Durand Cup, Kolkata Derby : ডুরান্ডে আজ ইস্ট-মোহন ডার্বি, পরিসংখ্যানে এগিয়ে ইস্টবেঙ্গল

Mohun Bagan vs East Bengal : প্রথম বার ডুরান্ডে ইস্ট-মোহন মুখোমুখি হয়েছিল ১৯৫৭ সালে। তারপর থেকে এই ঐতিহ্যবাহী টুর্নামেন্টে মোট ২০ বার কলকাতা ডার্বি খেলা হয়েছে।

Durand Cup, Kolkata Derby : ডুরান্ডে আজ ইস্ট-মোহন ডার্বি, পরিসংখ্যানে এগিয়ে ইস্টবেঙ্গল
Image Credit source: Twitter

| Edited By: তিথিমালা মাজী

Aug 12, 2023 | 10:06 AM

কলকাতা : কলকাতা ডার্বির মানেই সম্মানের, মর্যাদার লড়াই।  ডুরান্ড কাপে (Durand Cup 2023) শনিবার বিকেলে ঐতিহ্যের ডার্বি। যুবভারতীতে মুখোমুখি ইমামি ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। এই প্রথম বার মোহনবাগান সুপারজায়ান্ট নামে খেলবে পালতোলা নৌকা। ইমামি ইস্টবেঙ্গল গতবছর এই নামেই ডুরান্ডে খেলেছিল। গতবছর ডুরান্ডে সুমিত পাসির আত্মঘাতী গোলে এটিকে মোহনবাগানের কাছে হেরেছিল ইস্টবেঙ্গল (Mohun Bagan vs East Bengal)। বছরখানেকের মধ্যে দ্বিতীয় বার এশিয়ার সবচেয়ে প্রাচীন টুর্নামেন্টে মুখোমুখি হচ্ছে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দল। দুটি দলই এই টুর্নামেন্টের ইতিহাসে সবচেয়ে সফল টিম। দুটি দলই ১৬ বার করে ডুরান্ড কাপ জিতেছে। বিস্তারিত জেনে নিন TV9 Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।

প্রথম বার ডুরান্ডে ইস্ট-মোহন মুখোমুখি হয়েছিল ১৯৫৭ সালে। তারপর থেকে এই ঐতিহ্যবাহী টুর্নামেন্টে মোট ২০ বার কলকাতা ডার্বি খেলা হয়েছে। তার মধ্যে ১১ বার ডুরান্ডের ফাইনাল খেলেছে দুই দল। বর্তমানে ডার্বিতে একচেটিয়া রাজত্ব চলছে মোহনবাগানের। ডার্বি মানেই যেন ইস্টবেঙ্গলের হার। লাল-হলুদ সমর্থকদের এই ক্ষতে প্রলেপ দিতে পারে ডুরান্ডের পরিসংখ্যান। ডুরান্ডে কলকাতা ডার্বির ২০ বারের মধ্যে ইস্টবেঙ্গল জিতেছে আটবার। মোহনবাগান সামান্য পিছিয়ে। মোট সাতবার জিতেছে পালতোলা নৌকা। শনিবার ডুরান্ডে ফের একবার আমনে সামনে দুই টিম। সপ্তাহান্তের ডার্বির উত্তেজনায় ফুটছে শহর কলকাতা।

১৯৭৮ সালের ডুরান্ড ফাইনাল: ইস্টবেঙ্গল এফসি ৩-০ মোহনবাগান

ইস্টবেঙ্গল এফসি ছয় বছরে প্রথম বারের মতো ফাইনালে পৌঁছেছিল ১৯৭৮ সালে। তার আগে ১৯৭২ সালের সংস্করণ জিতেছিল তারা। ১৯৭৪ সালের ডুরান্ডের সেমিফাইনালে মোহনবাগানের কাছে হেরে ছিটকে যায়। দিল্লির আম্বেদকর স্টেডিয়ামে ভর্তি দর্শকদের সামনে ফাইনালে ইস্টবেঙ্গল জিতেছিল ৩-০ গোলে। সুরজিৎ সেনগুপ্ত গোলের সূচনা করেন। এরপর মিহির বোস দ্বিতীয় গোল করেন। বদলি হিসেবে নামা তপন দাস ম্যাচের শেষ গোলটি করে লাল হলুদকে স্মরণীয় জয় এনে দেন।

