
মরসুমের শুরুটা হয়েছিল দুর্দান্ত। সব কী ভাবে এলোমেলো হয়ে গেল? এই প্রশ্ন যেন প্রতিটা ইস্টবেঙ্গল সমর্থকের। ডুরান্ড কাপে রানার্স, একটি ডার্বি জয়। সমর্থকদের প্রত্যাশা বাড়িয়েছিল। সময় দিলে এই টিমটা ভালো পারফর্ম করবে, এমনই মনে করা হচ্ছিল। সবটাই পাস্ট টেন্সে লিখতে হচ্ছে। ইন্ডিয়ান সুপার লিগে ড্র দিয়ে শুরু। দ্বিতীয় ম্যাচে জয়। তারপর থেকে খেই হারিয়েছে ইস্টবেঙ্গল। এর মধ্যে বেশ কিছু ম্যাচে এগিয়ে থেকেও হার কিংবা ড্র। ঘরের মাঠে আজ নর্থ ইস্ট ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে নামছে ইস্টবেঙ্গল। যদিও আত্মবিশ্বাসের অভাব। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
নর্থ ইস্ট ইউনাইটেডও ধারাবাহিক নয়। বিশেষ করে অ্যাওয়ে ম্যাচের ক্ষেত্রে। বারবার কোচ বদল করেও তাদের পারফরম্যান্সে উন্নতি হয়নি। গত ২০টি অ্যাওয়ে ম্যাচে পাঁচটি ড্র এবং বাকি ১৫ ম্যাচেই হেরেছে নর্থ ইস্ট। আইএসএলের ইতিহাসে এরকম খারাপ রেকর্ড আর কোনও টিমের নেই। ইস্টবেঙ্গলের কাছে ঘুরে দাঁড়ানোর এটাই যেন সেরা সুযোগ। সমস্যা একটাই, গোলের সুযোগ নষ্ট এবং লিড ধরে রাখতে না পারা। এই রোগ প্রতি ম্যাচেই দেখা গিয়েছে। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর রাস্তা কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাতও খুঁজছেন।
ইস্টবেঙ্গলের কাছে সবই নেতিবাচক তা নয়। বরং ব্যক্তিগত কিছু পারফরম্যান্স ভরসা হয়ে দাঁড়াতে পারে ইস্টবেঙ্গলের। বিশেষ করে বলতে হয় আক্রমণ ভাগের কথা। নাওরেম মহেশ, নন্দকুমার সেকর, ক্লেটন সিলভাদের কথা। প্রচুর সুযোগ তৈরি করছেন তাঁরা। এর মধ্যে কিছু সুযোগ কাজে লাগাতে পারলেও ঘরের মাঠে সমর্থকদের মুখে হাসি ফুটবে। চিন্তার জায়গাও অবশ্য থাকছে। অনেক ম্যাচেই দেখা গিয়েছে, রক্ষণ ভাগ শেষ মুহূর্তে মনসংযোগ হারিয়েছে এবং গোল খেয়েছে। না হলে হয়তো খাতায় আরও পয়েন্ট যোগ হত ইস্টবেঙ্গলের।
ইস্টবেঙ্গল বনাম নর্থ ইস্ট ইউনাইটেড, রাত ৮টা, স্পোর্টস ১৮-এ সম্প্রচার