
দোহা: কাতারে পরিযায়ী শ্রমিকদের মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে অনেক দিন ধরেই সরব ইউরোপের দেশগুলি। মানবাধিকারের বিষয়টি নিয়ে ফিফাকে বিঁধতে পিছপা হচ্ছে না ইউরোপিয়ান ফুটবল ফেডারেশনগুলি। মানবাধিকারের পাশাপাশি সমকামিদেকর অধিকার নিয়েও সরব তারা। কাতারে এই অধিকারগুলি লঙ্ঘিত বলেই অভিযোগ তাঁদের। এ নিয়ে কাতারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানিয়ে একাধিক চিঠিও দিয়েছে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ। ফিফা এর আগে ওই ফেডারেশনগুলিকে উপদেশ দিয়েছিল, রাজনীতির বিষয় ছেড়ে ফুটবলে মনোনিবেশ করতে। বিশ্বকাপ শুরুর এক দিন আগে ইউরোপিয়ান সমালোচকদের উদ্দেশ্যে আরও সুর চড়ালেন ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনো। বিশ্বকাপের উদ্বোধনের আগে তিনি কাতারের মানবাধিকার নিয়ে ইউরোপের দেশগুলির সমালোচনাকে ‘ভণ্ডামি’ বলে অ্যাখ্যা দিয়েছেন।
বিশ্বকাপ সংক্রান্ত সাংবাদিক সম্মেলনে ইনফান্তিনো বলেছেন, “এই নৈতিক শিক্ষা এক তরফা। শুধুমাত্র ভণ্ডামি।” এর পর তিনি বলেছেন, “জীবনের শিক্ষা নিয়ে জ্ঞান দিতে চাই না আমি। এখন যেটা হচ্ছে সেটা গভীরভাবে অন্যায়। আমরা ইউরোপিয়ানরা গত তিন হাজার বছর ধরে সারা পৃথিবী জুড়ে যেটা করেছি, তার জন্য আগামী তিন হাজার বছর আমাদের ক্ষমা চাওয়া উচিত। লোককে জ্ঞান দেওয়ার আগে এগুলি মনে রাখা উচিত।”
কাতারে বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়ে অভিযোগ মূলত মানবাধিকার, নারী অধিকার এবং সমকামি অধিকার নিয়ে। এই কমিউনিটির প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন ইনফান্তিনো। এ নিয়ে তিনি বলেছেন, “আজ আমি নিজেকে কাতারি অনুভব করছি, আরবিয়ান মনে করছি, আফ্রিকান ভাবছি, গে ভাবছি, বিশেষ ভাবে সক্ষম ভাবছি।” কাতার কর্তৃপক্ষ মানবাধিকার নিয়ে জবাব দিতে গিয়ে ইউরোপের দেশগুলিতে বর্ণবিদ্বেষ এবং দ্বিচারিতার অভিযোগ তুলেছে।
এই সব বিতর্ককে সঙ্গী করেই কাতারে রবিবার থেকে শুরু হবে ফুটবল বিশ্বকাপ। ৩২ দেশ খেলতে নামবে সেই প্রতিযোগিতায়। প্রথম ম্যাচে আয়োজক কাতারের মুখোমুখি ইকুয়াডর।