কোচি: ভারতীয় ফুটবলে ডার্বি বলতে বোঝায় ইস্টবেঙ্গল বনাম মোহনবাগান। এর ওপরে কিছু নেই। এর সঙ্গে নানা ডার্বি জুড়েছে। ডার্বির আগে উত্তর, দক্ষিণ শব্দ যোগ হয়েছে। কিন্তু কলকাতা ডার্বির সঙ্গে কোনও কিছুর তুলনা হয় না, হবেও না। এখন আরও একটা ডার্বি যোগ হয়েছে। একে ‘সদ্যোজাত’ ডার্বিও বলা যায়। ইন্ডিয়ান সুপার লিগের দশম সংস্করণ শুরু হচ্ছে এই সদ্যোজাত ডার্বি দিয়েই। কোচির জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামে আজ মুখোমুখি কেরালা ব্লাস্টার্স ও বেঙ্গালুরু এফসি। কেন সদ্যোজাত ডার্বি! বিস্তারিত রইল TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
আইএসএলের প্রথম ৯টি সংস্করণের উদ্বোধনী ম্যাচগুলি সম্পর্কে একটু নজর দেওয়া যাক। তালিকাটা হল যথাক্রমে- এটিকে বনাম মুম্বই সিটি, চেন্নায়িন বনাম এটিকে, নর্থ ইস্ট ইউনাইটেড বনাম কেরালা ব্লাস্টার্স, কেরালা ব্লাস্টার্স বনাম এটিকে, এটিকে বনাম কেরালা ব্লাস্টার্স, কেরালা ব্লাস্টার্স বনাম এটিকে, কেরালা ব্লাস্টার্স বনাম এটিকে মোহনবাগান, এটিকে মোহনবাগান বনাম কেরালা ব্লাস্টার্স, কেরালা ব্লাস্টার্স বনাম ইস্টবেঙ্গল। দশম সংস্করণে কেন শুরুতেই কেরালা ব্লাস্টার্স বনাম বেঙ্গালুরু এফসি? এর জন্য ফিরতে হবে গত মরসুমে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় কেরালা ব্লাস্টার্স ও বেঙ্গালুরু সমর্থকদের মধ্যে কিছুটা প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছিল। কিন্তু গত মরসুমে একটা বিতর্ক, এই ম্যাচকে কয়েকগুণ আকর্ষণীয় করে তুলেছে। গত আইএসএলের প্লে-অফ এলিমিনেটর ম্যাচ। ফ্রি-কিক পায় বেঙ্গালুরু এফসি। কেরালা গোলরক্ষক প্রভসুখন গিল (এ বার তিনি ইস্টবেঙ্গলে) ওয়াল সাজাচ্ছেন। দ্রুত ফ্রি-কিকে গোল করেন সুনীল। কেরালা ব্লাস্টার্স প্লেয়াররা প্রতিবাদ শুরু করেন। তারা প্রস্তুত ছিলেন না, এমনটাই রেফারিকে জানান। যদিও রেফারি ক্রিস্টাল জন গোলের সিদ্ধান্তেই অটল থাকেন।
কেরালা ব্লাস্টার্স প্লেয়ার, ডাগআউট সকলেই উত্তেজিত হয়ে পড়ে। ম্যাচের তখনও অন্তত ২৪ মিনিট বাকি। দল তুলে নেয় কেরালা ব্লাস্টার্স। সেই থেকেই নতুন একটা ডার্বির জন্ম। আজ পুনরায় সাক্ষাতে আকর্ষণীয় ম্যাচের অপেক্ষা, তবে বিতর্কের নয়। এশিয়ান গেমসের জন্য বেঙ্গালুরু এই ম্যাচে পাবে না সুনীল ছেত্রীকে। কেরালা ব্লাস্টার্সের প্লেয়ারও এশিয়ান গেমসে জাতীয় দলে রয়েছে। তাতে আকর্ষণ কমবে বলে মনে হয় না।
কেরালা ব্লাস্টার্স বনাম বেঙ্গালুরু এফসি, রাত ৮টা, স্পোর্টস ১৮, জিও সিনেমা