Indian Football: ট্রেনিংয়ে কতটা উন্নতি ইন্ডিয়ান টাইগার-টাইগ্রেসদের? পারফরম্যান্সের তথ্যভিত্তিক রেজাল্ট মিলবে…

Indian Tigers and Tigresses Campaign: এই ২৮ জন ফুটবল প্রতিভার মধ্যে ২ জন মেয়ে ও ছেলেকে দেওয়া হয়েছিল জার্মানির স্টুটগার্টে বিশেষ অনুশীলনের সুযোগ। দেশে ফিরেছে ইন্ডিয়ান টাইগার-টাইগ্রেসরা। স্বপ্ন এখানেই শেষ নয়। বরং নতুন শুরু। বিদেশে ট্রেনিংয়ে কতটা উন্নতি হল?

Indian Football: ট্রেনিংয়ে কতটা উন্নতি ইন্ডিয়ান টাইগার-টাইগ্রেসদের? পারফরম্যান্সের তথ্যভিত্তিক রেজাল্ট মিলবে...
Image Credit source: TV9 Network

Apr 08, 2025 | 4:40 PM

টিভি নাইন নেটওয়ার্কের বিশেষ উদ্যোগ ইন্ডিয়ান টাইগার অ্যান্ড টাইগ্রেস। সারা দেশ জুড়ে ফুটবল প্রতিভা অন্বেষণের কাজ চলছে। নতুন প্রজন্মের ৫০ হাজার ফুটবলারের আঞ্চলিক ট্রায়ালের পর সেরা ২৮ জনকে বেছে নেওয়া হয়েছিল জার্মানি এবং অস্ট্রিয়ায় ট্রেনিংয়ের জন্য। অস্ট্রিয়ার মুন্ডেন অ্যাকাডেমিতে অনুশীলন করেছে এই নতুন প্রজন্মের ফুটবলাররা। শুধু তাই নয়, প্রস্তুতি ম্যাচও খেলেছে। এই ২৮ জন ফুটবল প্রতিভার মধ্যে ২ জন মেয়ে ও ছেলেকে দেওয়া হয়েছিল জার্মানির স্টুটগার্টে বিশেষ অনুশীলনের সুযোগ। দেশে ফিরেছে ইন্ডিয়ান টাইগার-টাইগ্রেসরা। স্বপ্ন এখানেই শেষ নয়। বরং নতুন শুরু। বিদেশে ট্রেনিংয়ে কতটা উন্নতি হল?

ভারতীয় ফুটবলে সবচেয়ে বড় প্রতিভা অন্বেষণের উদ্যোগ টিভি নাইন নেটওয়ার্কের সৌজন্যে। বাছাই করা ২৮ ফুটবলার ইউরোপের জার্মানি এবং অস্ট্রিয়ায় বিশেষ ট্রেনিং সেরে ফিরেছে। তাদের স্বাগত জানিয়েছেন ভারতে অস্ট্রিয়ার রাষ্ট্রদূত ক্যাথরিনা উইজার। এই ‘স্পেশাল ২৮’ দেশ ছাড়ার আগে টিভি নাইন নেটওয়ার্কের হোয়াট ইন্ডিয়া থিঙ্কস টুডে সামিটে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই উদ্যোগকে অভাবনীয় এবং দুর্দান্ত বলে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, দেশের ক্রীড়ামন্ত্রী মনসুখ মান্ডব্যও এই উদ্যোগে আপ্লুত। নতুন প্রজন্মের এই ফুটবলারদের ২০৩৬ সালের অলিম্পিকের পাশাপাশি ফিফা ফুটবল বিশ্বকাপ খেলার স্বপ্ন দেখার বার্তাও দিয়েছেন। সেনা যেমন দেশের হয়ে লড়াই করে তেমনই ক্রীড়াবিদরাও দেশকে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পান। ইন্ডিয়ান টাইগার অ্যান্ড টাইগ্রেসদের এই উদাহরণ দিয়েও প্রেরণা জোগান ক্রীড়ামন্ত্রী।

ভারতীয় ফুটবলের এই ভবিষ্যৎ চ্যাম্পিয়নরা মুন্ডেন ফুটবল অ্যাকাডেমিতে প্র্যাক্টিসের পাশাপাশি প্রীতি ম্যাচও খেলেন। তা তদারকিতে ছিলেন ইউরোপের সেরা কোচেরা। অস্ট্রিয়া সরকারের তরফেও এই উদ্যোগকে স্বাগত জানানো হয়েছে এবং সবরকম ভাবে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। খেলাধুলোর মাধ্যমে ভারত-অস্ট্রিয়ার মধ্যে বন্ধুত্ব আরও গভীর হবে, এমনটা মনে করেন অস্ট্রিয়ার রাষ্ট্রদূতও। শুধু ট্রেনিংই নয়, ভারতের এই নতুন প্রতিভারা কতটা উন্নতি করছেন, সমস্ত তথ্যভিত্তিক পরীক্ষার ফলও জানাবে অস্ট্রিয়া ও জার্মানির ফুটবল অ্যাকাডেমি।

আধুনিক ফুটবলে অনুশীলনই সব নয়। আন্তর্জাতিক স্তরে ভালো পারফর্ম করতে হলে ফুটবল স্কিল, স্ট্রেন্থ, বুদ্ধিমত্তা, গতি সবকিছুর মিশেল প্রয়োজন। হার্ডওয়ার্কের সঙ্গে প্রয়োজন স্মার্টওয়ার্ক। এর জন্য সঠিক ট্রেনিংয়ের পাশাপাশি প্রয়োজন সমস্ত তথ্যও। যা দিয়ে কোনও ফুটবলারকে সার্বিক ভাবে বিশ্লেষণ সম্ভব। ইন্ডিয়ান টাইগার অ্যান্ড টাইগ্রেসদের অনুশীলন এবং প্রস্তুতি পর্যবেক্ষণ করেছেন অস্ট্রিয়ার কোচ এবং ইউরোপের স্পোর্টস সায়েন্টিস্টরা। যার ফলে ইন্ডিয়ান টাইগার অ্যান্ড টাইগ্রেসদের নানা তথ্য পাওয়া সম্ভব।

দীর্ঘ কয়েকদিনের প্রস্তুতি পর্ব শেষে সেখানকার ট্রেনার, কিংবদন্তি ফুটবলার এবং ক্লাব প্রেসিডেন্ট জেরাল্ড রিডেলের সঙ্গে ঐতিহাসিক মহূর্ত ক্যামেরাবন্দিও করে রাখা হয় ইন্ডিয়ান টাইগার-টাইগ্রেসদের। এ ছাড়াও অস্ট্রিয়ায় ইন্ডিয়া ফুটবল সেন্টার এবং মুন্ডেনার মিচ ক্লাবের লোগো সহ টি-শার্টও উপহার দেওয়া হয়েছে। দু-দেশের ফুটবল বন্ধুত্বের প্রতীক হিসেবেই এই উপহার।