হানঝাউ: সুন্দর শুরু, কিন্তু শেষটা নয়। এশিয়ান গেমসে এ দিন চিনের বিরুদ্ধে নেমেছিল ভারতীয় ফুটবল টিম। ১-১ স্কোর লাইনে বিরতিতে যায় দু-দল। ম্যাচের ফাইনাল স্কোরলাইন চিনের পক্ষে ৫-১। ভারতীয় ফুটবল প্রেমীদের হতাশ হওয়াই স্বাভাবিক। এশিয়ান গেমসে খেলা নিয়ে চূড়ান্ত নাটক হয়েছে। প্রথমত ভারতীয় টিমের সুযোগই পাওয়ার কথা ছিল না। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে অনুরোধ করেন খোদ জাতীয় দলের কোচ ইগর স্টিমাচ। গত এক বছর অনবদ্য পারফর্ম করেছে ভারতীয় দল। ফুটবল প্রেমীরাও সোশ্যাল মিডিয়ায় দাবি তোলেন, এশিয়ান গেমসে দল পাঠানোর। অবশেষে ক্রীড়ামন্ত্রকের সবুজ সংকেত মেলে। কিন্তু ক্লাব ও ফেডারেশনের দ্বন্দ্বে প্লেয়ার পাওয়া নিয়েই ধোঁয়াশা তৈরি হয়। সিনিয়রদের মধ্যে সুনীল ছেত্রী এবং শেষ মুহূর্তে সন্দেশ ঝিঙ্গানকে পাওয়া গিয়েছে। অনেক ঝড়ঝাপ্টা সামলে তাই প্রথম ম্যাচের ফল নিয়ে ‘গর্বিত’ অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার সন্দেশ। এর কারণও ব্যাখ্যা করলেন। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
সন্দেশ ঝিঙ্গান বলছেন, ‘হার খুবই হতাশার। আমারও কষ্ট হচ্ছে। তবে দলের সকলের জন্য গর্বিত।’ এর কারণ ব্যাখ্যায় সন্দেশ বলেন, ‘আমাদের পরিস্থিতিটা দেখুন। আমি বোধ হয় ভোর ৩.৩০-৪ টে নাগাদ হোটেলে পৌঁছেছি। রক্ষণে আমার সঙ্গী পৌঁছেছে ১০.৩০টা নাগাদ। কোনও অজুহাত দিচ্ছি না। বাস্তবটা বোঝাতে চাইছি। খুবই কঠিন পরিস্থিতিতে খেলতে হয়েছে।’
এ বছর তিনটি আন্তর্জাতিক ট্রফি জিতেছে ভারতের সিনিয়র দল। ত্রিদেশিয় টুর্নামেন্ট, কন্টিনেন্টাল কাপ এবং সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ। ফিফা ক্রমতালিকায় এগিয়ে থাকা দলকে হারিয়েছে। সিনিয়র দলে একঝাঁক তরুণ ফুটবলার ছিলেন। দল শক্তিশালী হলেই মাঠে নেমে ভালো পারফর্ম করা যাবে, তা নয় বলেই মত সন্দেশের। তাঁর পরিষ্কার বার্তা, ‘মানসিক ভাবে যতই শক্তিশালী হই না কেন, একটা বিষয় হয়তো সকলেরই নজরে পড়েছে, ৫৫ মিনিটের পর অনেকেই হাল ছেড়ে দিয়েছে। আমরা ইতিবাচক মানসিকতা নিয়েই খেলি। ম্যাচে অনেক কিছুই ভালো করেছি। তবে এটাও জানি, আমরা কেন হেরেছি।’
বৃহস্পতিবার ভারতের পরবর্তী ম্যাচ। মাঝে মাত্র একটা দিন। বিশ্রাম নাকি অনুশীলন! দু-ক্ষেত্রেই যেন অস্বস্তি। সন্দেশ বলছেন, ‘৪৮ ঘণ্টারও কম সময়ের ব্যবধানে আমাদের আরও একটা ম্যাচ। চেষ্টা করছি পরবর্তী ম্যাচেই ফোকাস করতে।’