
কলকাতা: দলবদলের বাজার সরগরম। সামনের মরসুমের জন্য দল গোছানোর কাজ শুরু করে দিয়েছে ক্লাবগুলো। ইস্টবেঙ্গলও জোরকদমে নেমে পড়েছে দল বদলের বাজারে। গত মরসুমে ভালো দল করেও সম্পূর্ণ ব্যর্থ লাল-হলুদ। একটি প্রতিযোগিতাতেও ভালো ফলাফল করতে পারেনি ইস্টবেঙ্গল। এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগ থেকে আইএসএলে সম্পূর্ণ ভরাডুবি অবস্থা। সব ভুলে সামনে তাকাতে চাইছে লাল-হলুদ ম্যানেজমেন্ট। একাধিক ভারতীয় ফুটবলার থেকে হাইপ্রফাইল বিদেশির সঙ্গে কথা চালাচ্ছে ইস্টবেঙ্গল।
গত মরসুমে হাইপ্রোফাইল বিদেশিদের সই করিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। এঁরা নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি। তাই এই মরসুমে রিক্রুটাররা দলে চাইছে গেমচেঞ্জার বিদেশি। শোনা যাচ্ছে, দুই বিদেশিকে প্রায় পাকা করে ফেলেছে ইস্টবেঙ্গল। বসুন্ধরা কিংসের তারকা মিডফিল্ডার মিগুয়েল ফিগুয়েরাকে প্রায় পাকা করে ফেলেছেন ক্লাব। অঘটন না ঘটলে সামনের মরসুমে লাল-হলুদের জার্সি গায়ে চাপানো সম্ভাবনা চূড়ান্ত। দ্বিতীয় বিদেশি হতে পারেন সার্বিয়ার ৩০ বছরের সেন্টার ব্যাক ইভান মিলাদিনোওভিচ। এই দীর্ঘকায় সেন্টার ব্যাকের সঙ্গে অনেক দূর কথা এগিয়েছে ইস্টবেঙ্গলের। গতি রয়েছে। লং বলেও দারুণ। পাসিং অ্যাকিউরিসিও চমৎকার। বল পায়ে খুব ঠান্ডা মাথার খেলোয়াড়। আরও কয়েক জন বিদেশির সঙ্গেও কথা বলছে ইস্টবেঙ্গল। নজরে রয়েছেব ল্যাটিন আমেরিকার কিছু প্লেয়ার।
বিদেশিদের পাশাপাশি একাধিক ভারতীয়দের দিকেও নজর। পিভি বিষ্ণুর সঙ্গে আরও ৩ বছরের চুক্তি নবীকরণ করেছে দল। দলের হেড অব ফুটবল পদে যোগ দিয়েছেন থংবোই সিংটো। ভারতীয় প্লেয়ার বাছাইয়ের কাজে বড় ভূমিকা পালন করছেন। তাঁর প্রাক্তন ছাত্রকেও এবার দলে নিচ্ছেন ইস্টবেঙ্গল। মুম্বই সিটি এফসির তারকা উইংগার বিপিন সিংকেও প্রায় পাকা করে ফেলেছে লাল-হলুদ। আর এক মুম্বই তারকা মেহেতাব সিংয়ের দিকেও নজর রয়েছে। তবে পড়শি ক্লাব মোহনবাগানও লড়াইয়ে রয়েছে।
আর এক তরুণ সাইড ব্যাক অভিষেক সিংয়ের সঙ্গে কথা চালাচ্ছে ইস্টবেঙ্গল। তাঁকে নিতে হলে ট্রান্সফার ফি দিতে হবে লাল-হলুদকে। রাহুল ভেকের দিকেও রয়েছে চোখ। চার্চিল ব্রাদার্সের ক্যাপ্টেন হান সিংকেও দলে নিতে চাইছে অস্কার। এই বছর ২৭য়ের সাইড ব্যাক দারুণ খেলেছেন এই মরসুমে। আইলিগের আরও এক তারকা লাজংয়ের হার্ডি নংব্রিকেও সামনের মরসুমে দলে নিতে পারে ইস্টবেঙ্গল।