কলকাতা: বিখ্যাত ডিফেন্ডারের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে উধাও লক্ষাধিক টাকা! অনলাইন প্রতারণার ফাঁদে পড়লেন সুব্রত ভট্টাচার্য। ভারতের প্রবাদপ্রতিম ডিফেন্ডারের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে উধাও হয়ে গিয়েছে ১৭ লক্ষ টাকা। বড়সড় বিপর্যয়ের মুখে পড়লেন ময়দানের বাবলুদা। পার্ক স্ট্রিটে স্টেট ব্যাঙ্ক শাখার অ্যাকাউন্ট থেকে ওই টাকা উধাও হয়ে গিয়েছে। কী ভাবে টাকা গায়েব হল, তা নিয়ে দিনভর হয়রান সুব্রত ভট্টাচার্য। খেলোয়াড় জীবনে বড় বড় ফুটবলারদের রুখে দিয়েছেন। সেই সুব্রতর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকেই কিনা উধাও হয়ে গেল লক্ষাধিক টাকা। যা বুঝতেই পারেননি তিনি। স্মার্ট ফোনে অভ্যস্ত নন। তাই সাধারণ ফোনই ব্যবহার করেন সুব্রত ভট্টাচার্য। সুব্রতর দাবি, তিনি কারও সঙ্গে এটিএম পিন কিংবা ওটিপিও শেয়ার করেননি কখনও। তা সত্ত্বেও কী ভাবে এতগুলো টাকা উধাও হয়ে গেল, তা নিয়ে রীতিমতো দুশ্চিন্তায়। সারা জীবনের সঞ্চয় খুইয়ে নিঃস্ব সুব্রত। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
গল্ফগ্রিন থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন সুব্রত ভট্টাচার্য। এক মাসেরও বেশি সময় আগে ঘটনাটি জানতে পারেন তিনি। স্টেট ব্যাঙ্কের পার্ক স্ট্রিট শাখা থেকে টাকা তুলতে গিয়ে এই জালিয়াতির ঘটনাটি জানতে পারেন। সুব্রত বলেন, ‘আমি তো স্মার্ট ফোন ব্যবহার করি না। সাধারণ ফোনেই বরাবর অভ্যস্ত। তার মানে এই নয় যে, এটিএম পিন কিংবা ওটিপি কাউকে দিয়েছি। তাও কি ভাবে এতগুলো টাকা উধাও হয়ে গেল, বুঝতেই পারছি না।’ চাকরি ও কোচিংই সর্বস্ব ছিল সুব্রত। সারা জীবনের সঞ্চয় রেখেছিলেন ব্যাঙ্কে। তাই উধাও হয়ে গিয়েছে। সুব্রত একরাশ মন খারাপ নিয়ে বললেন, ‘জানেন, সারাজীবনের সঞ্চয় ছিল। সব টাকা কে বা কারা যে তুলে নিল!’ ফোনের ওপার থেকে গলা বুজে আসছিল সুব্রতর।
ব্যাঙ্ক জালিয়াতির পুরো ঘটনা শোনালেন সুব্রত ভট্টাচার্যের স্ত্রী। তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন এটিএম থেকে সাড়ে ৯ হাজার টাকা করে তোলা হয়েছে নানা সময়। এটা একদিনে হয়নি। দীর্ঘদিন ধরে হয়ে এসেছে। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হল, এটা আমরা জানতেই পারিনি। আমার স্বামীর ফোনে সব সময় মেসেজও আসত না। আর ও স্মার্ট ফোন ব্যবহার না করায় জানতেও পারেনি। ২৩ তারিখ পার্ক স্ট্রিটের এক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে দু’বার করে সাড়ে ৯ হাজার টাকা তোলা হয়েছে। এরপর বাগবাজারের একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে ফের সাড়ে ৯ হাজার টাকা তুলেছে। কিভাবে এটিএম কার্ডের পিন জানতে পারল, সেটাই তো বুঝতে পারছি না। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে এখন মাত্র ২২৩ টাকা পড়ে রয়েছে।’
থায়ান ডায়েরি করা হলেও কোনও সুরাহা হয়নি। সুব্রত স্ত্রী বলে দিলেন, ‘এক মাস পেরিয়ে গেলেও পুলিশ এখনও দোষীদের খুঁজে বার করতে পারেনি। আমরা পুলিশের কাছে ভিডিও ফুটেজ চেয়েছি। তাও হাতে পাইনি।’
বড় অসহায় শোনাচ্ছিল সুব্রত আর তাঁর স্ত্রীকে। সারা জীবনের সঞ্চয় খুইয়ে কার্যত নিঃস্ব হয়ে গিয়েছেন দুই প্রধানে কোচিং করানো সফল কোচ।