Kolkata Derby: আনোয়ারকে নিয়ে সরগরম; তোপ মোহনবাগানের, জবাব ইস্টবেঙ্গলের
East Bengal vs Mohun Bagan: গত মরসুমে মোহনবাগানে খেলেছিলেন। এ মরসুমে লাল-হলুদে সই করেছেন। যদিও তাঁর পারফরম্যান্স সেই অর্থে ভালো জায়গায় নেই। আনোয়ারকে নিয়ে মামলাও চলছে। শুনানি পিছিয়ে যাওয়ায় বড় ম্যাচে খেলতে সমস্যা ছিল না। কিন্তু পারফরম্যান্স হতাশারই। আনোয়ার আলিকে কি অতিরিক্ত গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে?
ডার্বি খেলা নিয়ে অনিশ্চয়তায় ছিলেন আনোয়ার আলি। গত মরসুমে মোহনবাগানে খেলেছিলেন। এ মরসুমে লাল-হলুদে সই করেছেন। যদিও তাঁর পারফরম্যান্স সেই অর্থে ভালো জায়গায় নেই। আনোয়ারকে নিয়ে মামলাও চলছে। শুনানি পিছিয়ে যাওয়ায় বড় ম্যাচে খেলতে সমস্যা ছিল না। কিন্তু পারফরম্যান্স হতাশারই। আনোয়ার আলিকে কি অতিরিক্ত গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে? ও কি সত্যিই বড় প্লেয়ার? এই প্রশ্নও উঠছে। আনোয়ার ইস্যুতে ইস্টবেঙ্গলকে তোপ মোহনবাগান কর্তার। জবাব দিল ইস্টবেঙ্গলও।
আনোয়ারকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে কিনা প্রশ্নে মোহনবাগান সচিব দেবাশিস দত্ত বলেন, ‘আনোয়ার অবশ্যই বড় প্লেয়ার। কিন্তু ও যাদের পরামর্শে চলছে, তারা ওর কেরিয়ার নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে। আমি শুধু বলব, ভগবান ওনাদের সুবুদ্ধি দিক, আনোয়ারকে মুক্তি দিক।’ আনোয়ার আলি মানসিক ভাবে বিধ্বস্ত বলেই মনে করেন দেবাশিস দত্ত। মাঠের বাইরের ঘটনা নিয়ে আনোয়ার সমস্যায় রয়েছেন বলেও মনে করেন।
মোহনবাগান কর্তা আরও বলছেন, ‘আনোয়ার ওর কেসটার জন্য চাপে রয়েছে। ও তো বুঝে উঠতে পারছে না, ওকে নির্বাসন দেওয়া হবে কিনা, কত টাকা জরিমানা হবে, আদৌ খেলতে পারবে কিনা। ও এসব ভাবানতেই চাপে রয়েছে।’ আনোয়ারের মানসিক চাপ নিয়ে জবাব এল ইস্টবেঙ্গলের তরফেও। বড় ম্যাচে প্রথম গোলটির ক্ষেত্রে আনোয়ারের ভুল ছিল এমন প্রশ্নে ইস্টবেঙ্গলের শীর্ষকর্তা নীতু সরকার বলেন, ‘কেন আনোয়ারের। ভুল তো মাঝমাঠেই হয়েছে।’
আনোয়ারের কি মানসিক চাপ রয়েছে? ওকে মনোবিদের কাছে নিয়ে যাওয়া উচিত? এই প্রশ্নে ইস্টবেঙ্গল শীর্ষকর্তা সাফ বলছেন, ‘সেটা তো আনোয়ারই বলতে পারবে। ও মনে করলে অবশ্যই পাঠাবো।’ অস্কার ব্রুজোকে নিয়ে মোহনবাগান কর্তা বলেন, তাঁকে দর্শক হিসেবে ডাগআউটে রাখা হয়েছিল। যা শুনে ইস্টবেঙ্গল কর্তার জবাব, ‘যারা জেতে, অনেক কিছুই বলে। এটা রুচির ব্যাপার।’ টিমের পারফরম্যান্স নিয়ে শুধুমাত্র কোচের দিকে আঙুল তুলতে নারাজ। বলছেন, ‘প্লেয়াররাও আশা করি বুঝতে পারছে। ওদেরও এত হারতে আশা করি ভালো লাগছে না।’