প্রাগ: ফিফা ভিডিয়ো গেম খেলতে অভ্য়স্ত ২২ বছরের ছেলেটি। গোলগাল চেহারা। সেই মার্টিন পোধাজস্কিকে (Martin Podhajsky) কিনা চেক প্রজাতন্ত্রের তৃতীয় ডিভিশনের ফুটবল টিম সই করাল। শুধু কি সই, এফকে উস্তি নাদ লাবেম (FK Usti Nad Labem) একেবারে ক্যাপ্টেন হিসেবে বরণ করেছে তাঁকে। কখনও ফুটবল না খেলা মার্টিন কি প্রতিভাবান ফুটবলার? না, কোনও ভাবেই তাঁর প্রতিভার পরিচয় পাওয়া যায়নি। উল্টে তাঁর ফুটবল মাঠে পা রাখার পিছনে রয়েছেন তাঁর বাবা। আর সেটাই এই দলবদলের খবরকে (Transfer News) ভাইরাল করে দিয়েছে ফুটবল বিশ্বে। TV9Bangla Sportsএ বিস্তারিত।
মার্টিনের বাবা ছেলেকে ফুটবলার দেখতে চান। সেই ইচ্চে পূরণ করার জন্য এফকে উস্তি নাদ লাবেম ক্লাবকে ২২ হাজার ডলার অনুদান দিয়েছেন। চেক অর্থে যা ৫ লক্ষ করুনা। তাতেই তৃতীয় ডিভিশনের ওই ক্লাব সই করিয়েই ক্যাপ্টেন্স ব্যান্ড তুলে দিয়েছে। মার্টিন আইনের ছাত্র। তাঁর এই সইকে বলা হচ্ছে ফুটবলের ইতিহাসে সবচেয়ে আশ্চর্যজনক সই। ক্লাবের ক্যাপ্টেন জাকুব মারেসকে রাতারাতি সরিয়ে দিয়ে টিমের নেতৃত্ব তুলে দেওয়া হয়েছে মার্টিনের কাঁধে। ক্লাবের প্লেয়ার তো বটেই, সমর্থকরাও এই ঘটনায় অবাক হয়ে গিয়েছেন। ক্লাবের হয়ে ইতিমধ্যে অভিষেকও হয়ে গিয়েছে মার্টিনের। শেষ ১০ মিনিট মাঠে নেমেছিলেন তিনি। তার আগের দিন গিয়েছিলেন ট্রেনিংয়ে। প্রশ্ন উঠছে, ফুটবলকে এ ভাবে ছেলেখেলার পর্যায়ে কেন নিয়ে গেলেন ক্লাব কর্তারা?
বিতর্ক যতই থাকুক, ক্লাবের চেয়ারম্যান প্রিমিসল কুবান কিন্তু তোয়াক্কাই করছেন না। তাঁর স্পষ্ট যুক্তি, ‘মার্টিন কখনও ফুটবল খেলেনি। শুধু ফিফা গেমস খেলেছে কম্পিউটারে। কিন্তু এটাও মাথায় রাখতে হবে, ৫ লক্ষ করুনা কিন্তু রোজ রোজ মাটিতে পড়ে থাকতে দেখা যায় না। যদি কেউ আমাকে এমন অর্থ দেয়, আমি যাকে-তাকে নিয়ে নিতে পারি। মার্টিন বলেছিল, ও ফুটবল খেলতে চায়। তারপর ওর বাবা ফোন করে। ব্যাপারটা তখন থেকে এগোতে শুরু করে। ঘরের মাঠে ওকে খেলতে দেখে নিয়েছে সমর্থকরা।’
মার্টিনের সই নিয়ে যতই হইচই হোক, একদল সমর্থক, যাঁরা ক্লাবের হালহকিকতের খোঁজ রাখেন, তাঁরা জানেন আর্থিক ভাবে ভালো জায়গায় নেই এফকে উস্তি নাদ লাবেম। মার্টিনকে নেওয়ায় আর্থিক সঙ্কট খানিকটা হলেও কাটাতে পেরেছে ক্লাব।