
দোহা: দক্ষিণ কোরিয়ার (South Korea) বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে কাতার অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে বিশ্বকাপ ইতিহাসের প্রথম আসরের শিরোপা জয়ী উরুগুয়ে (Uruguay)। এই নিয়ে ১৪ তম বিশ্বকাপে (FIFA World Cup) অংশ নিতে যাচ্ছে তারা। দক্ষিণ কোরিয়ার এটি ১১তম বিশ্বকাপ। বিশ্বকাপের ইতিহাসে তাদের সর্বোচ্চ সাফল্য সেমিফাইনাল অবধি পৌঁছানো। ২০১০ সালের আসরে শেষ চারে উঠেছিল তারা। অন্য দিকে, ২০১৮ সালের রাশিয়া বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনাল অবধি পৌছেছিল উরুগুয়ে। এই নিয়ে অষ্টমবারের মতো বিশ্বকাপের ময়দানে মুখোমুখি হতে চলেছে উরুগুয়ে ও দক্ষিণ কোরিয়া।
দু-পক্ষই দক্ষতার সঙ্গে দল সাজিয়ে পৌঁছেছে কাতারে। কাতার বিশ্বকাপে উরুগুয়ের স্কোয়াডে জায়গা করে নিয়েছেন সে দেশের দুই অভিজ্ঞ ফুটবলার লুইস সুয়ারেজ এবং এডিনসন কাভানি। এই দুই তারকারই বয়স ৩৫ বছর। এবং এই বিশ্বকাপই সম্ভবত তাঁদের কেরিয়ারের শেষ বিশ্বকাপ। এ ছাড়াও উরুগুয়ের দলে জায়গা করে নিয়েছেন অপর তিন বর্ষীয়ান ফুটবলার। গোলকিপার ফার্নান্দো মুসলেরা, ডিফেন্ডার দিয়েগো গডিন এবং মার্টিন কাসেরেসও রয়েছেন উরুগুয়ের বিশ্বকাপ স্কোয়াডে।
উরুগুয়ের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়েই চলতি বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করতে চলেছে দক্ষিণ কোরিয়া। ১২ বছর পর ফের নকআউট পর্বে ওঠার লক্ষ্য নিয়ে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করতে চাইছেন দক্ষিণ কোরিয়ার পর্তুগিজ কোচ পাউলো বেন্তো। রক্ষণভাগ, মাঝমাঠ, ও আক্রমণভাগে রেখেছেন যোগ্যদেরই। তবে দলের অন্যতম সেরা তারকা সং হিউং মিনের ফিটনেস নিয়ে একটু উদ্বিগ্ন ছিলেন কোচ। তবে হাত ছাড়া করেননি তাঁকে। চ্যাম্পিয়ান্স লিগে খেলতে গিয়ে বাঁ চোখে বড় ধরনের চোট পেয়েছিলেন টটেনহ্যাম হটস্পার তারকা সন হিউং মিন। গত মাসেই তাঁর অস্ত্রোপচার হয়েছিল। ফলে আদৌ দলের হয়ে তিনি খেলতে পারবেন কিনা তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছিল। যদিও তারকা ফরোয়ার্ডকে বিশ্বকাপ স্কোয়াডে রেখেছিলেন পর্তুগিজ কোচ পাউলো বেন্তো। সনের চোট নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলেন দক্ষিণ কোরিয়ার সমর্থকরাও। যদিও বিশ্বকাপ খেলতে কাতারে পৌঁছনোর আগেই তারকা ফরোয়ার্ড উদ্বিগ্ন অনুগামীদের আশ্বস্ত করেছিলেন, বিশ্বকাপের আগেই সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠবেন। কিছুদিন মাস্ক পরেই অনুশীলন সারছিলেন। ম্যাচেও মাস্ক পরেই খেলবেন সন, এমনটাই সূত্রের খবর।