Iran Football: মেয়েদের অধিকার নিয়ে দাবি, মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হল ইরানের ফুটবলারকে!

TV9 Bangla Digital | Edited By: সঙ্ঘমিত্রা চক্রবর্ত্তী

Dec 14, 2022 | 7:47 PM

ইতিমধ্যেই ইরান ১১জন প্রতিবাদী যুবককে ফাঁসিকাঠে ঝুলিয়েছে। আরও ৯জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হতে চলেছে। যার মধ্যে রয়েছেন আমিরও। তিনি ইরানের অনূর্ধ্ব ১৬ টিমে খেলেছেন।

Iran Football: মেয়েদের অধিকার নিয়ে দাবি, মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হল ইরানের ফুটবলারকে!
মেয়েদের অধিকার নিয়ে দাবি, মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হল ইরানের ফুটবলারকে!
Image Credit source: Twitter

Follow Us

তেহরান: মেয়েদের অধিকারের জন্য সোচ্চার হয়েছিলেন তিনি। সমানাধিকারের প্রশ্ন তুলে হাতে নিয়েছিলেন অস্ত্র। তাই কাল হল তাঁর। ইরানের (Iran) এক ফুটবলার আমির নাসের আজাদানিকে (Amir Nasr-Azadani) মৃত্যুদণ্ড দিল দেশের সরকার। বলা হয়েছে, ইসফাহানের দাঙ্গাতে নাকি জড়িয়ে পড়েছিলেন। সেখান থেকেই গত সেপ্টেম্বরে গ্রেপ্তার করা হয় আমিরকে। বিরোধীদের কড়া হাতে দমন করতে গিয়ে ‘মোহারাবে’ অভিযোগ আনা হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। মোহারাবের অর্থ হল ঈশ্বরের বিরুদ্ধে যুদ্ধ। সেই অভিযোগেই ফাঁসির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আমিরের। ইরান সরকারের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে তোলপাড় চলছে বিশ্ব জুড়ে। মেয়েদের অধিকার, সাম্য, মানবাধিকার— এই নানা প্রশ্নে ইরান গত কয়েক মাস ধরেই জেরবার। শুধু তাই নয়, বিশ্বকাপেও যাতে তাদের খেলতে না দেওয়া হয়, জোরালো দাবি তুলে দিয়েছিল ফুটবল বিশ্ব। আমিরের সঙ্গে আরও দু’জন গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। এরই মধ্যে তাঁদের ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। যা ঢাকঢোল পিটিয়ে ঘোষণাও করেছে ইরান।

ইতিমধ্যেই ইরান ১১জন প্রতিবাদী যুবককে ফাঁসিকাঠে ঝুলিয়েছে। আরও ৯জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হতে চলেছে। যার মধ্যে রয়েছেন আমিরও। তিনি ইরানের অনূর্ধ্ব ১৬ টিমে খেলেছেন। একই সঙ্গে তিনি খেলেন ক্লাব ফুটবলও। ২০১৬ থেকে ২০১৮ সালে গাল্ফ প্রো লিগের টিম ট্র্যাক্টরে খেলেছেন। তার আগে ২০১৬ সালে আমির খেলেছেন রাহ আহান ক্লাবে। ২০১৭ সালের পর অবশ্য ক্লাব স্তরে আর খেলতে দেখা যায়নি তাঁকে। ফলে ফুটবল বিশ্বও এর মধ্যে ঢুকে পড়েছে। অনেকেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন, যত বড়ই অপরাধ করুন না কেন আমির, মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হবে কেন? তার থেকেও বড় প্রশ্ন হল, যে কোনও শুভ বুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ সাম্যের দাবি তুলবেন। চাইবেন, ছেলেদের মতো মেয়েদেরও যাবতীয় অধিকার দেওয়া হোক। সেই ন্যায্য দাবি তুলেই যে ফাঁসির হুকুম হবে আমিরের, তিনিও হয়তো ভাবেননি।

২২ বছরের মাশা আমিনির পুলিশি হেফাজতে মৃত্যুর পর থেকে ইরানের অবস্থা জটিল হয়ে উঠেছে। মেয়েদের সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন আম-ইরানিরা। ৪০০র বেশি মানুষ হাজত বাস করছেন এই কারণে। ইরানের অন্দরে যে বিদ্রোহের আগুন লেগেছে, সন্দেহ নেই। আমিরির মতো ফুটবলারকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ায় ফুটবলারদের বিশ্ব সংস্থাও এর মধ্যে ঢুকে পড়েছে। তাদের টুইটার হ্যান্ডল থেকে যে টুইট করা হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে— ফিফপ্রো রীতিমতো বিস্মিত আমিরির ঘটনা শুনে। মেয়েদের স্বাধীনতা ও তাদের অধিকারের দাবি তোলার জন্য তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আমিরের পাশে দাঁড়াচ্ছি আমরা। তাঁকে অবিলম্বে যাবতীয় অভিযোগ থেকে মুক্ত করা হোক।

আমিরকে নিয়ে ইরানেও ধীরে ধীরে জনমত গড়ে উঠছে। ইরানের গোলকিপার আলিরেজা বেইরানভান্দ, প্রাক্তন অধিনায়ক মাসুদ শোজেইরা আমিরের মুক্তির দাবি তুলে দিয়েছেন। টুইটারে চলছে ট্রেন্ডিং- ডু নট এক্সিকিউট আমির।

Next Article