ইন্ডিয়ান সুপার লিগে এ মরসুমেই অভিষেক হয়েছে মহমেডান স্পোর্টিংয়ের। নানা বাধা বিপত্তি কাটিয়ে টুর্নামেন্টে খেলা শুরু করেছিল তারা। পারফরম্যান্সেও নজর কাড়ছিল মহমেডান স্পোর্টিং। চেন্নায়িন এফসির বিরুদ্ধে অ্যাওয়ে ম্যাচে জিতেওছিল। ইন্ডিয়ান সুপার লিগে সেটিই তাদের প্রথম জয়। একমাত্র জয় হয়েই রয়ে গিয়েছে। কলকাতা মিনি ডার্বিতে মোহনবাগানের কাছে একপেশে হারের পর যেন সমস্ত আত্মবিশ্বাস উধাও মহমেডান স্পোর্টিংয়ের। গত ম্যাচে কেরালা ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে এগিয়ে থেকেও হেরেছিল। এ দিন হায়দরাবাদ এফসির কাছেও হার।
ম্যাচের ১৫ মিনিটের মধ্যেই তিন গোল হজম করলে সেখান থেকে যে ঘুরে দাঁড়ানো কঠিন। এ আর বলার অপেক্ষা রাখে না। মহমেডানের ক্ষেত্রে তাই হল। ম্যাচের মাত্র চার মিনিটেই মহমেডানের জালে বল জড়ান অ্যালান ডি সৌজা মিরান্ডা। এখানেই শেষ নয়, ১২ মিনিটে হায়দরাবাদের পক্ষে স্কোর লাইন ২-০ করেন স্টেফান সাপিচ। ১৫ মিনিটে ফের গোল মিরান্ডার। ১৫ মিনিটের মধ্যেই ৩-০ এগিয়ে যায় হায়দরাবাদ এফসি। বিরতির পরও পরিস্থিতি কার্যত তেমনই ছিল। ৫১ মিনিটে পরাগ শ্রীবাসের গোলে ৪-০ করে হায়দরাবাদ।
মহমেডানের জন্য স্বস্তির হতে পারে, এরপর আর গোল হয়নি। শেষ অবধি ৪-০ ব্যবধানে জয় হায়দরাবাদ এফসির। ম্যাচের পর মহমেডান স্পোর্টিংয়ের কোচ আন্দ্রে চের্নিশভও স্বীকার করে নিলেন অস্বস্তির কথা। বলেন, ‘আগের ম্যাচগুলোর মতো ভালো খেলতে পারিনি। প্রথম ১৫ মিনিটেই তিন গোল খাওয়ার পর ফেরা কঠিন। সেটাই হয়েছে। আমাদের আবারও শুরু থেকে শুরু করতে হবে। প্লেয়াররা ক্লান্ত হয়ে পড়ছে কিনা দেখতে হবে। ফুটবলে এমন খারাপ দিন যায়। আমরাও প্রচুর সুযোগ তৈরি করেছি। কিন্তু গোল হয়নি। শুরুর দিকে ভালো খেলছিলাম। আমরা চেন্নায়িনের বিরুদ্ধে জিতেওছিলাম। এখন আবার জিরো থেকে শুরু করতে হবে।’ মহমেডানের পরবর্তী ম্যাচ ৯ নভেম্বর ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে।