দোহা: কাতার বিশ্বকাপ শুরুর দিন কয়েক আগেই হুঙ্কার শোনা গেল আর্জেন্টিনার স্ট্রাইকার সর্গিও আগুয়েরোর গলায়। সেখানে তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে খেলা অন্য দেশগুলির পক্ষে কঠিন হবে। ৩৪ বছরের এই স্ট্রাইকার আর্জেন্টিনার ফুটবল আবেগ তুলে ধরেছেন। বিশ্বমঞ্চে দেশের খেলা দেখার জন্য আর্জেন্টিনাবাসীর প্রবল উন্মাদনা তাঁকে আরও উৎসাহিত করে বলেও জানিয়েছেন। বলেছেন, “দেশের খেলা থাকলে আর্জেন্টিনায় স্কুলে ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়।” তবে যখন ছোট ছিলেন, তখন উন্মাদনার দেখলেও তা কেন, তখন বুঝতে পারতেন না বলে জানিয়েছেন এই তারকা। তবে বড় হওয়ার পর বুঝতে শুরু করেছিলেন, এই উন্মাদনার আসল গুরুত্ব।
বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা যে সব সময় ফেভারিট হিসাবে খেলতে নামে, সে কথাও উল্লেখ করেছেন আগুয়েরো। তাঁর কথায়, “আর্জেন্টিনা সব সময় জেতার জন্য ফেভারিট। বেশ কয়েকটি বিশ্বকাপ আর্জেন্টিনার হয়ে খেলতে নেমে এটা অনুভব করেছি। ফেভারিট দলের তালিকায় সব সময় থাকি আমরা। তাই যে কোনও দেশের পক্ষেই আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে খেলা কঠিন কাজ।”
এখন অবধি তিনটি বিশ্বকাপে অংশ নিয়েছেন আগুয়েরো। ২০১০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম বিশ্বকাপ খেলেন তিনি। এর পর ২০১৪ সালে ব্রাজিলে এবং ২০১৮ সালে রাশিয়া বিশ্বকাপেও ছিলেন প্রথম একাদশে। এ বারও আর্জেন্টিনার আক্রমণ ভাগে গুরু দায়িত্ব নিতে হবে তাঁকে। সে ব্যাপারে নিজেও অবহিত তিনি। কাতারে দলের জন্য অতিরিক্ত দায়িত্ব নেওয়ার কথাও বলেছেন তিনি। বিষয়টি নিয়ে তিনি বলেছেন, “আমি মনে করি, আমরা প্রতি বিশ্বকাপেই উন্নতি করেছি। কোনও ব্যাপারে ১০০ শতাংশ নিখুঁত হওয়া হয়তো সম্ভব নয়। কিন্তু আমরা নির্ভুল খেলার চেষ্টা করব। সব বিপক্ষকেই আমরা সম্মান করি।”
ছেলেবেলায় ফুটবল ঘিরে উন্মাদনা, ফুটবলের প্রতি ভালোবাসা, ফুটবলার হয়ে বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ পাওয়ার স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে আগুয়েরো বলেছেন, “আমরা যখন স্কুলে পড়তাম তখন বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার ম্যাচ থাকলে অনেক সময় স্কুলে ছুটি দিয়ে দেওয়া হত ছিল। অনেক ম্যাচের জন্য স্কুলে টিভিও লাগানো হত। এটাই আমার দেশের প্যাশন। ছোটবেলা থেকে অনেকেই ফুটবলার হওয়ার স্বপ্ন দেখে। বিশ্বকাপ খেলার কথা ভাবে। কিন্তু কমজনই পারে। আমি সে ব্যাপারে ভাগ্যবান।”