কার্ড সমস্যায় সৌভিক চক্রবর্তী ছিলেন না ডার্বিতে। তিনি থাকলে শুরু থেকে সুযোগই পেতেন না। সৌভিকের মতো মিডিওর পরিবর্তে খেলা, একে বারেই সহজ নয়। পাহাড়প্রমাণ চাপ নিয়ে নামতে হয়েছিল। তাঁর উপর ভরসা রেখেছিলেন কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত। এ মরসুমে আইএসএলের প্রথম ডার্বিতে নজর কাড়লেন অজয় ছেত্রী। এই তরুণ ফুটবলারের গোলে তিন মিনিটের মধ্যেই লিড নিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। লিড অবশ্য ধরে রাখা যায়নি। ম্যাচ ড্র হলেও অজয়ের পারফরম্যান্স নজর কেড়েছে। ম্যাচ শেষে দুই শিবিরের দুই প্লেয়ার যা বলছেন, বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
সাপ্লাই লাইন ঠিক রাখতে ইস্টবেঙ্গল জুনিয়র টিমের অনেককেই সিনিয়র টিমে প্রোমোশন দেওয়া হয়েছিল। আইএসএলে খেলার সুযোগ পেয়েছেন বেশ কয়েকজন। সীমিত সুযোগে নজর কেড়েছেন বিষ্ণু, সায়ন, অজয়রা। বড় ম্যাচ তারকার জন্ম দেয়। ইস্টবেঙ্গল শিবিরে এ বারের আইএসএলের প্রথম ডার্বিতে তারকা হয়ে উঠলেন অজয় ছেত্রী। ম্যাচের তিন মিনিটেই দলকে এগিয়ে দিয়েছিলেন। ইস্টবেঙ্গল জিতলে হয়তো গোলের সঠিক মূল্যায়ণ হত। ডার্বিতে প্রথম গোল। সেই কৃতিত্বও কম নয়। অজয় বলছেন, ‘ডার্বিতে প্রথম গোল। স্বপ্নপূরণ হল। কোচ আমার উপর ভরসা রেখেছিলেন। আমার তরফে কোচ কুয়াদ্রাতকে গুরুদক্ষিণা’।
রুদ্ধশ্বাস ডার্বিতে দু-বার পিছিয়ে পড়েও ড্রয়ে মোহনবাগানের নায়ক দিমিত্রি পেত্রাতোস। ম্যাচের সেরার পুরস্কারও জিতলেন। আর ম্যাচ শেষ হতেই তাঁর ফোকাস অন্য ম্যাচে। সম্প্রচারকারী চ্যানেলে পেত্রাতোস বলেন, ‘আমরা দু-বার পিছিয়ে পড়েও ফিরেছি। গ্যালারির আবহ দুর্দান্ত ছিল। ইস্টবেঙ্গল কঠিন লড়াইয়ের সামনে ফেলেছিল। হাবাস সবে দায়িত্ব নিয়েছে। হঠাৎ সব কিছু বদলে যাওয়া সম্ভব নয়। আমরা ভালো খেলেছি, সর্বস্ব দিয়ে চেষ্টা করেছি। সমানে সমানে লড়াই করেছি। তবে আমার কাছে এই ম্যাচ অতীত। পরের ম্যাচের কথা ভাবতে হবে।’