East Bengal: মাদ্রিদে দেখেছিলেন কোচ, দুই তরুণ তুর্কিকে সই করাল ইস্টবেঙ্গল
East Bengal Transfer News: লাল-হলুদের নতুন বিদেশি কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাতের পরামর্শেই এই দু-জনকে সই করানো হয়েছে। অনূর্ধ্ব ১৭ দলে গুইতে এবং গুরনাজকে দেখে পছন্দ হয়েছে ইস্টবেঙ্গলের স্প্যানিশ কোচের।
অভিজ্ঞদের পাশাপাশি নতুন প্রজন্মে ভরসা রাখছে ইস্টবেঙ্গল। ভারতের অনূর্ধ্ব ১৭ দলের দুই ফুটবলারকে সই করাল লাল-হলুদ। দু-জনকেই দারুণ প্রতিভাবান হিসেবে দেখছে ভারতীয় দলও। অনূর্ধ্ব ১৭ জাতীয় দলের এই দুই ফুটবলার হলেন ভানলালপেকা গুইতে এবং গুরনাজ সিং গ্রেওয়াল। ঠিক কত বছরের জন্য তাঁদের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে, তা অবশ্য খোলসা করেনি ইস্টবেঙ্গল। তবে পরিষ্কার বলা হয়েছে, এই দুই তরুণ ফুটবলারকে দীর্ঘ চুক্তিতে সই করানো হয়েছে। বিস্তারিত রইল TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
ভারতীয় অনূর্ধ্ব ১৭ দলের দুই মিডফিল্ডার এই বয়সেই নজর কাড়ছেন। তাঁদের সই করাতে পেরে উচ্ছ্বসিত লাল-হলুদ শিবির। ইমামি গ্রুপের কর্তা সন্দীপ আগরওয়াল বলছেন, ‘গুইতে এবং গুরনাজ, দু-জনই অনূর্ধ্ব ১৭ জাতীয় দলের হয়ে নজর কাড়ছে। ভবিষ্যতের ভাবনা থেকেই এই দুই ফুটবলারকে সই করানো হল।’
লাল-হলুদের নতুন বিদেশি কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাতের পরামর্শেই এই দু-জনকে সই করানো হয়েছে। অনূর্ধ্ব ১৭ দলে গুইতে এবং গুরনাজকে দেখে পছন্দ হয়েছে ইস্টবেঙ্গলের স্প্যানিশ কোচের। এ বছর অনূর্ধ্ব ১৭ এএফসি এশিয়ান কাপের আগে স্পেনে প্রস্তুতি ম্যাচে এই দু-জনের খেলা দেখেন কুয়াদ্রাত।
ইস্টবেঙ্গল কোচ বলেন, ‘কয়েক মাস আগে গুইতে এবং গুরনাজকে ভারতের অনূর্ধ্ব ১৭ দলের হয়ে মাদ্রিদে খেলতে দেখেছি। এই দুই তরুণ ফুটবলার আমার নজর কেড়েছে। খেলার ধরন, টিমের প্রতি দায়বদ্ধতা দারুণ। তরুণ প্লেয়ারদের তুলে আনা খুবই জরুরি। আশাকরি, পেশাদার ফুটবলে ওদের আরও দক্ষ করা যাবে। আমি নিজে বার্সেলোনার লা মাসিয়া অ্যাকাডেমি থেকে উঠে এসেছি। চাইব, তরুণ ফুটবলারদের সুযোগ দিতে।’
গত বছর অনূর্ধ্ব ১৭ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে সেরা ফুটবলার হয়েছিলেন গুইতে। এছাড়াও অনূর্ধ্ব ১৭ এএফসি এশিয়ান কাপে নজর কেড়েছেন। গুইতে আইজলের ফুটবলার। ইস্টবেঙ্গলে নিজের সেরাটা দিতে প্রস্তুত। ১৬ বছরের এই মিডিও বলছেন, ‘ইস্টবেঙ্গলের হয়ে খেলার সুযোগ দারুণ গর্বের। কোচ কুয়াদ্রাত এবং দলের সিনিয়র সতীর্থদের থেকে যতটা সম্ভব শেখার চেষ্টা করব।’ আর এক মিডফিল্ডার গুরনাজ বলছেন, ‘আমাকে এই সুযোগ দেওয়ার জন্য কোচ এবং ইস্টবেঙ্গলের প্রতি কৃতজ্ঞ। ঐতিহ্যশালী ইস্টবেঙ্গল জার্সি পরার জন্য মুখিয়ে রয়েছি।’