মহমেডান স্পোর্টিংয়ের জন্য আরও একটি হতাশার ম্যাচ। দীর্ঘ বিরতির পরও পরিস্থিতি বদলাল না। ইন্ডিয়ান সুপার লিগে এর আগে হারের হ্যাটট্রিক। তারপর ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে মিনি ডার্বি। মাত্র ৯ জনের ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধেও ড্র করেছিল মহমেডান স্পোর্টিং। বিরতির পর ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া ছিল সাদা কালো ব্রিগেড। সেই সুযোগ এল দ্রুতই। বেঙ্গালুরু এফসির বিরুদ্ধে ম্যাচের মাত্র ৮ মিনিটেই এগিয়ে যায় মহমেডান স্পোর্টিং। কিন্তু শেষ দিকে পেনাল্টি উপহার এবং সুনীল ছেত্রীর দুর্দান্ত হেডার। যদিও সেটি ফ্লোরেন্তের আত্মঘাতী গোল দেওয়া হয়। ঘরের মাঠে আবারও এগিয়ে থেকে হার মহমেডান স্পোর্টিংয়ের।
দীর্ঘ বিরতির পর শূন্য থেকে শুরু করবেন, এমনটাই জানিয়েছিলেন মহমেডান স্পোর্টিংয়ের কোচ আন্দ্রে চের্নিশভ। তবে শেষ মুহূর্তে তাঁর ডিফেন্সে যে স্নায়ুর চাপের সমস্যা, এতদিনেও মেটেনি। গোলকিপার ভাস্কর রায় বেশ কিছু অনবদ্য সেভ না করলে আরও সমস্যায় পড়ত মহমেডান স্পোর্টিং। ম্যাচের ৮ মিনিটে মানজোকির গোলে এগিয়ে যাওয়ায় আত্মবিশ্বাসী ছিল মহমেডান। তার উপর ঘরের মাঠের সমর্থন। এক গোলের ব্যবধান কখনও সুরক্ষিত নয়। আক্রমণ ভাগ মরিয়া চেষ্টা করে লিড বাড়ানোর। তা আর হয়নি।
আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় জানানো সুনীল ছেত্রীকে পরিবর্ত হিসেবে নামায় বেঙ্গালুরু এফসি। আর তাতেই মহমেডান ডিফেন্সের অস্বস্তি আরও বাড়ে। ম্যাচের ৮২ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল ভারতীয় ফুটবলের কিংবদন্তি সুনীল ছেত্রীর। শেষ মুহূর্তে মরিয়া চেষ্টা করে মহমেডানের আক্রমণ ভাগ। মানজোকি ও অ্যালেক্সিস গোমেজের দুটি শটে দুর্দান্ত সেভ করেন বেঙ্গালুরু এফসি তথা জাতীয় দলের গোলরক্ষক গুরপ্রীত সিং সান্ধু। ম্যাচে ৮ মিনিট অ্যাডেড টাইম দেওয়া হয়। আর ইনজুরি টাইমের এক্কেবারে শেষ মুহূর্তে সুনীল ছেত্রীর হেডার। মহমেডানের যাবতীয় লড়াইয়ে জল ঢেলে দেয়। ফানাই চিপ করেন, সুনীল ছেত্রীর হেড। শেষ টাচ ফ্লোরেন্তের হওয়ায় আত্মঘাতী গোল দেওয়া হয়।
আইএসএলের তরফে প্রাথমিক ভাবে, সেটি আত্মঘাতী গোল বলা হলেও পরে জানানো হয়, ম্যাচ অফিসিয়ালরা সেই গোল সুনীলের নামেই দিয়েছেন। সেখানেও অবশ্য ধোঁয়াশা রাখা হয়েছে। তবে এটুকু বলা যায়, সুপার সাব সুনীল ছেত্রীর কাছেই হার মহমেডানের।
গ্যালারির জন্যও অস্বস্তি মহমেডান। ইনজুরি টাইমে মহমেডানের কিছু সমর্থক অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেন। মাঠে ছোড়া হয় জলের বোতল। এর আগেও কিশোর ভারতীতে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। দীর্ঘ সময় বন্ধ রাখতে হয়েছিল ম্যাচ। এমন চলতে থাকলে সমস্যায় পড়বে ক্লাব। শাস্তির মুখেও পড়তে হতে পারে মহমেডান স্পোর্টিংকে।