Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Kolkata Football: ডার্বির উত্তাপ শেষ হয়েও, হচ্ছে না শেষ

ম্যাচের পরও ইস্ট-মোহন কর্তার কথা চালাচালি বজায় থাকল। যদিও খেলার পর ক্যামেরার সামনে ইস্টবেঙ্গল কর্তার সঙ্গে করমর্দন করে যান মোহনবাগান সচিব দেবাশিস দত্ত। তবে ক্যামেরার বাইরে একে অপরকে টিপ্পনি দেওয়ার লড়াই জারি থাকল।

Kolkata Football: ডার্বির উত্তাপ শেষ হয়েও, হচ্ছে না শেষ
Image Credit source: twitter
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 30, 2022 | 2:49 PM

কলকাতা: ডার্বির (Kolkata Derby) উত্তাপ শেষ হয়েও যেন শেষ হচ্ছে না। ম্যাচে ইস্টবেঙ্গলকে ২-০ হারিয়েছে মোহনবাগান (ATK Mohun Bagan)। হুগো বোমাস আর মনবীর সিংয়ের গোলে ৩ পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছেড়েছে সবুজ-মেরুন। টানা সাতবার ইস্টবেঙ্গলকে (East Bengal) পরাস্ত করার রেকর্ড গড়েছে মোহনবাগান। ২০১৯ সালে শেষ বার চিরশত্রুর বিরুদ্ধে জয় পেয়েছিল লাল-হলুদ। এরপর থেকে শুধুই ব্যর্থতা। আইএসএলে ৫ বারের মধ্যে ৫টাতেই হেরেছে ইস্টবেঙ্গল। একরাশ প্রত্যাশা নিয়ে মাঠে গেলেও সেই খালি হাতেই বাড়ি ফেরেন লাল-হলুদ সমর্থকরা। তবে ডার্বির রেশ যেন কিছুতেই কাটছে না। ম্যাচের পরও ইস্ট-মোহন কর্তার কথা চালাচালি বজায় থাকল। যদিও খেলার পর ক্যামেরার সামনে ইস্টবেঙ্গল কর্তার সঙ্গে করমর্দন করে যান মোহনবাগান সচিব দেবাশিস দত্ত। তবে ক্যামেরার বাইরে একে অপরকে টিপ্পনি দেওয়ার লড়াই জারি থাকল।

ইস্টবেঙ্গল কর্তা দেবব্রত সরকার বারবার বলেছেন, ‘লাল-হলুদ জার্সিতে যারা মাঠে নামে, তারা মস্তানি দেখাতেই মাঠে নামে। মস্তান না হলে লাল-হলুদ জার্সি পরার যোগ্য হয় না।’ এ প্রসঙ্গে ডার্বির আগেও লাল-হলুদ কর্তাকে পাল্টা দিয়েছেন মোহন সচিব দেবাশিস দত্ত। শনিবারের ডার্বি জয়ের পরও ইস্টবেঙ্গল কর্তাকে কথা শোনাতে ছাড়লেন না বাগান সচিব। সাতে সাত করার পর দেবাশিস বলে গেলেন, ‘আমার মনে হয়, ওদের এ বার প্লেয়ার খোঁজা দরকার। ওরা শুধু মস্তান খুঁজে বেরাচ্ছে। এ বার মস্তানি বন্ধ করে প্লেয়ার খুঁজুক। আমার মনে হয়, টিমটা হয়তো তাতে আরও ভালো খেলবে।’

মোহন সচিব দেবাশিস দত্তের এ কথা শুনে বেজায় চটেছেন লাল-হলুদ কর্তা দেবব্রত সরকার। যা নিয়ে নীতু পাল্টা বললেন, ‘মোহনবাগান কী বলছে, সব কথার উত্তর দিতে হবে নাকি! উনি চেয়ারের ওজনটা নিতে পারছেন কিনা সেটা আগামী দিনে সমর্থকরা বিচার করবে। ওই চেয়ারে বসে কী বলতে হয়, সেটাই তো জানে না। মোহনবাগান ঐতিহ্যশালী শতাব্দীপ্রাচীন ক্লাব। দেড়শো বছরের দিকে এগোচ্ছে। সেই ক্লাবের চেয়ারে অনেক গুনী মানুষরা বসেছেন। কখন কী বলতে হয়, আমার মনে হয় ওর শেখা উচিত। মোহনবাগান সভ্য সমর্থকদের আঘাত করতে চাই না, তাই ওকে কিছু বলি না। তবে যে দিন বলব, আমাকে যেন মোহনবাগান সভ্য সমর্থকরা মার্জনা করেন। তারা যেন বুঝতে পারেন যে, আমি ওকে বলছি, মোহনবাগান সভ্য সমর্থকদের বলছি না। ওরও সময় আসবে।’