
কলকাতা: ২০৩০ সালকে অন্য ভাবনায় তুলে আনতে চায় ফিফা (FIFA)। ১৯৩০ সালে শুরু হয়েছিল বিশ্বকাপ। ১০০ বছরে পা দিতে চলেছে বিশ্বকাপ (World Cup)। সেঞ্চুরির মাইলফলককে অন্য ভাবে সেলিব্রেট করার কথা ভাবছে বিশ্ব ফুটবল নিয়ামক সংস্থা। সারা বিশ্ব জুড়ে ফুটবল উৎসব চলবে। যাতে আগামী দিনে আরও বেশি মানুষ জনপ্রিয়তম খেলার সঙ্গে জুড়ে যেতে পারেন। সেই কারণেই ফিফার গভর্নিং কমিটি অন্য রকম ভাবনা নিয়ে এগোতে চাইছে। আর তাতেই এসে পড়ছে প্রশ্নটা, ভারতের মতো ফুটবল খেলিয়ে দেশের কপাল খুলতে পারে?
২০২৬ সালের বিশ্বকাপের আয়োজক আমেরিকা, কানাডা ও মেক্সিকো। তিন দেশ মিলিয়ে ফুটবল বিশ্বকাপ আয়োজন করার পাশাপাশি এই টুর্নামেন্ট অন্য কারণে গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। এই প্রথম কোনও বিশ্বকাপে ৩২এর বদলে ৪৮টা টিম খেলবে। তাতে ম্য়াচের সংখ্যা যেমন বাড়ছে, তেমনই আকর্ষণ ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাও বেড়ে যাবে বহুগুণ। কিন্তু এতেই থেমে থাকতে চাইছে না ফিফা। পরের বিশ্বকাপ অর্থাৎ সেঞ্চুরির বছরের ফিফা একেবারে অন্য রকম পথে হাঁটতে চাইছে। যাতে ২০৩০ সালের বিশ্বকাপকে মাইলস্টোন করে রাখা যায়। সেই কারণেই ৪৮এর বদলে ৬০টা দেশ অংশ নেবে। অর্থাৎ দ্বিতীয় ও তৃতীয় সারির দেশগুলোর কাছেও সুযোগ এসে যাবে বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করার।
মরক্কো, স্পেন ও পর্তুগাল আয়োজক দেশ বিশ্বকাপের ১০০ বছর পূর্তির। তবে তিনটে ম্যাচ হবে আর্জেন্টিনা, প্যারাগুয়ে ও উরুগুয়েতে। ১৯৩০ সালে এই তিন দেশই ছিল প্রথম বিশ্বকাপের আয়োজক। যে কারণে ওই দেশগুলোকেও ১০০ বছরের পূর্তিতে সামিল করা হবে। ফিফার এক মুখপাত্র বলেছেন, ‘বিশ্বকাপের ১০০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে ৬৪টা দেশ খেলতে পারে কিনা, এই প্রস্তাব দিয়েছেন এক সদস্য।’ ফিফা অবশ্য এ নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি। একটা ব্যাপার পরিষ্কার, যদি ৪৮এর বদলে ৬৪টা টিম বিশ্বকাপে অন্য নেয়, আরও ১৬টা দেশের সামনে অনন্য সুযোগ এসে যাবে। বিশ্বকাপ খেলতে না পারা অনেক দেশের কাছেই দারুণ সুযোগ এসে যাবে। ভারতও পেয়ে যেতে পারে সুযোগ।