১৯৮৪ সালের ফাইনাল : মোহনবাগান ১-০ ইস্টবেঙ্গল এফসি

১৯৮৪ সালের ডুরান্ড কাপের ফাইনাল মোহনবাগান সমর্থকদের কাছে স্মরণীয় হয়ে রয়েছে। ১৯৮২ সালের ডুরান্ডের ফাইনালে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে যৌথভাবে ট্রফি ভাগ করে নিতে হয়েছিল। পরের মরসুমে জেসিটির বিরুদ্ধে হেরে যায়। ১৯৮৪ সালে টানা তৃতীয় বারের জন্য ডুরান্ডের ফাইনালে ওঠে সবুজ মেরুন। চাপ শুধু এ কারণেই ছিল না। সুব্রত ভট্টাচার্য, কৃশানু দে এবং প্রশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য অনুপস্থিত ছিলেন সে বার। যদিও পিকে বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোচিংয়ে ফেভারিট ইস্টবেঙ্গল এফসিকে হারিয়ে খেতাব জিতেছিল মোহনবাগান। জয়সূচক গোলটি করেছিলেন বিদেশ বসু।

১৯৯৪ সালের ফাইনাল : ইস্টবেঙ্গল এফসি ০-১ মোহনবাগান

১৯৮৯ সালের ফাইনালে ইস্টবেঙ্গল এফসির কাছে পেনাল্টিতে পরাজয়ের পর পাঁচ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো ফাইনালে ওঠে মোহনবাগান। অন্যদিকে, ইস্ট বেঙ্গল এফসি পাঁচ বছরের মধ্যে তাদের চতুর্থ ফাইনাল খেলতে নেমেছিল। তিনটি ফাইনালেই জিতেছিল লাল হলুদ। স্বাভাবিকভাবেই ফাইনালে ফেভারিট ছিল ইস্টবেঙ্গল এফসি। যদিও ফাইনালে মেরিনার্সের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে ০-১ গোলে হেরে যায় ইস্টবেঙ্গল। এটি ছিল মোহনবাগানের ১৫তম ডুরান্ড কাপ খেতাব জয়।

২০০৪ ফাইনাল : ইস্টবেঙ্গল এফসি ২-১ মোহনবাগান

সে বার দুটি দল দশ বছর পর নয়াদিল্লিতে ডুরান্ড কাপের ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল। তার আগের বছরে সালগাঁওকার এফসির কাছে পেনাল্টিতে হেরে গিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। খেতাব পুনরুদ্ধারের তাগিদ ছিল তাদের মধ্যে। সেটি ছিল ইস্টবেঙ্গলের ১৬তম ডুরান্ড কাপ জয়।

২০২২ সালের গ্রুপ পর্ব : ইমামি ইস্টবেঙ্গল ০-১ এটিকে মোহনবাগান

১৮ বছরের মধ্যে প্রথম বারের মতো ২০২২ সংস্করণের গ্রুপ পর্বে দুই দল ফের মুখোমুখি হয়। আইএসএলের অংশ হওয়ার পর ডুরান্ডে প্রথম সাক্ষাৎ দুই দলের। সল্টলেক স্টেডিয়ামে প্রায় ৬৫ হাজার দর্শকদের উপস্থিতিতে সেই রাত ছিল মোহনবাগানের। সুমিত পাসির আত্মঘাতী গোলে ডার্বি জিতে যায় মোহনবাগান। যদিও মুম্বই সিটি এফসি এবং রাজস্থান ইউনাইটেড এফসি গ্রুপ শীর্ষে থেকে পরের রাউন্ডে যাওয়ায় কলকাতার দুটি দলই নকআউট পর্বে উঠতে পারেনি।