FIFA World Cup 2022: অক্টোপাস, বিড়াল অতীত; কাতার বিশ্বকাপের ভবিষ্যৎ বক্তা বাজপাখি নেয়ার
রবিবাসরীয় উদ্বোধনী ম্যাচের বিজয়ী দল বেছে নিয়েছে কাতারের ভবিষ্যৎ বক্তা বাজপাখি নেয়ার।

দোহা: অক্টোপাস পল হোক কিংবা হাতি নেলি। প্রত্যেক ফুটবল বিশ্বকাপেই ভবিষ্যদ্বাণীর জন্য কিছু প্রাণী শিরোনামে চলে আসে। ২০১০ দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপ (FIFA World Cup)। ভবিষ্যদ্বাণী মিলিয়ে দিয়ে সাড়া জাগিয়েছিল অক্টোপাস পল (Paul the Octopus)। রীতিমতো চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছিল সেই অক্টোপাসকে নিয়ে। জার্মানির সেই অক্টোপাস পল বিশ্বকাপের পরই মারা যায়। এরপর কখনও হাতি নেলি, উট শাহীন, বিড়াল অ্যাকিলিস (Achilles the Cat) এভাবেই বিশ্বকাপের শিরোনামে এসেছে। তবে অক্টোপাস পলের মতো ট্র্যাক রেকর্ড কারও ঝুলিতেই নেই। কাতার বিশ্বকাপেও আছে তেমনই এক প্রাণী। কে সে? পড়ে নিন TV9 Bangla-র এই প্রতিবেদনে।
পল দ্য অক্টোপাস: ফুটবলপ্রেমীদের ভোলার কথা নয় এই নাম। ফুটবল বিশ্বকাপ এলেই মনে পড়ে পল দ্য অক্টোপাসকে। জার্মানির ওবেরহাউসেন সি লাইফ সেন্টারের আটপেয়ে এক সাধারণ অক্টোপাস ছিল পল। জ্যোতিষী বলেও পরিচিত ছিল পল দ্য অক্টোপাস। সাধারণত জার্মানির আন্তর্জাতিক ম্যাচের আগে অক্টোপাস পল ভবিষ্যদ্বাণী করত। পল রাতারাতি শিরোনামে উঠে আসে ২০১০ সালের দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপের সময়। নিখুঁত ভবিষ্যদ্বাণী করে তাক লাগিয়ে দিয়েছিল জার্মানদের সেই অক্টোপাস। কীভাবে ভবিষ্যদ্বাণী করত পল দ্য অক্টোপাস? একটি অ্যাকুরিয়ামে দুটি দলের পতাকা রাখা হত। এরপর পল-কে ছেড়ে দেওয়া হত অ্যাকুরিয়ামে। ফাইনালের আগে মাংসল পা দিয়ে স্পেনের পতাকাকে জড়িয়ে ধরেছিল পল। সেবার বিশ্বকাপ জিতে নিয়েছিলেন সের্গিও ব়্যামোসরা।
কাতার বিশ্বকাপেও ভবিষ্যৎ বক্তাদের অভাব নেই। প্রাণীরা তো রয়েছেই। ভবিষ্যৎ বক্তা হিসেবে সুপার কম্পিউটারের দিকে ঝুঁকছে মানুষ। সুপার কম্পিউটার বলছে, কাতারে বিশ্বকাপের ফাইনাল হবে আর্জেন্টিনা এবং পর্তুগালের মধ্যে। ম্যাচের নির্ধারিত সময়ে হবে না মীমাংসা। পেনাল্টি শুট আউটে রোনাল্ডোকে কাঁদিয়ে বিশ্বকাপ ছিনিয়ে নেবেন লিওনেল মেসি। এর পাশাপাশি ভবিষ্যদ্বাণীর জন্য উঠে এসেছে এক বাজপাখি। কাতারে ভালোবাসার প্রতীক বাজপাখি। তেমনই এক বাজপাখিকে বিশেষ ট্রেনিং দেওয়া হয়েছে বিশ্বকাপের জন্য। যার নাম নেয়ার (Neyar)।
বিশ্বকাপের বল গড়ানোর আগেই দোহার উত্তরে এক মরুভূমিতে বিজয়ী দলকে বেছে নিচ্ছে বাজপাখি নেয়ার। তার বিজয়ী দল বেছে নেওয়ার পদ্ধতি আলাদা। খালি জায়গায় ড্রোনের সাহায্য দুই দেশের পতাকা উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। পতাকার সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হচ্ছে পায়রার মাংস। এরপর বাজপাখি নেয়ার উড়ে গিয়ে ছোঁ মেরে নিচ্ছে একটি দেশের পতাকা। নেয়ার যে দেশের পতাকা নেয়ার, সেই দেশকেই ওই ম্যাচের জয়ী দল হিসেবে ভাবা হচ্ছে।রবিবার বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে মুখোমুখি কাতার-ইকুয়েডর। কিক অফের আগে উদ্বোধনী ম্যাচের বিজয়ী দল হিসেবে ইকুয়েডরকে বেছে নিয়েছে নেয়ার। এ বার দেখা যাক কাতার বিশ্বকাপে কতটা চর্চায় আসতে পারে এই বাজপাখি।
