ISL 2023: দলের খেলার বিরক্ত, বিষ্ণু বন্দনায় ইস্টবেঙ্গল কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত
ISL, East Bengal vs Chennaiyin FC, Carles Cuadrat: শুধু এই ম্যাচেই নয়। বেশ কিছু ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে, প্রচুর সুযোগ তৈরি হয়েছে। কিন্তু আক্রমণ ভাগ সেটা কাজে লাগাতে পারেনি। কার্লেসের কথায়, 'আমাদের আক্রমণ ভাগ শক্তিশালী। ক্লেটন, মহেশরা রয়েছে। আমরা প্রচুর সুযোগও পেয়েছি। একটা জিনিস সকলেই জানে, এক গোলের ব্য়বধান কখনোই সুরক্ষিত নয়। অনেক সময় একটা ভুলও বড় সমস্যা তৈরি করেছে। আমাদের ক্ষেত্রে সেটাই হয়েছে।'
দীর্ঘ বিরতির পর ম্যাচ। সেই অর্থে পরিস্থিতির বদল হল না। লিড নিয়েও পয়েন্ট নষ্ট করার রোগ কিছুতেই সারছে না ইস্টবেঙ্গলের। এ বারের আইএসএলে এই নিয়ে তিন ম্যাচে এমন ঘটনা ঘটল। এগিয়ে থেকেও জয় হাতছাড়া ইস্টবেঙ্গলের। ম্যাচের বয়স ৮০ মিনিট পেরিয়ে যাওয়ার পর গোল খাওয়া। এই পরিস্থিতিতে দ্বিতীয় গোল খেল তারা। চেন্নায়িনের বিরুদ্ধে নির্ধারিত সময়ের মিনিট ছয়েক আগে গোল খাওয়ায় এক পয়েন্ট নিয়েই মাঠ ছাড়তে হল। যদিও ইস্টবেঙ্গল কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত নানা প্রশ্নের জবাবেই বলছেন, ‘সব নরম্যাল’। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
দলের পারফরম্যান্সে কার্লেস খুশি না হতাশ তা পুরোপুরি বোঝার উপায় নেই। বরং বলা ভালো, হতাশা ঢেকে স্বাভাবিক থাকার চেষ্টা করছেন। প্লেয়ারদের পাশে থাকতে চাইছেন। পারফরম্যান্সে যে বেশ বিরক্ত, তাঁর কথাতেই পরিষ্কার। চেন্নায়িন ম্যাচের পর বলেন, ‘প্লেয়াররা যথেষ্ঠ বিশ্রাম পেয়েছে। সকলেই ফুল ফিট। তাই চোট-আঘাত বা কোনও ফিটনেসের ব্যাপার ছিল না। সত্যি বলতে, এগুলো কোনও অজুহাত হতে পারে না। এই ম্যাচে চেন্নায়িন আমাদের চেয়ে ভালো খেলেছে, তাও নয়। মাঝের এই বিরতিতে ভুলগুলো শোধরানোর কাজ করেছি। এই ম্যাচে বেশিরভাগটাই দেখা গিয়েছে। প্রতিপক্ষকে চাপে ফেলার সুযোগ কাজে লাগিয়েছি। কিন্তু ম্যাচের শেষ দিকে আমরা প্রয়োজনীয় কাজটা করতে পারিনি।’
দলের খেলায় বিরক্ত এবং হতাশ হলেও পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন। তবে তরুণ ফুটবলার বিষ্ণুর খেলা মনে ধরেছে কার্লেস কুয়াদ্রাতের। কলকাতা লিগে নজর কেড়েছিলেন। সিনিয়র দলেও ভরসা দিলেন বিষ্ণু। ইস্টবেঙ্গলের লিড নেওয়ার গোলটি আত্মঘাতী হলেও তাতে ভূমিকা রয়েছে এই তরুণ ফুটবলারের। কার্লেস বলছেন, ‘গত ম্যাচের থেকে ভালো খেলেছে টিম। প্রতিপক্ষকে জায়গা দেয়নি। ফুটবলে অনেক কিছু নিয়েই পরিকল্পনা করতে হয়। আমরা সব পরিকল্পনাই রেখেছিলাম। তবে এমন ফল হওয়াটাও নরম্যাল। ম্যাচটা আমরাই নিয়ন্ত্রণ করছিলাম। ফলটা পুরোপুরি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারিনি। কিছু দুর্ভাগ্যজনক ভুলও হয়েছে। এই ম্যাচের ইতিবাচক দিক বিষ্ণুর পারফরম্যান্স। মাত্র ২১ বছর। প্রথম ম্যাচ খেলল। ওর খেলা দুর্দান্ত লেগেছে। প্র্যাক্টিসে অনেক তরুণ প্লেয়ারকে মনে ধরে। আমার মনে হয়, একটা ভালো টিম তৈরি করতে পারছি।’
শুধু এই ম্যাচেই নয়। বেশ কিছু ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে, প্রচুর সুযোগ তৈরি হয়েছে। কিন্তু আক্রমণ ভাগ সেটা কাজে লাগাতে পারেনি। কার্লেসের কথায়, ‘আমাদের আক্রমণ ভাগ শক্তিশালী। ক্লেটন, মহেশরা রয়েছে। আমরা প্রচুর সুযোগও পেয়েছি। একটা জিনিস সকলেই জানে, এক গোলের ব্য়বধান কখনোই সুরক্ষিত নয়। অনেক সময় একটা ভুলও বড় সমস্যা তৈরি করেছে। আমাদের ক্ষেত্রে সেটাই হয়েছে।’