AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

ইউরোপিয়ান সুপার লিগের তীব্র সমালোচনায় প্রাক্তনরা

শুধু ফুটবলার মহলই নয়, বিভিন্ন দেশের ফ্যানস ক্লাবগুলোও ইউরোপের সেরা ১২টা ক্লাবের এই জিহাদে রীতিমতো আতঙ্কে রয়েছে।

ইউরোপিয়ান সুপার লিগের তীব্র সমালোচনায় প্রাক্তনরা
সৌজন্যে-টুইটার
| Updated on: Apr 19, 2021 | 6:03 PM
Share

লন্ডন: ফিফা (FIFA) আর উয়েফার (UEFA) বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা হিসেবে দেখা হচ্ছে। ইউরোপের সেরা ১২টা ক্লাবের নতুন লিগের ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে দু’ভাগ হয়ে গিয়েছে ফুটবল বিশ্ব। বলা হচ্ছে, অর্থ উপার্জনের জন্য ইউরোপিয়ান সুপার লিগের (European Super League) ভাবনা। এতেই শেষ নয়, রিয়াল মাদ্রিদ, বার্সেলোনা, ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড, চেলসি, জুভেন্তাসদের নামের আগে এখন ব্যবহার করা হচ্ছে ‘বিশ্বাসঘাতক’ শব্দ। প্রাক্তন ফুটবলারদের অনেকেই এই লিগের তীব্র সমলোচনাও করছেন।

লিভারপুলের প্রাক্তন মিডফিল্ডার ড্যানি মর্ফি রাখঢাক না করেই বলেছেন, ‘ভবিষ্যৎহীন একটা ভাবনা ছাড়া আর কিছু বলতে পারছি না। আমার মনে হয় না, এতে ফুটবলের কোনও লাভ হবে। সবচেয়ে খারাপ দিক হচ্ছে, উয়েফা আর ফিফার সঙ্গে সরাসরি লড়াইয়ে চলে যাওয়ায় এই ১২টা ক্লাবকে নির্বাসিত করা হতে পারে। ওই ক্লাবগুলোর সেরা প্লেয়াররা কিন্তু দেশের হয়ে খেলতে পারবে না।’

ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের প্রাক্তন অধিনায়ক রয় কেন আবার ক্লাবের এই পদক্ষেপ কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না। বিতর্ক নিয়ে তাঁর মন্তব্য, ‘অর্থ আর লোভ ছাড়া এই লিগকে অন্য কিছু বলতে পারছি না। আশা করছি, এই এটা শেষ পর্যন্ত বন্ধ হবে।’ চেলসির প্রাক্তন ডিফেন্ডার মিকা রিচার্ডসের আবার যুক্তি, ‘ফ্যানরা এই ক্লাবের সঙ্গে যে দীর্ঘদিন জড়িয়ে আছে, সেটা ভুলে গেল কী করে ক্লাব? অর্থের জন্য ফ্যানদের এ ভাবে ভুলে যাওয়া যায়? এই কারণে ফুটবলের আজ এই দশা। এর মধ্যে দিয়ে ফুটবলের প্রতিই ক্লাবগুলো চরম অসম্মান দেখাচ্ছে। ইংল্যান্ডের নামী দৈনিকে নিজের কলমে আবার জেমি ক্যারাঘের লিখেছেন, ‘নিজেদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভেবে ফুটবল প্রশাসকরা বরাবর এই রকম অনেক ভুল করে বসেন। সমর্থকদের ছাড়া ক্লাবের যে কোনও অস্তিত্ব নেই, এই ঐতিহাসিক ভুলটা যে কারণে বারবার ঘটতে দেখা যায়।’

আরও পড়ুন: ইউরোপে ক্লাব বনাম উয়েফা: মেসি-রোনাল্ডোরা কি নির্বাসনের পথে?

শুধু ফুটবলার মহলই নয়, বিভিন্ন দেশের ফ্যানস ক্লাবগুলোও ইউরোপের সেরা ১২টা ক্লাবের এই জিহাদে রীতিমতো আতঙ্কে রয়েছে। ২০টা টিম নিয়ে যে লিগ হবে, তাতে দুটো গ্রুপ করে খেলবে ১০টা টিম। হোম-অ্যাওয়ে ভিত্তিতে খেলা হবে। টিভি সম্প্রচারের উপরেই বেশি জোর দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে সমর্থকদের গুরুত্ব অবিশ্বাস্য রকম কমে যাবে, ধারণা ফ্যানস ক্লাবগুলোর। যে কারণে ক্লাব বিপ্লবে সামিল হলেও সমর্থকদের পাশে পাচ্ছে না।