AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Breaking: লাস্ট ল্যাপে বাজিমাত, ফেডারেশন কি ‘কল্যাণ’ময়?

ফেডারেশন সভাপতি হওয়ার দৌড়ে সবদিক থেকেই এগিয়ে কল্যাণ চৌবে।

Breaking: লাস্ট ল্যাপে বাজিমাত, ফেডারেশন কি 'কল্যাণ'ময়?
Image Credit: FACEBOOK
| Edited By: | Updated on: Aug 25, 2022 | 1:47 AM
Share

কলকাতা : সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন (AIFF) নির্বাসিত। দ্রুত এই সমস্যা থেকে বেরোতে চাইছে এআইএফএফ। তার একটাই পথ, দ্রুত নতুন এক্সকিউটিভ কমিটি গঠন। শেষ মুহূর্তে বড় কোনও অঘটন না ঘটলে, ফেডারেশনের সভাপতি হতে চলেছেন কল্যাণ চৌবে। সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনকে নির্বাসিত করার আগেও বেশ কয়েক দফা আলোচনা করে ফিফা। তাদের তরফে পরিষ্কার নির্দেশিকা ছিল, ভারতীয় ফুটবলের (Indian Football) মসনদে প্রাক্তন ফুটবলারদের চায় না ফিফা। এমনকি ফেডারেশনের নির্বাচনে তাদের ভোটাধিকার দেওয়ার ক্ষেত্রে অনীহা ছিল। ফেডারেশন সভাপতি পদে মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক বাইচুং ভুটিয়া। প্রাক্তন ফুটবলার হিসেবেই মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন তিনি। সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসকদের কমিটি বাতিল করায় নতুন করে নির্বাচন (Election) প্রক্রিয়া শুরু হয়। তাতে ফেডারেশন সভাপতি হওয়ার দৌড়ে সবদিক থেকেই এগিয়ে কল্যাণ চৌবে।

এদিন দিল্লিতে রাজ্য ফুটবল সংস্থার প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি সভা হয়। ৩৬টি রাজ্য সংস্থার মধ্যে ২৫টি রাজ্য সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন দিল্লির বৈঠকে। সভাপতি পদে প্রত্যেকেই সমর্থন করেছেন কল্যাণকে। সভায় উপস্থিত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রতিনিধি এমন সম্ভাবনার কথাই তুলে ধরলেন। নতুন নির্বাচনী প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার আগে এই বৈঠক খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। ২৫ অগস্ট অর্থাৎ আজ থেকেই মনোনয়ন জমা দেওয়ার দিন। ২৭ অগস্ট পর্যন্ত মনোয়ন জমা নেওয়া হবে। ২৮ অগস্ট মনোনয়নপত্র স্ক্রুটিনি হবে। মনোনয়ন প্রত্যাহার করা যাবে ২৯-৩০ অগস্ট। ২ সেপ্টেম্বর নির্বাচন হওয়ার কথা। কল্যাণ চৌবের বিরুদ্ধে কেউ যদি মনোনয়ন জমা না দেন তাহলে তাঁর সভাপতি শুধুই সময়ের অপেক্ষা।

জাতীয় দল এবং বাংলার এই প্রাক্তন ফুটবলার অবশ্য আইএফএ অর্থাৎ এই রাজ্যের ফুটবল সংস্থা থেকে মনোনয়ন জমা দিচ্ছেন না। তিনি গুজরাত থেকে মনোনয়ন জমা দিতে চলেছেন। প্রাক্তন ফুটবলারদের মধ্যে ৬ জনের নির্বাচনে লড়ার সুযোগ থাকলেও, কল্যাণ চৌবে প্রাক্তন ফুটবলার হিসেবেও মনোনয়ন জমা দিচ্ছেন না বলেই খবর। প্রাক্তন ফুটবলারদের ফেডারেশন সভাপতি পদে সায় নেই ফিফারও। কল্যাণ চৌবে প্রাক্তন ফুটবলার হিসেবে মনোনয়ন জমা না দিলে, ফিফার মনোভাবের সঙ্গে সামঞ্জস্য থাকছে। প্রাক্তন ফুটবলারের পাশাপাশি কল্যাণ চৌবে বাংলার রাজনীতিতে বিজেপির অন্যতম পরিচিত মুখ।

নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহর রাজ্য থেকে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন কল্যাণ। দেশের ক্রীড়াক্ষেত্রে এর আগে তো বটেই, বর্তমানেও রাজনৈতিক প্রভাব কিছু কম নেই। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সচিব পদে রয়েছেন খোদ অমিত শাহর ছেলে জয় শাহ। সভাপতি পদে মনোনীত হওয়ার সময় সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের সমর্থনেও রাজনৈতিক প্রভাব ছিল বলে শোনা যায়। ফেডারেশন সভাপতি পদে এর আগে ছিলেন প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সি, প্রফুল প্যাটেল। তাঁরাও কোনও না কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সক্রিয় ভাবে যুক্ত ছিলেন বা আছেন। কল্যাণ চৌবেও একটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত। নির্বাচনেও লড়েছেন। শোনা যাচ্ছে ফেডারেশন সভাপতি পদে সেই রাজনৈতিক প্রভাবই এক্স ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করছে। সভাপতি পদে কেউ কেউ মনোনয়ন জমা দেওয়ার চিন্তা ভাবনা করলেও রাজনৈতিক প্রভাবের কারণেই রাজ্য সংস্থার বিভিন্ন প্রতিনিধিরা সরে দাঁড়িয়েছেন বলেই শোনা যাচ্ছে।