়। আশা করি সেমিফাইনালে ভালো ম্যাচ উপহার দিতে পারব।”