Indian Football Team: ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ২৯ ধাপ পিছিয়ে, ইরাকের কাছে হেরেও জয়ী ব্লু টাইগার্স!
Kings Cup, INDIA vs IRAQ: আক্রমণ ভাগে একঝাঁক তরুণ ফুটবলার। শক্তিশালী ইরাকের বিরুদ্ধে নির্ধারিত সময়ে স্কোরলাইন ২-২। কিংস কাপের নিয়ম অনুযায়ী সরাসরি টাইব্রেকার। ইরাকের মতো শক্তিশালী দলের কাছে টাইব্রেকারে ৪-৫ ব্যবধানে হারেও যেন মানসিক ভাবে ভারতের জয়।

চিয়াং মাই, থাইল্যান্ড: সাহসী ফুটবলে স্বপ্ন দেখাল ব্লু টাইগার্স। কিংস কাপের সেমিফাইনালে ইরাকের বিরুদ্ধে নেমেছিল ভারত। ফিফা ক্রমতালিকায় ভারতের চেয়ে ২৯ ধাপ এগিয়ে ইরাক। সদ্য আরব গাল্ফ কাপ জিতেছে তারা। এশিয়ান কাপের অন্যতম ফেভারিট। তাদের বিরুদ্ধে দাপুটে ফুটবল। পিতৃত্বকালীন ছুটিতে এই টুর্নামেন্টে নেই সুনীল ছেত্রী। আক্রমণ ভাগে একঝাঁক তরুণ ফুটবলার। শক্তিশালী ইরাকের বিরুদ্ধে নির্ধারিত সময়ে স্কোরলাইন ২-২। কিংস কাপের নিয়ম অনুযায়ী সরাসরি টাইব্রেকার। ইরাকের মতো শক্তিশালী দলের কাছে টাইব্রেকারে ৪-৫ ব্যবধানে হারেও যেন মানসিক ভাবে ভারতের জয়। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
ব্রেন্ডন ফার্নান্ডেজের প্রথম শট পোস্টে লাগে। সেখানেই পিছিয়ে পড়ে ভারত। প্রথম শটে ইরাক গোল করে। ভারতের দ্বিতীয় শট সন্দেশ ঝিঙ্গানের। তিনি গোল করেন। ইরাক দ্বিতীয় শটেও গোল করে। ১১ নম্বর জার্সির সুরেশ সিং গোল করেন। ইরাক পরবর্তী শটেও গোল করে। ম্যাচ ক্রমশ জমে ওঠে। ইরাক ৩-২ ব্যবধানে এগিয়ে যায়। ভারতের হয়ে আনোয়ার আলি গোল করে লড়াইয়ে রাখেন। চারটি করে শটের পর ৪-৩ এগিয়ে যায় ইরাক। ভারতের পঞ্চম শট নেন রহিম আলি। গোল করে আশা বাঁচিয়ে রাখেন। কিন্তু পঞ্চম শটেও গোল ইরাকের। ৫-৪ ব্যবধানে জিতে ফাইনালে ইরাক।
ম্যাচের ১৬ মিনিটে সাহাল আব্দুল সামাদের থ্রু বল নাওরেম মহেশের গোল। ইরাকের বিরুদ্ধে ১-০ এগিয়ে যায় ভারত। ইরাকের মতো প্রতিপক্ষর বিরুদ্ধে এগিয়ে যাওয়া! ভারতীয় দলকে আত্মবিশ্বাস দেয়। তবে আত্মতুষ্টি ছিল না। ২৭ মিনিটে গোলে শট। অনিচ্ছাকৃত হলেও ভারতের সেন্টারব্যাক সন্দেশের হাতে লাগে। পেনাল্টি পায় ইরাক। গ্রাউন্ডার শটে গোল করে সমতা ফেরান আলি আল হামাদি। ঠিক দিকেই ডাইভ দিয়েছিলেন গুরপ্রীত। বল অবধি পৌঁছতে পারেননি। জমি ঘেসা শটে এমনিতেও কিছুটা দুর্বলতা রয়েছে গুরপ্রীতের। এ ক্ষেত্রে তাঁর বিশেষ কিছু করারও ছিল না। ৩৪ মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পায় ইরাক। একটি ফ্রি-কিক গুরপ্রীতের সামনে বাউন্স খেয়ে পোস্টে লাগে। ফিরতি বলেও বিপদ ছিল। তবে রক্ষণ ভাগ এবং গুরপ্রীতের সৌজন্যে সে যাত্রায় ইরাককে এগতে দেয়নি ভারত।
বিরতির পর আরও চনমনে ভারত। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুর দিকে আকাশ মিশ্রর শট। ইরাক গোলকিপারের হাত ফসকে গোলে। হাসানের আত্মঘাতী গোলে ২-১ এগিয়ে যায় ভারত। ইরাককে কখনও হারায়নি ভারত। সুবর্ণ সুযোগ ছিল ভারতের সামনে। কিন্তু কড়া রেফারিংয়ে ৭৮ মিনিটে ফের পেনাল্টি পায় ইরাক। ৮০ মিনিটে গাদবনের পেনাল্টি গোলে ২-২ করে ইরাক। ৪ মিনিট অ্যাডেড টাইম দেওয়া হয়। অ্যাডেড টাইমে ব্রেন্ডন ফার্নান্ডেজকে মুখে মারেন ইরাকের ১১ নম্বর জার্সির মিডফিল্ডার জিদান ইকবাল। সরাসরি রেড কার্ড দিয়ে তাঁকে বের করে দেন রেফারি। জিদান ইকবার ২০২১ সালে ম্যান ইউতে ছিলেন। ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর সঙ্গে ড্রেসিংরুম শেয়ার করারও সুযোগ হয়েছে।
প্রতিপক্ষ শক্তিশালী হলেও এই ফলে সন্তুষ্ট নয় ভারতীয় টিম। ম্যাচের প্রথম গোলদাতা নাওরেম মহেশ তা পরিষ্কার করে দিলেন। টাইব্রেকারে ব্রেন্ডনের শট যদি পোস্টে না লাগতো, ৮০ মিনিটের পেনাল্টিটা না হলে! এমন কিছু জিনিস না হলে ইরাককে হারিয়ে ইতিহাস গড়ত ভারত। রবিবার ব্রোঞ্জের ম্যাচে নামছে ব্লু টাইটার্স।
