ফতোরদা : এফসি গোয়ার হোম ম্যাচ। তারপরও গ্যালারিতে দেখা মিলল ইস্টবেঙ্গলের হাতে গোনা কয়েকজন সমর্থকের। দলের হতাশাজনক পারফরম্যান্সে সমর্থকরা ক্রমশ মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। ঘরের মাঠে গ্যালারিতে ভিড় কমছে। তাই ফতোরদা স্টেডিয়ামে ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের উপস্থিতি লাল-হলুদ শিবিরের জন্য ইতিবাচক। তাতেও অবশ্য কোনও লাভ হল না। ইন্ডিয়ান সুপার লিগে হতাশার পারফরম্যান্স জারি রইল। ইস্টবেঙ্গল শিবিরকে কী ভাবে তাতানো সম্ভব, এই প্রশ্নের উত্তর মেলা ভার। এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে নামার আগে ১৪ ম্যাচের মধ্যে ১০টিতেই হেরেছিল ইস্টবেঙ্গল। পরিসংখ্যানে উন্নতি হল না। টানা চার ম্যাচে হার ইস্টবেঙ্গলের। বিস্তারিত TV9Bangla-য়।
ইস্টবেঙ্গলের প্রথম একাদশে এ দিন তিনটি পরিবর্তন করা হয়েছিল। অ্যালেক্স লিমা, সার্থক গোলুই এবং রাকিপের পরিবর্তে একাদশে ইভান গঞ্জালেজ, জেরি এবং সুমিত পাসি। প্লে-অফের আশা ছেড়ে দিয়েছে ইস্টবেঙ্গল। এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে হেরেছিল লাল-হলুদ। সেটা ছিল লিগ শুরুর প্রথম দিকে। কোচ স্টিফেন কনস্ট্যান্টাইন গোয়ার মাঠে নামার আগে মন্তব্য করেছিলেন, এখন থেকে মর্যাদার জন্য খেলবে ইস্টবেঙ্গল। হার বাঁচানোই যেন মূল উদ্দেশ্য ছিল। প্রথমার্ধে তিন গোল খাওয়ায় সেই লক্ষ্যে ধাক্কা লাগে। ম্যাচের ১১ মিনিটে দেবেন্দ্রর থ্রু বল ধরেন নোয়া ওয়েল সাদাই। তাঁর থেকে বল ক্লিয়ারের চেষ্টা ইস্টবেঙ্গলের। যদিও ব্যর্থ হন। পিছন থেকে এসে আনমার্কড ইকের গুয়ারোতজেনা গোল করে এফসি গোয়াকে এগিয়ে দেন। ২১ ও ২৩ মিনিটে আরও দুটি গোল। গোল দাতাও একই। ইকেরের হ্যাটট্রিকে ৩-০ এগিয়ে বিরতিতে যায় এফসি গোয়া।
দ্বিতীয়ার্ধে স্কোর লাইন ৪-০ করেন ব্র্যান্ডন ফার্নান্ডেজ। ম্যাচের ৫৩ মিনিটে ফ্রি-কিক থেকে অনবদ্য গোল করেন ব্র্যান্ডন। ইস্টবেঙ্গল এখান থেকে ঘুরে দাঁড়াবে, সেই ভরসা ছিল না। তবে কিছুটা আশার আলো দেখালেন সুহেররা। ৫৯ মিনিটে নাওরেম মহেশের সেন্টার থেকে হেডে গোল করেন আনমার্কড সুহের। তবে ৪ গোল খেয়ে থাকায় এক গোল শোধ খুব বেশি পার্থক্য গড়তে পারল না। যদিও সুহেরের গোলের পর আরও ৩০ মিনিটের বেশি বাকি ছিল। এর মধ্যেই আরও একটি গোল শোধ করেন পরিবর্ত হিসেবে নামা সার্থক গোলুই। নাওরেম মহেশের সেন্টারে হেডে গোল সার্থকের। দ্বিতীয়ার্ধে মরিয়া লড়াই করলেও টানা চার ম্যাচে হার আটকানো গেল না।