East Bengal: ‘খাবরা শুধুই প্লেয়ার নয়…’, চোটের আপডেটে যা বললেন ইস্টবেঙ্গল কোচ…
ISL, East Bengal-Carles Cuadrat: গত ম্যাচে নর্থ ইস্টের বিরুদ্ধে ৫-০ জিতলেও আত্মবিশ্বাসী ছিল না দল! ইস্টবেঙ্গল কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাতকে দেখা যায় পঞ্চম গোলের পর সেলিব্রেশন করছেন। তার কারণও রয়েছে বলা যায়। এর আগে বেশ কিছু ম্যাচে লিড নিয়েও পুরো পয়েন্ট তুলতে পারেনি ইস্টবেঙ্গল। এগিয়ে থেকেও হেরেছে। সে প্রসঙ্গও উঠে এল। কার্লেস বলছেন, 'আমরা সকলেই আত্মবিশ্বাসের অভাবে ভুগছি। এমনকি ৪-০ এগিয়ে থাকার পরও সমর্থকরা চিন্তায় ছিল।'
কলকাতা: পরিসংখ্যান বলছে, ইন্ডিয়ান সুপার লিগের ইতিহাসে ইস্টবেঙ্গল কখনও টানা দু-ম্যাচ জেতেনি। এ বারের আইএসএল মরসুম শুরু হয়েছিল ড্র দিয়ে। পরের ম্যাচেই অনবদ্য জয় ইস্টবেঙ্গলের। কিন্তু ধারাবাহিকতা দেখাতে পারেনি লাল-হলুদ। বরং উল্টো ফলের ধারাবাহিকতা দেখা যায়। হারের হ্যাটট্রিক ইস্টবেঙ্গল। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়ানো কঠিন ছিল। ইস্টবেঙ্গল হারের হ্যাটট্রিকের পর ড্র করে। অবশেষে গত ম্যাচে নর্থ ইস্ট ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে জয়ে ফেরা। তাও আবার ৫-০’র বিশাল ব্যবধানে। সেটা নিয়েও অস্বস্তি। সেই ম্যাচেই হাঁটুতে চোট লাগে হরমনজ্যোত খাবরার। তাঁর চোটের কী পরিস্থিতি? পঞ্জাব ম্যাচের আগে ইস্টবেঙ্গল কোচ যা বললেন, বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
নর্থ ইস্টের বিরুদ্ধে প্রথমার্ধেই চোট লাগে খাবরার। ক্রাচ নিয়ে হাঁটতে হচ্ছে। কতদিনে মাঠে ফিরতে পারবেন, নিশ্চিত নয়। ক্লাবও তাঁর চোট নিয়ে বিবৃতি দিয়েছে। তবে নির্দিষ্ট কোনও সময় বলতে পারেনি। পঞ্জাব ম্যাচের আগের দিন খাবরার চোট নিয়ে ইস্টবেঙ্গল কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত বলছেন, ‘ওর চোট কতটা গুরুতর বুঝে উঠতে পারছি না। গোড়ালিতে চোট। ভালো করে না দেখলে বোঝা যাবে না।’ তবে খাবরার মতো প্লেয়ারকে না পাওয়া যে কত বড় ক্ষতি, সেটা বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে না ইস্টবেঙ্গল কোচের। কার্লেস বলছেন, ‘খাবরা শুধুই একজন প্লেয়ার নয়, ও লিডারও। ওকে না পাওয়াটা বিরাট ক্ষতি। তবে বাকিদের নিয়েই রাস্তা খুঁজে নিতে হবে। আমরা একজন লিডারকেও মিস করব।’
গত ম্যাচে নর্থ ইস্টের বিরুদ্ধে ৫-০ জিতলেও আত্মবিশ্বাসী ছিল না দল! ইস্টবেঙ্গল কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাতকে দেখা যায় পঞ্চম গোলের পর সেলিব্রেশন করছেন। তার কারণও রয়েছে বলা যায়। এর আগে বেশ কিছু ম্যাচে লিড নিয়েও পুরো পয়েন্ট তুলতে পারেনি ইস্টবেঙ্গল। এগিয়ে থেকেও হেরেছে। সে প্রসঙ্গও উঠে এল। কার্লেস বলছেন, ‘আমরা সকলেই আত্মবিশ্বাসের অভাবে ভুগছি। এমনকি ৪-০ এগিয়ে থাকার পরও সমর্থকরা চিন্তায় ছিল। তার কারণ, ওরাও আত্মবিশ্বাসের অভাবে ভুগছিল। এমনটা হয়। মরসুম যত এগোবে, সমর্থকরাও আত্মবিশ্বাস ফিরে পাবে। চার বছর পর ইস্টবেঙ্গল কোনও ম্যাচে ৫ গোল দিয়েছে। এ মরসুমে আমরা মোহনবাগানকে হারিয়েছি। ডুরান্ড কাপের ফাইনালে উঠেছি। আমরা একটা প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে এগচ্ছি।’
নর্থ ইস্ট ম্য়াচ প্রসঙ্গে আরও বলছেন, ‘ফুটবল এরকমই। কখনও আমরা জিতব, গোল করব। আবার কখনও পেনাল্টি মিস হতে পারে। ওরাও আগের দিন একটা পেনাল্টি মিস করে। ভাগ্যেরও কখনও কখনও দরকার হয়। এটাই ফুটবল। আমরা প্রতিনিয়ত চেষ্টা করি সেরাটা দেওয়ার।’