Indian Football: সর্ষের মধ্যেই ভূত! আইএফএর ভুলেই এলিট লিগে ব্রাত্য বাংলার ফুটবলাররা?

কৌস্তভ গঙ্গোপাধ্যায় | Edited By: দীপঙ্কর ঘোষাল

Dec 09, 2023 | 7:30 AM

Bengal Football News: ঘটনা প্রকাশ্যে আসতে নাকি রাতারাতি আইএফএর তরফ থেকে আবার নম্বরও বাড়িয়ে দেওয়া হয়। তবে তাতে লাভের লাভ কিছু হয়নি। রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী নিজের উদ্যোগেই বেঙ্গল ফুটবল অ্যাকাডেমিকে ঢেলে সাজিয়েছেন। অথচ সেই অ্যাকাডেমি কিনা খেলবে অ্যাডভান্স লিগে। রাজ্যের আরও বেশ কয়েকটি অ্যাকাডেমিতে অত্যাধুনিক ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও এলিট ক্যাটেগরিতে জায়গা পায়নি। ফলে যুব ফুটবলাররাই এতে বঞ্চিত হল।

Indian Football: সর্ষের মধ্যেই ভূত! আইএফএর ভুলেই এলিট লিগে ব্রাত্য বাংলার ফুটবলাররা?
Image Credit source: TV9 Bangla Graphics

Follow Us

কলকাতা: সর্ষের মধ্যেই ভূত! সমস্যা কি তাহলে অনেক গভীরে? বাংলা থেকে ফেডারেশনের এলিট ক্যাটেগরি অ্যাকাডেমিতে জায়গা পেয়েছে একটি মাত্র ক্লাব। সেটি ইউনাইটেড স্পোর্টস। কর্ণাটক, পঞ্জাব থেকে যেখানে একাধিক অ্যাকাডেমি জায়গা করে নিয়েছে এলিট অ্যাকাডেমিতে, সেখানে বাংলা থেকে কিনা একটি মাত্র ক্লাব! তালিকা প্রকাশ্যে আসার পরই হইচই পড়ে যায় বাংলার ফুটবলে। এমনিতেই জাতীয় দলে এখন সেভাবে বাঙালির দেখা নেই। প্রীতম কোটাল, শুভাশিস বসু, রহিম আলি ছাড়া জাতীয় দলে সে ভাবে খেলার সুযোগও কেউ পায় না। যে রাজ্য থেকে ভূরি ভূরি অ্যাকাডেমি রাতারাতি তৈরি হয়ে যায়, সেখান থেকে কিনা একটি মাত্র অ্যাকাডেমি জায়গা পেল এলিট ক্যাটেগরিতে! ময়দানে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে ‘ঘুঘুর বাসা’ হয়ে উঠেছে আইএফএ। বিস্তারিত রইল TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।

বেঙ্গল ফুটবল অ্যাকাডেমির মতো অত্যাধুনিক অ্যাকাডেমি জায়গাই পেল না এলিট ক্যাটেগরিতে। অথচ এই ক্যাটেগরিতে আবেদন করার সুযোগ ছিল আইএফএর। কিন্তু বাংলার ফুটবল সংস্থা নাকি জেগে জেগে ঘুমাচ্ছিল। তাই এলিট ক্যাটেগরিতে আবেদন করার কথা বেমালুম ভুলে গিয়েছে আইএফএ।

তিনটে ক্যাটেগরিতে অ্যাকাডেমিগুলোকে ভাগ করে ফেডারেশন। যুব ফুটবলে জোর দিতেই অ্যাকাডেমিতে বিশেষ নজর দিচ্ছে ফেডারেশন। সেই তিনটে ক্যাটেগরি হল- বেসিক, অ্যাডভান্স আর এলিট। এলিট ক্যাটেগরিতে জায়গা পাওয়ার জন্য ১৩টি ক্রাইটেরিয়া পূরণ করতে হয়। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল- বিভিন্ন বয়সভিত্তিক দল, টেকনিক্যাল স্টাফ, ট্রেনিং ফেসিলিটি, মেডিক্যাল টিম, মহিলা ফুটবল দল এবং আরও অনেক কিছু। এই সব কিছু পর্যবেক্ষণের জন্য অফিসার বা স্পেশালিস্ট নিয়োগ করা হয়। রাজ্য ফুটবল সংস্থা নিজেদের অ্যাকাডেমিগুলো পর্যবেক্ষণের জন্য এমন অফিসার নিয়োগ করে থাকে। তারপর বিভিন্ন অ্যাকাডেমি পরিদর্শন করে সেই ভিত্তিতে নম্বর প্রদান করা হয়।

শোনা যাচ্ছে, যুব লিগে খেলার জন্য আইএফএ সিএমএস অফিসার হিসেবে একজন ক্লাবের প্রতিনিধিকে নিয়োগ করেছিল। নম্বর প্রদানের সময় সেই অফিসার নাকি ছিলেন অমৃতসরে। মহিলা ফুটবল দলের সঙ্গে ম্যানেজার হিসেবে গিয়েছিলেন সেই ব্যক্তি। অভিযোগ, যুব লিগ বা অ্যাকাডেমি চালানোর অভিজ্ঞতা না থাকলেও তাঁকে সিএমএস অফিসার হিসেবে নিয়োগ করা হয়। সেই ব্যক্তির অনুপস্থিতিতেই অ্যাকাডেমিগুলোতে পরিদর্শন করে আইএফএ। অথচ সবার অজান্তেই ভেতরে ভেতরে নাকি অ্যাকাডেমিগুলোর জন্য নম্বর নির্ধারণ করা হয়। অমৃতসর থেকে সেই ব্যক্তি যখন শহরে ফিরে আসেন রাতারাতি নম্বর প্রদান করা হয়। একেবারে ভরা কারচুপি বলা চলে।

ঘটনা প্রকাশ্যে আসতে নাকি রাতারাতি আইএফএর তরফ থেকে আবার নম্বরও বাড়িয়ে দেওয়া হয়। তবে তাতে লাভের লাভ কিছু হয়নি। রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী নিজের উদ্যোগেই বেঙ্গল ফুটবল অ্যাকাডেমিকে ঢেলে সাজিয়েছেন। অথচ সেই অ্যাকাডেমি কিনা খেলবে অ্যাডভান্স লিগে। রাজ্যের আরও বেশ কয়েকটি অ্যাকাডেমিতে অত্যাধুনিক ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও এলিট ক্যাটেগরিতে জায়গা পায়নি। ফলে যুব ফুটবলাররাই এতে বঞ্চিত হল। যাদের এলিট লিগে খেলার কথা ছিল, আইএফএর গাফিলতিতে তাদের আর সেখানে খেলার সুযোগ হচ্ছে না।

Next Article