Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Kiss Controversy: চুমু বিতর্কে অভিযুক্ত লুইস, হতে পারে জেলও

FIFA Women's World Cup 2023 Final: ফুটবল মাঠ থেকে চিরনির্বাসন প্রায় নিশ্চিত বলেই ধরছেন অনেকে। তার থেকেও বড় কথা হল, লুইসের এই চুমু বিতর্ক মাঠে মেয়েদের নিরাপত্তা নিয়ে আরও এক দফা প্রশ্ন তুলে দিয়েছে।

Kiss Controversy: চুমু বিতর্কে অভিযুক্ত লুইস, হতে পারে জেলও
Image Credit source: twitter
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 08, 2023 | 6:57 PM

মাদ্রিদ: চুমু বিতর্কের জল বহুদূর গড়াবে? পরিস্থিতি যে দিকে যাচ্ছে, অনেকেরই তাই মনে হচ্ছে। মেয়েদের বিশ্বকাপের (Women’s World Cup 2023) মঞ্চে স্প্যানিশ ফুটবলার জেনি হার্মোসোকে (Jenni Hermoso) চুমু খেয়েছিলেন। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আবেগে করে বসেছিলেন কিনা, প্রশ্ন তুলেছিলেন অনেকে। কিন্তু বিতর্ক বাড়তে স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশনের প্রধান লুইস রুবিয়ালসকে (Luis Rubiales) তিন মাসের জন্য সাসপেন্ড করে দেয় ফিফা। ওখান থেকেই ঘটনা আবার মোড় অন্য দিকে। জেনি সরাসরি বলে দিয়েছিলেন, তাঁর অনুমতি না নিয়েই এমন কাণ্ড করেছিলেন লুইস। যৌন হেনস্তার অভিযোগও করেছেন স্প্যানিশ ফুটবলার। সেই ঘটনায় আরও কোণঠাসা হয়ে পড়লেন লুইস। স্প্যানিশ প্রসিকিউটার্স বলে দিলেন, শুধু যৌন হেনস্তা নয়, লুইস জোরজবরদস্তিও করেছেন। সিডনিতে বিশ্বকাপের ফাইনালের পর থেকে যে বিতর্ক চলছে, তা যে আরও জটিল হয়ে যাচ্ছে, সন্দেহ নেই। TV9Bangla Sportsএ বিস্তারিত।

জেনি সরকারি ভাবে অভিযোগ আনার পর মাদ্রিদের কোর্টে মামলাটি ওঠে। সেখানে প্রসিকিউটাররা অভিযুক্ত করেছেন লুইসকে। গত বছরই স্পেনে যৌনতা সম্পর্কিত একটি কড়া আইন পাস হয়েছে। অভিযুক্ত প্রমাণিত হলে সেই অনুযায়ী জরিমানা তো বটেই, এক থেকে চার বছরের জেলও হতে পারে লুইসের। যৌন নির্যাতন আর যৌন হেনস্তা নিয়ে খুব পরিষ্কার ভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে ওই আইনে। যা বিপক্ষে যেতে পারে লুইসের। এর সঙ্গে জুড়ে যেতে পারে জোর করে চুমু খাওয়ার অভিযোগ। চুমু বিতর্ক চরমে ওঠার পরই লুইস কার্যত বাধ্য করেছিলেন জেনিকে, যাতে তিনি তাঁর পাশে দাঁড়ান। চুমুতে জেনির যে আপত্তি ছিল না, তা বলতে বলেছিলেন। জেনি অবশ্য পরিষ্কার করে দিয়েছিলেন তখন, তাঁর অনুমতি নিয়ে কোনও ভাবেই চুমু খাননি লুইস। আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য ডাকা হবে লুইসকে।

এমনিতেই লুইস ব্যাপক চাপে। স্প্যানিশ সরকার পুরো ব্যাপারটা খতিয়ে দেখছে। যদি লুইস অভিযুক্ত প্রমাণিত হন, তা হলে তাঁর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। এতেই শেষ নয়, ফিফার শৃঙ্খলারক্ষ কমিটিও এ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে দ্রুত। ফুটবল মাঠ থেকে চিরনির্বাসন প্রায় নিশ্চিত বলেই ধরছেন অনেকে। তার থেকেও বড় কথা হল, লুইসের এই চুমু বিতর্ক মাঠে মেয়েদের নিরাপত্তা নিয়ে আরও এক দফা প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। ফিফা থেকে শুরু করে সব সংগঠনকে ভাবিয়ে তুলেছে চুমু বিতর্ক।