Gianluigi Buffon Retirement : ‘দু’জনে একসঙ্গে জিতেছি’, ৪৫ বছর বয়সে ফুটবলকে আলবিদা জানালেন বুফোঁ
ইতালির হয়ে বিশ্বকাপ জিতেছেন। এছাড়া জুভেন্তাসের জার্সি গায়ে একঝাঁক ট্রফি জেতা জিয়ানলুইগি বুফোঁ ৪৫ বছর বয়সে পেশাদার ফুটবলকে বিদায় জানালেন।
কলকাতা : “তুমি আমায় সব দিয়েছ। আমিও তোমায় ফিরিয়ে দিয়েছি। যা করার দু’জনে একসঙ্গে করেছি।” তিন লাইনের কবিতার ঢঙে ফুটবলের সঙ্গে প্রেমকে এভাবেই ব্যাখ্যা করে সবুজ মাঠকে বিদায় জানালেন জিয়ানলুইগি বুফোঁ। ৪৫ বছরের গোলরক্ষক জানিয়ে দিলেন, ফুটবলের সঙ্গে তাঁর সফরটা ছিল এ পর্যন্তই। খেলাটির সঙ্গে তাঁর দেওয়া-নেওয়ার গল্পের এখানেই ইতি। ৪০ পার হওয়ার পর থেকেই তাঁর অবসর নিয়ে গুঞ্জন ছড়াচ্ছিল। কিন্তু সেসবকে পরোয়া না করেই জুভেন্তাস, পিএসজির মতো ইউরোপের তাবড় তাবড় ক্লাবের হয়ে খেলেছেন। চোট আঘাত পিছু না ছাড়লেও হাল ছাড়েননি তিনি। কেরিয়ারের শেষ সময়ে ফিরে গিয়েছিলেন ক্লাব পার্মায়। ইতালির যে ক্লাব থেকে পেশাদার কেরিয়ার শুরু করেছিলেন সেখানে গিয়েই থামলেন অবশেষে। বিস্তারিত রইল TV9 Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
১৯৯৫ সালের ১৯ নভেম্বর পার্মার হয়ে পেশাদার ফুটবলে অভিষেক হয় বুফোঁর। দীর্ঘ ছয় বছর সেখানে কাটিয়ে ২০০১ সালে যোগ দেন ইতালিয়ান জায়ান্ট জুভেন্টাসে। ২০১৮ পর্যন্ত জুভের হয়ে টানা খেলে গিয়েছেন। এরপর একটা মরসুম পিএসজিতে কাটিয়ে ফের জুভেন্টাসে ফিরে যান। জুভেন্টাসের জার্সিতে দশ বার সিরি আ খেতাব জয়ের নজির রয়েছে তাঁর। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে তিন বার খেললেও ট্রফি জিততে পারেননি। পিএসজির হয়ে যে একটি মরসুম কাটিয়েছেন সেবারও লিগ জেতেন। সবচেয়ে বেশি ৯৭৪ মিনিটে গোল হজম না করার রেকর্ডও রয়েছে বুফোঁর ঝুলিতে।
That’s all folks! You gave me everything. I gave you everything. We did it together. pic.twitter.com/bGvIDsoFsG
— Gianluigi Buffon (@gianluigibuffon) August 2, 2023
শুধু ক্লাব নয়, আন্তর্জাতিক কেরিয়ারেরও মণি মাণিক্য কুড়িয়েছেন তিনি। ১৯৯৭ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত মোট ১৭৬টি ম্যাচ খেলে জিতেছেন বিশ্বকাপ। ২০০৬ সালে বিশ্বকাপ জেতেন তিনি। বুফোঁ হলেন কেরিয়ারে সবচেয়ে বেশি ম্যাচে গোল না খাওয়া গোলরক্ষক। সংখ্যাটি হল ৫০০।