আল খোর : কাতার বিশ্বকাপে (Qatar World Cup 2022) অঘটনের অনেক উদাহরণ। আজ এমনই কিছু হবে না তো! টুর্নামেন্টের ফেভারিট ইংল্য়ান্ড বনাম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (ENG vs USA)। ফেভারিটের মতোই বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করেছে ইংল্য়ান্ড। প্রথম ম্যাচে ইরানের বিরুদ্ধে ৬-২ গোলে জিতেছে তারা। জোড়া গোল করেন বুকায়ো সাকা। এক ঝাঁক তরুণ ফুটবলার রয়েছে ইংল্যান্ড শিবিরে। রয়েছেন অভিজ্ঞ অধিনায়ক হ্যারি কেনও। ইরান ম্যাচে চোট পেয়েছিলেন হ্য়ারি। তবে ইংল্যান্ড কোচ গ্যারেথ সাউথগেট জানিয়ে দিয়েছেন, হ্য়ারি ফিট। আগের দিন একাকি অনুশীলন করলেও ম্যাচের আগের চূড়ান্ত অনুশীলনে সতীর্থদের সঙ্গেই দেখা যায় হ্যারি কেনকে। ম্যাচ প্রিভিউ TV9Bangla-য়।
হ্যারি কেনের গোড়ালির চোট নতুন নয়। বরং, প্রায়শই এই সমস্য়ায় ভুগতে হয়েছে। প্রথম ম্যাচে মাত্র ২৫ মিনিটেই মাঠ ছাড়তে হয় তাঁকে। তারুণ্যের শক্তিতে প্রথম ম্যাচে ইংল্যান্ড আধ ডজন গোল দিলেও অস্বস্তিতে রেখেছিল হ্য়ারি কেনের চোট। সেই অস্বস্তি মিটেছে। তবে আরও একটা অস্বস্তি রয়েছে। ইরানের কাছে ২ গোল হজম করা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ম্যাচের প্রস্তুতিতে রক্ষণেই বাড়তি নজর দিলেন গ্যারেথ সাউথগেট। কাগজে কলমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যতই আন্ডারডগ হোক, প্রথম ম্যাচে তাদের পারফরম্যান্স হেলাফেলার নয়। টিমোথি উইয়ার গোলে ওয়েলসের বিরুদ্ধে এগিয়ে ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তাঁদের শারীরিক ফুটবল সামলাতে হিমসিম খেয়েছে তারকা সমৃদ্ধ ওয়েলস। নির্ধারিত সময়ের ৮ মিনিট আগে গ্য়ারেথ বেল পেনাল্টি থেকে গোল করে মান বাঁচান। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে নামার আগেও কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র শিবির। আন্ডারডগ তকমা নিয়েই কার্যত চ্যালেঞ্জ ছুড়েছেন তাদের তরুণ অধিনায়ক।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অধিনায়ক টাইলার অ্যাডামস বলেন, ‘ইংল্যান্ড বড় দল। তবে ভয়ের কিছু আছে কি?। আমি সবচেয়ে বেশি ভয় পাই মাকড়সাকে। এ ছাড়া তেমন কিছু নেই আমার ভয়ের তালিকায়। সুতরাং, এই ম্যাচটাও ভয় পাওয়ার মতো নয়। এটা ঠিক, অনেক বড় বড় ফুটবলারদের বিরুদ্ধে খেলতে হবে। এর আগেও খেলেছি। আমরাও দেখাতে চাই, বড় দলের বিরুদ্ধে খেলার দক্ষতা আমাদের রয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফুটবল উন্নতি করছে, সঠিক পথেই চলছে।’ ২২ বছর বয়সি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অধিনায়ক আরও জানান, আন্ডারডগ তকমা উপভোগ করছে তাঁর দল। ইংল্যান্ড প্রসঙ্গে যোগ করলেন, ‘এ বারের বিশ্বকাপে অন্যতম ফেভারিট ইংল্যান্ড। অনেক ম্যাচেই আমাদের আন্ডারডগ বলা হবে। আমরা সেটাকে গর্ব হিসেবেই দেখছি।’