
নয়াদিল্লি : আবারও দরপত্রের মাধ্যমে আই লিগে সরাসরি খেলতে দেখা যেতে পারে কর্পোরেট দলগুলিকে। বেশ কয়েক বছর আগে কর্পোরেট দলগুলি সরাসরি আই লিগে খেলার যোগ্যতা পেত। আইএসএল শুরু হওয়ার পর বহু বছর সেই প্রক্রিয়া থেমে ছিল। এখন আইএসএলে সরাসরি কোনও ফ্র্যাঞ্চাইজি দলের খেলার সম্ভাবনা নেই। তাই আই লিগে কর্পোরেট দলগুলিকে সরাসরি সুযোগ দেওয়ার ভাবনায় সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন। আই লিগে অংশ নেওয়ার জন্য দরপত্র তুলতে হবে কর্পোরেট দলগুলিকে। এর আগে আইএসএলের ক্ষেত্রে ঠিক যেমনটা হয়ে থাকত। এমনকি আই লিগেও এই ছবি এর আগে দেখা গিয়েছে। সোমবারই এই ইস্যুতে বৈঠকে বসে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের লিগ কমিটি। ফেডারেশনের সবুজ সংকেত মিললেই আই লিগে সেই প্রক্রিয়া আবারও শুরু হবে। বিস্তারিত রইল TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
কর্পোরেট দল বেঙ্গালুরু এফসির উত্থান আই লিগেই। দু’বার আই লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বেঙ্গালুরু এফসি। আইএসএলেও চ্যাম্পিয়ন হয়েছে উদ্যানগরীর দল। এমনকি গোকুলম কেরালা এফসি, মিনার্ভা পঞ্জাব এফসিও (বর্তমানে রাউন্ডগ্লাস পঞ্জাব) দু’বার আই লিগ জিতেছে। কর্পোরেট দল চেন্নাই সিটি এফসিও আই লিগ খেতাব পেয়েছে। বিভিন্ন শহরের দলকে দেখা যেতে পারে আই লিগে। তার জন্য তিন স্তরের ক্রাইটেরিয়াও রাখা হয়েছে। সেই তিনটি শর্ত পূরণ করতে পারলেই সেই দলকে দেখা যেতে পারে আই লিগে খেলতে।
ভারত এফসি, ডিএসকে শিবাজিয়ান্সের মতো কর্পোরেট দলগুলি কয়েক বছর খেলেই দল তুলে নিয়েছে। এই ছবির পুনরাবৃত্তি যাতে না হয়, সে দিকেও নজর রাখছে ফেডারেশন। সুদেবা এফসি আর শ্রীনিধি ডেকানও আই লিগে কোয়ালিফাই করেছে। ফেডারেশনের আগের প্রস্তাব অনুযায়ী, আই লিগে সরাসরি খেলতে পাঁচ বছরের জন্য বার্ষিক ৩ কোটি টাকা লাইসেন্স ফি দিতে হত দলগুলিকে। ৩ বছরের জন্য অবনমনের আওতার বাইরে থাকত ফ্র্যাঞ্চাইজি দলগুলো। আই লিগকে আরও আকর্ষণীয় করতে কী পদক্ষেপ নেয় ফেডারেশন তা অবশ্যই দেখার। তবে কর্পোরেট দলগুলিকে আগ্রহ দেখালে ভারতীয় ফুটবল যে উন্নতির পথে এগোবে তা বলাই বাহুল্য।