রিয়াধ: রিয়াল মাদ্রিদ অতীত। ১৪টা বছর স্পেনের ক্লাবে কাটিয়ে সৌদি আরবে পাড়ি দিয়েছেন করিম মোস্তাফা বেঞ্জেমা (Karim Benzema)। ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর পর সৌদি আরবের ফুটবলে যুক্ত হল আরও একটি বড় নাম। রোনাল্ডোর প্রতিপক্ষ ক্লাব আল ইতিহাদে যোগ দিয়েছেন তিনি। বেঞ্জেমার সৌদি যাওয়ার পিছনে মূল কারণ কী হতে পারে? নতুন চ্যালেঞ্জ নেওয়ার ইচ্ছে, অন্য একটি দেশের ফুটবল লিগ খেলা অথবা বিপুল অঙ্কের আর্থিক প্যাকেজ (বছরে প্রায় ৮৮১ কোটি টাকা)। নাহ্, এগুলোর কোনওটারই নাম নিলেন না ফরাসি স্ট্রাইকার। ব্যালন ডি’অর জয়ী ফুটবলার তাঁর সৌদি যাওয়ার পিছনে ধর্মকেই মূল কারণ হিসেবে দেখছেন। সেটাই নাকি তাঁকে স্পেন থেকে সৌদি আরবে টেনে এনেছে। কেন সৌদিকে বেছে নিলেন? বেঞ্জেমা বলেছেন, “কারণ সৌদি একটা মুসলিম অধ্যুষিত দেশ এবং আমি নিজে একজন মুসলিম।” বিস্তারিত রইল TV9 Bangla Sports– র এই প্রতিবেদনে।
এ বারের সৌদি প্রো লিগ খেতাব জিতেছে আল ইতিহাদ। ক্লাবটি ৩৫ বছরের বেঞ্জেমাকে দলে নিয়ে তিন বছরের চুক্তিতে। ২০২৬ সাল পর্যন্ত ফরাসি স্ট্রাইকার মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটিতে রোজগার করবেন প্রতি মরসুমে প্রায় ২০০ মিলিয়ন ইউরো। রিয়াল মাদ্রিদ ছেড়ে সৌদি প্রো লিগের মতো কম জনপ্রিয় একটি লিগে খেলার পিছনে এমন বিশাল আর্থিক প্যাকেজ ছাড়া আর কীই বা কারণ থাকতে পারে? আল ইতিহাস ক্লাবের মিডিয়া চ্যানেলে বেঞ্জেমা যেটা বলেছেন তাতে চোখ কপালে উঠেছে অনেকের। কেন সৌদি আরবকে বেছে নিলেন? এর উত্তরে প্রাক্তন রিয়াল মাদ্রিদ তারকা বলেছেন, “কারণটা হল আমি একজন মুসলিম এবং এটা একটা মুসলিম দেশ। আমার সবসময়ই এ দেশে থাকার ইচ্ছে ছিল।” আল ইতিহাদে যোগ দেওয়ায় কাজের পাশাপাশি সৌদিতে থাকার ইচ্ছেও পূরণ করে নিলেন বেঞ্জেমা।
আগামী দিনে সৌদির ফুটবলের ব্যপক উন্নতির সম্ভাবনা দেখছেন বেঞ্জেমা। বিশেষ করে তাঁর ও ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর দেশটির ফুটবল লিগে যোগ দেওয়ার পর। তিনি বলেন, “নতুন চ্যালেঞ্জ নিয়েছি। নিজের প্রতিভা প্রদর্শনের জন্য আমি তৈরি। এই লিগে এখন অনেক বড় বড় নাম যুক্ত হয়েছে। প্রথমে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো, তারপর আমি। সবাইকে দেখিয়ে দেওয়া প্রয়োজন যে সৌদি ফুটবল বিশ্ব দরবারে প্রভাব ফেলতে পারে। এখানে শুধুমাত্র ভালো খেলাটাই বড় বিষয় নয়। আমি ইউরোপে যে সাফল্য পেয়েছি তা এখানেও নিয়ে আসার চেষ্টা করব। রিয়াল মাদ্রিদে যেভাবে খেলতাম ঠিক একইভাবে এখানে খেলতে পারব।”