Kylian Mbappe: জিদানকে অপমান! দেশঁকে কোচ রাখায় চটেছেন এমবাপে
Zinedine Zidane: ক্ষুব্ধ এমবাপে সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, 'জিদান একজন আদ্যন্ত ফরাসি। ওঁর মতো কিংবদন্তিকে অসম্মানিত করার যোগ্যতা আমাদের নেই।' হঠাৎ এই কথা কেন লিখলেন এমবাপে?
প্যারিস: ফ্রান্স শিবিরে তুমুল অশান্তি। বিশ্বকাপ শেষ হয়ে গিয়েছে। তবু অশান্তির রেশ পিছু ছাড়ছে না ফরাসি শিবিরে। বিশ্বকাপ শুরুর আগে করিম বেঞ্জেমাকে চোটের জন্য কাতার থেকে পাঠিয়ে দেওয়া নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি। কেন না, স্কোয়াড থেকে বাদ দেওয়া হয়নি বেঞ্জেমাকে। তাঁর কোনও পরিবর্তও ঘোষণা হয়নি। পরে বেঞ্জেমার এজেন্ট বলেছিলেন, সেমি ফাইনাল বা ফাইনালের আগে বেঞ্জেমা ফিট হয়ে যেত। তা সত্ত্বেও নাকি, তাঁকে দলের সঙ্গে রাখেননি কোচ দিদিয়ের দেশঁ। ফুটবলারদের মধ্যেও এই নিয়ে মতবিরোধ তৈরি হয়ে গিয়েছিল। যদিও টুর্নামেন্টের ফাইনালের আগে পর্যন্ত তার প্রভাব পড়েনি খেলায়। বিশ্বকাপ শেষ হওয়ার পরও অশান্তির আঁচ ছড়িয়ে পড়েছে। দেশের ফুটবল প্রেসিডেন্টকে একহাত নিয়েছেন কিলিয়ান এমবাপে। বিস্তারিত TV9Bangla-য়।
এই মুহূর্তে ফ্রান্সের এক নম্বর তারকা কিলিয়ান এমবাপে। কাতার বিশ্বকাপ ফাইনালে হ্যাটট্রিক করেও দেশকে ট্রফি দিতে পারেননি। তবে গোল্ডেন বুট জিতেছেন এমবাপে। ২৪ বছরেই একের পর এক রেকর্ড তৈরি করে ফেলেছেন ফরাসি সুপারস্টার। ফাইনালে হারলেও, দিদিয়ের দেশঁকেই জাতীয় দলের কোচ হিসেবে বহাল রেখেছে ফ্রান্সের ফুটবল ফেডারেশন। যে ঘটনা একেবারেই ভালো ভাবে নিতে পারেননি এমবাপে। শনিবারই দেশঁর মেয়াদ বাড়ানোর কথা সরকারি ভাবে জানান ফ্রান্সের ফুটবল প্রেসিডেন্ট নোয়েল লে গ্রাঁ। জিদানকে জাতীয় দলের কোচ হিসেবে চেয়েছিলেন এমবাপে। আর তা না হওয়াতেই চটেছেন তিনি।
ক্ষুব্ধ এমবাপে সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, ‘জিদান একজন আদ্যন্ত ফরাসি। ওঁর মতো কিংবদন্তিকে অসম্মানিত করার যোগ্যতা আমাদের নেই।’ হঠাৎ এই কথা কেন লিখলেন এমবাপে? ফরাসি সুপারস্টার কোচ হিসেবে চেয়েছিলেন জিদানকেই। তা না হওয়াতেই মেজাজ চটেছে তাঁর। এমনকি জিদানের সঙ্গে কোচিংয়ের ব্যাপারে কোনও কথাই বলেননি ফ্রান্সের ফুটবল প্রেসিডেন্ট!
ফ্রান্সের ফুটবল প্রেসিডেন্ট নোয়েল বলেন, ‘জিদান যেখানে খুশি যেতে পারে। আমি জানি, ও ব্রাজিলের নজরে আছে। ওর অনেক সমর্থক আছে। অনেকে তো দেশঁর বিদায়ের জন্য অপেক্ষা করছিল। আমি জিদানের সঙ্গে কখনও দেখা করিনি। দেশঁর সঙ্গে চুক্তি ভঙ্গ করার ইচ্ছে আমাদের কখনই নেই। জিদান যেখানে ইচ্ছে যেতে পারে। সেটা কোনও ক্লাব হতে পারে। আর ও যদি আমার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে, তাহলে ওর ফোন ধরব না।’
ফ্রান্সের ফুটবল প্রেসিডেন্টের এই মন্তব্য নিয়ে দেশেও ব্যাপক তোলপাড় হচ্ছে। অনেকে রাজনীতির গন্ধও পাচ্ছেন। ফ্রান্সের ক্রীড়ামন্ত্রীও নোয়েলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। ফ্রান্সের এক রাজনৈতিক নেতা তো নোয়েলের এই মন্তব্যের জন্য জিদানের কাছে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানিয়েছেন। উল্লেখ্য, ১৯৯৮ সালে দিদিয়ের দেশঁর ক্যাপ্টেন্সিতে প্রথম বার বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হয় ফ্রান্স। সে বছর দলের তারকা হয়ে উঠেছিলেন জিনেদিন জিদান। ২০১৮ বিশ্বকাপে দেশঁর কোচিংয়ে ফের বিশ্বসেরা হয় ফ্রান্স। এ বছর বিশ্বকাপে রানার্স আপ হয় এমবাপেরা।