তুরিন: এ ভাবেও ফিরে আসা যায়। ফ্রান্স (France)-বেলজিয়াম (Belgium) ম্যাচ দেখার পর এই লাইনটাই সবার আগে মাথায় আসতে বাধ্য। অবিশ্বাস্য কামব্যাক। ফুটবল ইতিহাসে যদি ফিরে আসার কাহিনি দেখতে হয়, তাহলে ফ্রান্স-বেলজিয়াম ম্যাচ তার উদাহরণ হয়ে থাকবে। নেশনস লিগের (Nations League) সেমিফাইনালে বেলজিয়ামকে ৩-২ গোলে হারিয়ে ফাইনালে ফ্রান্স।
সকাল দেখলে সবসময় বোঝা যায় না দিনটা কেমন যাবে। প্রথমার্ধ দেখে বোঝার উপায় ছিল না দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচের এত নাটক বাকি আছে। টিনটিনের দেশ প্রথমার্ধে ২-০ এগিয়ে। লকার রুম থেকে বেরনোর পর অন্য রকম ফুটবল খেললেন বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
? Belgium versus France = game of two halves…
⚽️??⏰ 37 ‘ Carrasco
⚽️??⏰ 40′ Lukaku
⚽️??⏰ 62′ Benzema
⚽️??⏰ 69′ Mbappé
⚽️??⏰ 90’ T. Hernández #NationsLeague pic.twitter.com/UsdFncxTtk— UEFA Nations League (@EURO2024) October 7, 2021
এ যেন ঠিক আর্জেন্টিনা (Argentina)-ফ্রান্স (France) বিশ্বকাপ প্রি কোয়ার্টার ফাইনালের রিপিট টেলিকাস্ট। সে বার ১-২ পিছিয়ে থেকেও ৪-২ জিতেছিলেন এমবাপেরা (Mbappe)। বেলজিয়ামের বিরুদ্ধে ০-২ পিছিয়ে থাকার পর ৩-২ গোলে ম্যাচ জিতে মাঠ ছাড়লেন এমবাপেরা। দিদিয়ের দেশঁর (Didier Deshchamp) ছেলেরা দেখিয়ে দিল, পিছিয়ে থাকলে তারা আরও কতটা হিংস্র হয়ে উঠতে পারে।
প্রথমার্ধের ৩৭ মিনিটে কারাসকোর গোলে এগিয়ে যায় বেলজিয়াম। ৩ মিনিট বাদে দুরূহ কোণ থেকে গোল করে ব্যবধান ২-০ করেন লুকাকু। বেলজিয়ামের আগাম সেলিব্রেশন যে মাটি হয়ে যেতে পারে, বোঝা যায়নি তখনও। দ্বিতীয়ার্ধে গোল পরিশোধের লক্ষ্যে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে থাকেন দেশঁর ছেলেরা। তার ফলও মেলে হাতেনাতে। ৬২ মিনিটে করিম বেঞ্জেমার গোলে ব্যবধান কমায় ফ্রান্স। ৭ মিনিট বাদে পেনাল্টি থেকে গোল করে ম্যাচের ফল ২-২ করেন এমবাপে। খেলার একেবারে শেষ লগ্নে ফরাসি ব্রিগেডের মুখে হাসি এনে দেন থিও হার্নান্ডেজ। ৬ অক্টোবর ছিল তাঁর জন্মদিন। এক দিন বাদেই জাতীয় দলের হয়ে জয়সূচক গোল করে নিজের বার্থডে সেলিব্রেশন করলেন থিও। এ দিন দাদা লুকাস হার্নান্ডেজও খেলেন ফ্রান্সের হয়ে। ১৯৭৪ সালের পর আবারও ফ্রান্সের জার্সিতে একসঙ্গে খেললেন দুই ভাই। ১৯৭৪ সালে রোমানিয়ার বিরুদ্ধে ফ্রেন্ডলি ম্যাচে খেলেছিলেন হার্ভে ও প্যাট্রিক রেভেলি।