বুয়েনস আইরেস: বাইশের শেষে কাতার বিশ্বকাপ (Qatar World Cup 2022) জিতেছে লিওনেল মেসির (Lionel Messi) আর্জেন্টিনা (Argentina)। এ বার তেইশের শুরুতে শাস্তির মুখে তিন বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা। দীর্ঘ ৩৬ বছর পর বিশ্বকাপ জয়ের সেলিব্রেশন যে বাঁধনভাঙা হবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে অভিযোগ উঠেছে, মেসির দল বিশ্ব জয়ের সেলিব্রেশন করতে গিয়ে সীমা লঙ্ঘন করেছে। পাশাপাশি পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে আর্জেন্টিনার গোলকিপার এমিলিয়ানো মার্টিনেজের সেলিব্রেশনও অনেকের দৃষ্টিকটু লেগেছে। এ বার এই অভিযোগ খতিয়ে দেখতে আসরে নেমেছে ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা (FIFA)। বিস্তারিত TV9Bangla-র এই প্রতিবেদনে।
কাতার বিশ্বকাপের ফাইনালে লুসেইল স্টেডিয়ামে ফ্রান্সকে টাইব্রেকারে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় আর্জেন্টিনা। ফাইনাল ম্যাচের পর পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে, ‘গোল্ডেন গ্লাভ’ পুরস্কার নেওয়ার পর অদ্ভুত সেলিব্রেশন করেন আর্জেন্টাইন গোলকিপার এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। যা অনেকেরই দৃষ্টিকটু লেগেছে। শুধু তাই নয়, আর্জেন্টিনার ড্রেসিংরুমে সেলিব্রেশনের সময় ফরাসি তারকা কিলিয়ান এমবাপের জন্য এক মিনিট নীরবতা পালন করার কথাও বলেন আর্জেন্টিনার গোলকিপার।
এতেই শেষ নয়। এরপর আর্জেন্টিনায় হুডখোলা বাসে করে বিশ্বকাপ সেলিব্রেশনের সময় মেসিপ পাশে দাঁড়িয়ে এমবাপের ছবি দেওয়া ছোট্ট পুতুল হাতে দেখা যায় মার্টিনেজকে। শুধু মার্টিনেজই উদযাপনের সময় সীমা লঙঘন করেছেন তা নয়। তাঁর সঙ্গে একাধিক ফুটবলারও জড়িয়ে রয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এই সবের বিরুদ্ধে এ বার তদন্ত শুরু করেছে ফিফা।
লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা ‘আক্রমণাত্মক আচরণ ও ন্যায্য খেলার নীতি লঙ্ঘন’ এবং ‘খেলোয়াড় ও অফিসিয়ালদের খারাপ আচরণ’-সম্পর্কিত বিধিমালা ভেঙেছে বলে মনে করছে ফিফা। তাই ফিফার পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “ফিফা ডিসিপ্লিনারি কোডের আর্টিকেল ১১ (আপত্তিকর আচরণ এবং ন্যায্য খেলার নীতির লঙ্ঘন) এবং আর্টিকেল ১২ (খেলোয়াড় ও কর্মকর্তাদের খারাপ আচরণ) এর সম্ভাব্য লঙ্ঘনের কারণে ফিফা ডিসিপ্লিনারি কমিটি আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে।”
উল্লেখ্য, আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে, বড় সড় শাস্তির মুখে পড়তে হতে পারে মেসিদের। শুধু আর্জেন্টিনা দলের বিরুদ্ধেই তদন্ত করছে না ফিফা। বিশ্বকাপের সময় বৈষম্য বিরোধী নিয়ম ভঙ্গ করার জন্য, মেক্সিকান এবং ইকুয়েডর ফুটবল ফেডারেশনগুলিকে পূর্বে যথাক্রমে ১০৭,৯০২ ডলার ও ২০ হাজার ডলার এবং ২১,৫০৮০ ডলার জরিমানা করা হয়েছে। বিশ্বকাপে তৃতীয় স্থান দখলের লড়াইয়ের ম্যাচে “বৈষম্য” এবং “ম্যাচে শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা” লঙ্ঘনের কারণে ক্রোয়েশিয়ান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের বিরুদ্ধেও ফিফা একটি মামলা শুরু করেছে।