কলকাতা : ইন্ডিয়ান সুপার লিগের মরসুম শেষ হয়নি। ইস্টবেঙ্গলের জন্য মানসিকভাবে যেন মরসুম শেষ। অন্তত কোচ স্টিফেন কনস্ট্যান্টাইনের কথা বার্তায় তেমনটাই প্রকাশ পায়। এখন থেকেই আগামী মরসুমের ভাবনা শুরু করে দিয়েছেন। তিনি ‘আশাবাদী’ আগামী মরসুমে ইস্টবেঙ্গল প্রথম ছয়ে থেকে প্লে-অফ নিশ্চিত করবে। আজ, শুক্রবার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে ইস্টবেঙ্গলের ম্যাচ। প্রতিপক্ষ কেরালা ব্লাস্টার্স। এই প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধেই এ বারের আইএসএল অভিযান শুরু করেছিল ইস্টবেঙ্গল। ফের এক বার কেরালা ব্লাস্টার্সের মুখোমুখি। এ বার ঘরের মাঠে। হোম ম্যাচেও আন্ডারডগ ইস্টবেঙ্গল! ম্যাচ প্রিভিউ TV9Bangla-য়।
এ মরসুমে ইস্টবেঙ্গলের কাছে প্লে-অফের রাস্তার ইতি। খাতায় কলমে ক্ষীণ আশা থাকলেও, কোচ-প্লেয়াররা কার্যত ধরেই নিয়েছেন, কোনও আশাই নেই। বাকি ম্যাচগুলি মর্যাদা রক্ষার জন্যই খেলার কথা বলছেন তাঁরা। অন্য় দিকে, কেরালা ব্লাস্টার্সের কাছে এই ম্যাচ প্রথম ছয়ে টিকে থাকা। লিগ তালিকায় নয় নম্বরে রয়েছে ইস্টবেঙ্গল। কেরালা ব্লাস্টার্স গতবারের ফাইনালিস্ট। লিগ তালিকায় অবস্থান দেখে লড়াইটা অসম মনে হতেই পারে। কিছু হারানোর ভয় না থাকা ইস্টবেঙ্গল হতেও পারে এই ম্যাচে জ্বলে উঠল!
খাতায়-কলমে ও সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সের বিচারে এই ম্যাচে কেরালা ব্লাস্টার্সই ফেভারিট। গত চার ম্যাচেই হেরেছে ইস্টবেঙ্গল। সমর্থকরা ঘরের মাঠেও মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। নিজেরাই নিজেদের তাতানো ছাড়া বিকল্প নেই লাল হলুদ ফুটবলারদের কাছে। একটা জয় হয়তো চিত্রটা বদলে দিতে পারে। মর্যাদা রক্ষার ম্যাচ হলেও ইস্টবেঙ্গলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অন্য় একটি কারণে। ট্রান্সফার ব্য়ান উঠে যাওয়ায় অবশেষে নতুন বিদেশি জ্য়াক জার্ভিসকে সই করাতে পেরেছে ইস্টবেঙ্গল। এই ম্যাচ থেকেই তাঁর মহড়া। দলের হাল যাই হোক, ব্যক্তিগত ভাবে জ্য়াক জার্ভিসের নজর থাকবে নিজের দক্ষতা প্রমাণের। হয়তো তাঁর অন্তর্ভূক্তি দলের বাকিদের কিছুটা হলেও লড়াইয়ের রসদ জোগাতে পারে। এত দিন কোচ স্টিফেন কনস্ট্যান্টাইনের অভিযোগ ছিল, আক্রমণভাগে দক্ষ ফুটবলার পাচ্ছেন না। ক্লেটন সিলভা ছাড়া কেউই নজর কাড়তে পারেননি সে অর্থে। জার্ভিস-ক্লেটন জুটি নতুন কোনও আশাল আলো দেখাতে পারে কী না, যুবভারতীতে সে দিকেই নজর থাকবে।