দুবাই: দেশের অধিনায়কত্ব করার স্বপ্ন এতদিনে পূরণ হয়েছে তাঁর। ওমানের বিরুদ্ধে আর্মব্যান্ড পরে মাঠে নেমেছিলেন সন্দেশ ঝিঙ্গান (Sandesh Jhingan)। আর সেই ম্যাচেই স্মরণীয় পারফরম্যান্স ভারতের। ০-১ পিছিয়ে থেকে মনবীর সিংয়ের (Manveer Singh) গোলে ১-১।
বিপিন সিংদের ( Bipin Singh) মতো একঝাঁক তরুণ ফুটবলার খেলেছেন ওমান ম্যাচটা। এটাই ‘নতুন ভারত’এর ইউএসপি বলে মনে করছে সন্দেশ। ভারতের ক্যাপ্টেনের কথায়, ‘বিজ্ঞান, খেলা কিংবা যে ক্ষেত্রেই সাফল্যের একটাই মন্ত্র, প্রতিভাবানরা যেন উঠে আসে। যুব উন্নয়নই একমাত্র পথ, যেখান থেকে নতুন সুনীল ছেত্রী, সন্দেশ ঝিঙ্গানরা উঠে আসতে পারে। কিংবা একটা গুরপ্রীত সিং পেতে পারেন।’
ব্রাজিল, আর্জেন্তিনা, স্পেন, জার্মানি— যে কোনও দেশেরই ফুটবল বিপ্লবের পিছনে রয়েছে তারুণ্য। সন্দেশ বলছেন, ‘বেলজিয়াম হোক, জার্মানি কিংবা ইংল্যান্ড, বিশ্ব ফুটবলের মানচিত্রে যারাই ভালো জায়গায় পৌঁছেছে, তারা এই এক দর্শন অনুসরণ করেছে। দেখে ভালো লাগছে, টিমের নতুন প্লেয়াররা নিজেদের তৈরির জন্য চমত্কার ট্রেনিং করেছে। ওদের ভবিষ্যত্ অত্যন্ত উজ্জ্বল।’
আরও পড়ুন: শ্রেয়সের বিকল্পের খোঁজে দিল্লি
মনবীর, বিপিনদের তরুণ ব্রিগেডকে আলাদা করে মোটিভেট করতে হয় না। তাঁরা সেরাটা দেওয়ার জন্য মুখিয়ে আছেন। এমনই মনে করছেন সন্দেশ। তাঁর কথায়, ‘ওদের দেখে ভালো লাগছে যে, ওদের তাতানোর দরকার পড়ে না। ওরা সব সময় মোটিভেটেড। যে কোনও ম্যাচ খেলার জন্য মানসিক ভাবে মুখিয়ে থাকে। অবশ্য প্লেয়ারদের ধীরস্থির হতে হবে, বুদ্ধি থাকতে হবে। কিন্তু একটা ফুটবল ম্যাচ জেতার জন্য আগ্রাসনটাও দরকার পড়ে। এই টিমটার মধ্যে এই গুণগুলো ভীষণ ভাবে রয়েছে। ক্যাপ্টেন হিসেবে যে কারণে আমার কাজটা অনেক সহজ হয়ে গিয়েছে।’