মেয়েদের ফুটবলে প্রথম বার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে স্পেন। ফাইনালে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে প্রথম খেতাব তাদের। অতি উচ্ছ্বাসে ভেসে গিয়েই বিতর্কে জড়িয়েছেন স্প্যানিশ ফুটবল সংস্থার প্রেসিডেন্ট লুইস রুবিয়ালেস। ছেলের পাশে দাঁড়াতে এ বার অনশনে বসলেন তাঁর মা অ্যাঞ্জেলেস বেয়ার। এ বার ফিফা মেয়েদের বিশ্বকাপ হয়েছে নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ায়। প্রথম বার ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছিল ইংল্যান্ড ও স্পেন। ইউরোপ সেরা হয়ে ইংল্যান্ডের নজর ছিল বিশ্বকাপে। যদিও স্বপ্নভঙ্গ হয়। মেয়েদের টুর্নামেন্টে প্রথম বার বিশ্বজয় স্পেনের। ফাইনালকে ঘিরে যেমন প্রবল আনন্দ-উচ্ছ্বাস ছিল, তেমনই তৈরি হয় বিতর্কও। তার রেশ গড়িয়েছে নির্বাসন পর্যন্ত। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
বিশ্বকাপ ফাইনালে উপস্থিত ছিলেন স্প্যানিশ ফুটবল সংস্থার সভাপতি। ম্যাচ শেষ হতেই নানা বিতর্কে জড়ান। মহিলা ফুটবলারদের কাঁধে তুলে নেন। তবে সবচেয়ে বেশি বির্তক তৈরি হয় হারমোসোর সঙ্গে তাঁর আচরণ। মঞ্চে দাঁড়িয়েই স্প্যানিশ মহিলা ফুটবলার হারমোসোর ঠোঁটে চুমু ফেডারেশন সভাপতির। স্পেনে এই নিয়ে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়। জল গড়ায় সারা বিশ্বেই। স্প্যানিশ ফুটবল সংস্থার সভাপতির এই আচরণে ধিক্কার পড়ে। নড়েচড়ে বসে বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা। রুবিয়ালেসকে আপাতত তিন মাসের জন্য নির্বাসিত করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। এর ভিত্তিতে আরও বড় শাস্তির মুখেও পড়তে হতে পারে।
রুবিয়ালেসের দাবি, হারমোসোর অনুমতি সাপেক্ষেই এই চুম্বন। যদিও তাঁর এই দাবিকে ভিত্তিহীন বলেছেন খোদ স্প্যানিশ ফুটবলার। হারমোসোর পরিষ্কার বক্তব্য, ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন রুবিয়ালেস। ফেডারেশনের তরফে তাঁকে রুবিয়ালেসের পাশে থাকার জন্যও চাপ দেওয়া হচ্ছিল বলে জানান হারমোসো। ছেলের সঙ্গে ‘অমানবিক অত্যাচার হচ্ছে’ এই দাবিতে মাদ্রিদে চার্চের বাইরে অনশনে বসেছেন রুবিয়ালেসের মা। তাঁর দাবি, স্প্যানিশ ফুটবলার মিথ্যে কথা বলছেন। ছেলেকে ‘ভালো মানুষ’ বলেই উল্লেখ তাঁর। যতক্ষণ না ছেলের সঙ্গে ন্যায় হচ্ছে, অনশন ভাঙবেন না, পরিষ্কার করে দিয়েছেন রুবিয়ালেসের মা।