বালাঘাট: অনূর্ধ্ব-১৯ খেলো ইন্ডিয়া গেমসে (Khelo India Youth Games) খারাপ রেফারিংয়ের শিকার বাংলা মহিলা দল (Bengal Football Team)। অনূর্ধ্ব-১৯ খেলো ইন্ডিয়ার সেমিফাইনালে ইতিমধ্যেই উঠে গিয়েছে বাংলা দল। হরিয়ানার সঙ্গে গোলশূন্য ড্রয়ের পর বিহারকে ৭-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছিল রাজদীপ নন্দীর দল। সোমবার মণিপুরের মুখোমুখি হয় বাংলা। ২-৩ গোলে হেরে যায় বাংলা। তবে ম্যাচ হারলেও সেমিফাইনালে পৌঁছে গেল মৌসুমি মুর্মু, মল্লিকা টুডুরা। তাই ম্যাচ হেরেও শেষ চারে বাংলার মেয়েরা। সেমিফাইনালে অরুণাচল প্রদেশের বিরুদ্ধে খেলবেন প্রিয়া রুইদাসরা। তবে গ্রুপের শেষ ম্যাচে মণিপুরের বিরুদ্ধে জঘন্য রেফারিংয়ের শিকার বাংলার মেয়েরা। জোর করে লাল কার্ড দেখানো হয় বাংলার ফুটবলার বন্দনা রায়কে। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla-র এই প্রতিবেদনে।
বাংলার কোচ রাজদীপ নন্দীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘বাংলা ফুটবল দলের সঙ্গে দিনে দুপুরে ডাকাতি করা হল। খেলার দ্বিতীয়ার্ধের চার মিনিটেই ইচ্ছাকৃত ভাবে বন্দনাকে লাল কার্ড দেখায় রেফারি। বলে পা চালালেও ওকে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখানো হয়।’ এরপর রাজদীপ যা বললেন, তা শুনলে রীতিমতো চমকে উঠতে হয়। বাংলার কোচ বলেন, ‘মণিপুরের এক ফুটবলারকে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখায় রেফারি। সঙ্গে সঙ্গে লাল কার্ডও বার করে। সেই ফুটবলার ড্রেসিংরুমের দিকেও চলে যায়। মণিপুরের কোচ চৌবা দেবী ম্যাচ কমিশনারকে কিছু বলতেই, মাঝপথে ওই কমিশনার খেলায় হস্তক্ষেপ করে। ড্রেসিংরুম থেকে সেই ফুটবলারকে আবার মাঠে ফেরত পাঠানো হয়। কারণ, রেফারি নাকি ওই ফুটবলারকে নয়, অন্য ফুটবলারকে হলুদ কার্ড দেখিয়েছিল। এও আবার সম্ভব!’
প্রতিযোগিতামূলক ফুটবল ম্যাচে এ রকম ঘটনা সত্যিই অবাক করার মতো। পাড়ার ফুটবলেও এমন ঘটনা ঘটে না। অথচ অনূর্ধ্ব-১৯ খেলো ইন্ডিয়া গেমসের মতো আসরে এ রকম ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটল। ম্যাচে রেফারির দায়িত্বে ছিলেন তামিলনাড়ুর রুবা দেবী। ম্যাচ কমিশনার ছিলেন মহারাষ্ট্রের জেপি সিং।