ইন্ডিয়ান সুপার লিগে অ্যাওয়ে ম্যাচ দিয়ে মরসুম শুরু হয়েছে ইস্টবেঙ্গলের। শুরুতেই হতাশা। বেঙ্গালুরু এফসির বিরুদ্ধে অ্যাওয়ে ম্যাচে হার। আজ এ মরসুমের দ্বিতীয় ম্যাচ। এ বারও অ্যাওয়ে। প্রতিপক্ষ কেরালা ব্লাস্টার্স। দু-দলের শুরুটাই খারাপ হয়েছে বলা যায়। প্রথম ম্যাচে কেরালা ব্লাস্টার্স হেরেছে পঞ্জাব এফসির কাছে। ঘুরে দাঁড়ানোর ম্যাচ। ঘরের মাঠে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে কেরালা ব্লাস্টার্সই। গ্যালারির সমর্থনও বাড়তি তাগিদ জোগাবে। ইস্টবেঙ্গল শিবিরে নজর তরুণ ডিফেন্ডার আনোয়ার আলির দিকে।
আনোয়ার আলিকে নিয়ে দীর্ঘ টানাপোড়েন চলছিল। গত মরসুমে লোনে মোহনবাগানে ছিলেন আনোয়ার। এ মরসুমে ইস্টবেঙ্গলে সই করেছেন। আর এই সই নিয়েই নানা জটিলতা ছিল। আনোয়ার আলি মোহনবাগানের প্লেয়ার নাকি ইস্টবেঙ্গলের, জল গড়ায় কোর্ট পর্যন্ত। তাঁকে নির্বাসিতও করা হয়েছিল চার মাসের জন্য। অবশেষে গত বৃহস্পতিবার তাঁকে ছাড়পত্র দিয়েছে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন। দীর্ঘ দিন ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে শুধু প্রস্তুতিই সেরেছেন আনোয়ার। কেরালা ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে লাল-হলুদ জার্সিতে অভিষেক হতে পারে আনোয়ারের।
ইস্টবেঙ্গল শিবিরে আরও এক প্লেয়ারের দিকে নজর থাকবে। দিমিত্রিয়স দায়মান্তাকোস। গত মরসুমে কেরালা ব্লাস্টার্সের জার্সিতে খেলেছিলেন। বিধ্বংসী পারফর্ম করেছিলেন দিমিত্রিয়স। এ মরসুমে তাঁকে সই করিয়েছে ইস্টবেঙ্গল। যে দলের হয়ে খেলেছিলেন, তাদের বিরুদ্ধেই ম্যাচ। দিমিত্রিয়সের কাছে আবেগের পরিস্থিতি। আর এই ম্যাচে ভালো পারফর্ম করেই নজরে পড়ার সুযোগও বেশি। গত মরসুমে কার্লেস কুয়াদ্রাতের কোচিংয়ে ভালো পারফর্ম করেছিল ইস্টবেঙ্গল। এ বার প্রত্যাশা আরও বেশি। এখনও অবধি সেই মানের পারফর্ম করতে পারেনি ইস্টবেঙ্গল।