
কলকাতায় ফুটবল ঈশ্বরের ‘বরপুত্র’। সকাল থেকেই স্বাভাবিক ছন্দে ঘটছিল সবটা। কিন্তু তাল কাটল মেসির যুবভারতীতে ঢোকার পরই। দর্শকদের অভিযোগ, তাঁরা মেসিকে দেখতেও পাননি। মেসিকে প্রায় ৭০-৮০ জন ঘিরে ছিল। যার মধ্যে ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসও। আর এই সবের পরই দর্শকরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে দেখে মেসিকে স্টেডিয়াম থেকে বের করে দেন উদ্যোক্তারা। যদিও এতেই যেন ক্ষোভের আগুনে ঘি পড়ে। ফুঁসে ওঠেন হাজার হাজার টাকা খরচ করে মেসিকে দেখতে আসা সাধারণ মানুষ।
প্রথমে শুরু হয় জলের বোতল ছোড়া। তারপর স্টেডিয়ামের বাকেট সিট ভেঙে সেগুলোকে ছুঁড়তে শুরু করেন সাধারণ দর্শকরা। আর তারপরই স্টেডিয়ামের ফেন্সিং টপকে, গেট ভেঙে মাঠে ঢুকে পড়ে উন্মত্ত জনতা। ভেঙে ফেলা হয় গোলপোস্ট। আর এই বেনজির দৃশ্যে মাথা হেঁট হল আমাদের কল্লোলিনী তিলোত্তমারই।
এখানেই ক্ষান্ত থাকেননি কলকাতায় মেসিকে দেখতে আসা দর্শকরা। তাঁরা মায়ের ভিতর একাধিক জায়গা নষ্ট করেন। ভাঙা হয় ড্রেসিংরুম সংলগ্ন এলাকাও। আর এরপরই দেখা যায় স্টেডিয়ামের ভিতর থেকে ধোঁয়া উড়তে। স্টেডিয়ামের ভিতর একাধিক জায়গায় ছিল সোফা ও চেয়ার। আর সেখানেই আগুন লাগিয়ে দেয় দর্শকরা। মাঠ থেকে উন্মত্ত দর্শকদের বের করে দেওয়ার পর সেই আগুন নেভানোর চেষ্টা করে পুলিশ। দেখা যায় জলের বোতল দিয়ে সেই আগুন নেভানোর চেষ্টা করতে। তারপর ধীরে ধীরে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা হয় সেই আগুনকে।