কৌস্তভ গঙ্গোপাধ্যায়
কয়েক বছর আগেই ইস্টবেঙ্গল জীবনকৃতি সম্মানে সম্মানিত করেছিল। এবার মোহনবাগান রত্ন সম্মানে ভূষিত শ্যাম থাপা। সাতের দশকে কলকাতা ময়দান যাঁর বাইসাইকেল কিকে মজেছিল। বিকেলে মোহনবাগানের কার্যকরী কমিটির বৈঠকে বাগান রত্ন সম্মানে শ্যাম থাপার নাম ঘোষণা হওয়ার পরই রাণীকুঠির সরকারি আবাসনে খুশির ছোঁয়া।
আপ্লুত শ্যাম-
ইস্টবেঙ্গলের থেকে জীবনকৃতি সম্মান পেয়েছিলাম। এবার মোহনবাগান রত্ন পাওয়ার পর সত্যিই খুব ভালো লাগছে। স্বপ্ন পূরণ হল। এই সম্মান অনেক গর্বের। সাত বছর মোহনবাগানে খেলেছি। আজ এই সম্মান পেয়ে যেমন গর্বিত তেমনই আপ্লুত।
মোহনবাগান হৃদয়ে-
ইস্টবেঙ্গলে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে অনেক বছর খেলেছি। তবে মোহনবাগানে টানা ৭ বছর খেলেছি। তাই এই ক্লাবের থেকে সম্মান পেয়ে একটু বেশিই ভালো লাগছে।
স্মরণে ধীরেন দে-
ধীরেন দে’র হাত ধরেই ইস্টবেঙ্গল ছেড়ে মোহনবাগানে গিয়েছিলাম। আজ ধীরেনদার কথা খুব মনে পড়ছে। ওর জন্যই তো সবুজ মেরুনে টানায় এত বছর খেলে গিয়েছি। মোহনবাগান সমর্থদের ভালোবাসা কখনও ভুলব না।
মহমেডানের অফার খারিজ-
১৯৮১ সালে মহমেডান স্পোর্টিংয়ের অফার ফিরিয়ে দিয়েছিলাম। আমার বাড়িতে এসে এক লক্ষ টাকার অফার দিয়েছিল মহমেডান স্পোর্টিং। মোহনবাগানে খেলে যে ভালোবাসা পেয়েছিলাম, আর ধীরেন দা যে ভাবে গাইড করতেন, তার জন্যই মোহনবাগানে থেকে যাই।
পেলের বিরুদ্ধে খেলার স্মৃতি-
১৯৭৭ সালে ইস্টবেঙ্গল ছেড়ে মোহনবাগানে যাওয়ার একটাই কারণ ছিল। সে বার পেলে খেলতে এসেছিল কলকাতায়। ব্রাজিলের কসমস ক্লাবের বিরুদ্ধে খেলব। এটার জন্যই ইস্টবেঙ্গল ছেড়ে মোহনবাগানে যোগ দিই। এই সুযোগ তো আর বারবার আসে না।
ডার্বিতে ব্যাকভলি-
১৯৭৮ কলকাতা লিগের বড় ম্যাচে ব্যাকভলির গোল আমার কাছে আজও সেরা। ইস্টবেঙ্গলের হয়েও ব্যাকভলিতে গোল করেছি। তবে বড় ম্যাচে ওই ব্যাকভলিটা বাকিগুলোর চেয়ে অনেক এগিয়ে। আমার ব্যাকভলিতে গোল দেখার পর চুনীদা জড়িয়ে ধরেছিল। বাগান সমর্থকদের কাঁধে চড়ে মাঠ ছেড়েছিলাম। সেই স্মৃতি আজও অক্ষয় হয়ে থাকবে।