হানঝাউ: এক গোলে পিছিয়ে পড়া, গোল শোধ, পেনাল্টি সেভ। ভারতের প্রত্যাশার বেলুন চুপসে গেল ম্যাচের রেজাল্টে। এশিয়ান গেমসে ১-৫ গোলে হেরে যাত্রা শুরু ভারতীয় ফুটবল দলের। এশিয়ান গেমসে সুযোগ পাওয়া নিয়ে প্রচুর কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে ব্লু টাইগার্সদের। প্রথমার্ধে দুর্দান্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা। রাহুল কেপির বিশ্বমানের গোল। দ্বিতীয়ার্ধে একপেশে লড়াই। এশিয়ান গেমসে হতাশায় যাত্রা শুরু হল সুনীল ছেত্রীদের। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
এশিয়ান গেমসে টিম ইভেন্টে অংশ নেওয়ার জন্য ক্রীড়ামন্ত্রকের বিশেষ নিয়ম রয়েছে। এশিয়ার মধ্যে প্রথম আটে থাকতে হবে। এশিয়ায় ভারতীয় ফুটবল দল রয়েছে ১৮ নম্বরে। তবে গত এক বছর অনবদ্য ফুটবল খেলেছে ভারতীয় ফুটবল দল। এশিয়ান গেমসে ভালো পারফর্ম করতে পারলে আত্মবিশ্বাস বাড়বে। জাতীয় দলের কোচ ইগর স্টিমাচ ভারতের প্রধানমন্ত্রীকেও অনুরোধ করেন যাতে ভারতকে খেলার সুযোগ করে দেওয়া হয়। সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনও ক্রীড়ামন্ত্রক এবং ভারতীয় অলিম্পিক সংস্থার সঙ্গে বারবার আলোচনা করে। অবশেষে দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত। প্লেয়ার ছাড়া নিয়েও ক্লাবের সঙ্গে ফেডারেশনের দ্বন্দ্ব ছিল। অনূর্ধ্ব ২৩ টুর্নামেন্ট হলেও তিনজন সিনিয়র প্লেয়ার খেলানোর সুযোগ রয়েছে। সুনীল ছেত্রী এবং শেষ মুহূর্তে সন্দেশ ঝিঙ্গানকে পাওয়া যায়।
গ্রুপ এ-র প্রথম ম্যাচে চিনের বিরুদ্ধে নেমেছিল ভারত। সুনীল ছেত্রী এবং সন্দেশ ঝিঙ্গান শুরু থেকেই খেলেন। কার্যত বিনা প্রস্তুতিতেই নামতে হয়েছে। প্রথমার্ধের পারফরম্যান্স ভরসা দেওয়ার মতোই। পিছিয়ে পড়ে ভারত। তাতেও হার মানেনি। ২৪ মিনিটে আয়ুষ ছেত্রী ভুল পাসে বল পায় প্রতিপক্ষ। গোলকিপার গুরমিত তাঁকে আটকাতে মরিয়া চেষ্টা করেন। পেনাল্টি পায় চিন। ডান দিকে ঝাঁপিয়ে অনবদ্য সেভ করেন গুরমিত। প্রথমার্ধের অ্যাডেড টাইমে রাহুল কেপির বিশ্বমানের গোল। ডান দিক থেকে প্রচণ্ড গতিতে উঠছিলেন। এমন জায়গা থেকে প্রথম পোস্টে বল রাখা! পোস্টের ইনসাইড লেগে জালে। প্রথমার্ধের অ্যাডেড টাইমে গোল শোধ ভারতের।
দ্বিতীয়ার্ধে সব হিসেব ওলট-পালট হয়ে যায়। ১-১ স্কোর লাইন থেকে ১-৫ ব্যবধানে হার। ২১ তারিখ বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ম্যাচ সুনীলদের। সেই ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যাশা।