Mohun Bagan vs East Bengal: ডার্বিতে ‘জঘন্য’ রেফারিং নিয়ে এক বৃন্তে মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গল!

ISL 2024, Kolkata Derby Referring: আইএসএলে এ মরসুমের প্রথম ডার্বি পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন রাহুল গুপ্ত। ক্ষুব্ধ মোহনবাগান সচিব দেবাশিস দত্ত বলেন, 'ইস্টবেঙ্গল আর মোহনবাগান দুই পক্ষই রেফারিং নিয়ে সরব। রেফারিংয়ের মান নিয়ে যত কম কথা বলা যায়, ততই ভালো। রাহুল গুপ্তা কয়েকদিন আগেই অত্যন্ত জঘন্য রেফারিং করা সত্ত্বেও কেন তাকে হাইভোল্টেজ ডার্বিতে দায়িত্ব দেওয়া হল, বুঝলাম না।'

Mohun Bagan vs East Bengal: ডার্বিতে 'জঘন্য' রেফারিং নিয়ে এক বৃন্তে মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গল!
Image Credit source: ISL
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 05, 2024 | 9:00 PM

দীর্ঘ কয়েক বছর পর ডার্বির সেই পুরনো উত্তেজনা যেন ফিরে পাওয়া যাচ্ছে। টানা জিতে আসছিল মোহনবাগান। এ মরসুমে ইস্টবেঙ্গলও জিতেছে দুটি ডার্বি। মাঠের সেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা দেখা গিয়েছে মরসুমের প্রথম আইএসএল ডার্বিতে। এই প্রথম আইএসএলের ডার্বিতে পয়েন্ট পেয়েছে ইস্টবেঙ্গল। রুদ্ধশ্বাস ম্যাচ শেষ হয় ২-২ স্কোরলাইনে। দু-দলেরই আক্ষেপ তিন পয়েন্ট না পাওয়ার। দুই শিবিরের যাবতীয় ক্ষোভ রেফারিং নিয়েই। মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গল মাঠে যতই কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বী হোক, ডার্বিতে রেফারিং ইস্যুতে এক বৃন্তে দুই প্রধান। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।

আইএসএলে এ মরসুমের প্রথম ডার্বি পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন রাহুল গুপ্তা। ক্ষুব্ধ মোহনবাগান সচিব দেবাশিস দত্ত বলেন, ‘ইস্টবেঙ্গল আর মোহনবাগান দুই পক্ষই রেফারিং নিয়ে সরব। রেফারিংয়ের মান নিয়ে যত কম কথা বলা যায়, ততই ভালো। রাহুল গুপ্তা কয়েকদিন আগেই অত্যন্ত জঘন্য রেফারিং করা সত্ত্বেও কেন তাকে হাইভোল্টেজ ডার্বিতে দায়িত্ব দেওয়া হল, বুঝলাম না।’

সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনকেও তুলোধানা করেন। তিনি আরও বলেন, ‘এআইএফএফের অন্য উদ্দেশ্য আছে কিনা জানিনা। অনেকে বলছে ডার্বির গুরুত্ব কমিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। ফেডারেশন প্রচুর মিটিং করে। তার রেজাল্ট জিরো। ফেডারেশনের মাথায় একজন প্রাক্তন ফুটবলার বসে আছে। তার কাছে আর্জি এই ধরণের রেফারিকে পুরোপুরি নির্বাসনে পাঠানো উচিত। অন্য রেফারিদের জন্য দরজা খুলে দেওয়া উচিত। জেলায় জেলায় হয়তো ভালো রেফারি আছে। সেরকম হলে শুধু ডার্বি নয়, যে কোনও হাইভোল্টেজ ম্যাচে বিদেশি রেফারি দিয়ে ম্যাচ পরিচালনা করা উচিত। ফেডারেশন সভাপতিকে অনুরোধ, আপনি এটা গুরুত্ব সহকারে দেখুন এবং পদক্ষেপ নিন। এত নিম্নমানের রেফারিং হলে, ফুটবলের উন্নতি কিভাবে সম্ভব!’

ইস্টবেঙ্গল শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকারও প্রায় একই সুরে বলেন, ‘নন্দকে যেভাবে বক্সে ফাউল করল, তা রেফারির চোখ এড়িয়ে গেল। মহেশ আর সায়নকে বিশ্রী ভাবে মারার পরও কার্ড দিল না। রেফারিং ইস্যু নিয়ে আমরা আমাদের বক্তব্য কল্যাণ চৌবেকে জানিয়েছি। এ ভাবে চললে ভারতীয় ফুটবলের বিপদ। তবে ম্যাচ আমরা ভালো খেলেছি। মনে হয়, ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরাও উপভোগ করেছে। আমরা খারাপ সময় কাটিয়ে উঠছি ধীরে ধীরে।’