
কলকাতা, মেসি ও প্রাইম টাইমের বার্সেলোনা। কী! মিলছে না তো? মিল আপাতত একটাই, তিকিতাকা। ঠিক যে ফুটবল খেলে ২০০৮ ও ২০১২ সালের ইউরো কাপ এবং ২০১০ সালের বিশ্বকাপ জিতেছিল ভিসেন্তে দেল বস্কের স্পেন। যে ফুটবলের স্টাইলে পরপর লা লিগা, কোপা দেল রে ও উয়েফা চ্যাম্পিয়স লিগ জিতেছিল সেই প্রাইম টাইমের বার্সেলোনা।
মনে আছে, মাঝমাঠে পাসের জাল বুনতেন ‘মেজর’ ইনিয়েস্তা, ‘লেফট্যানেন্ট’ জাভি ও ‘কর্নেল’ জাবি আলন্সো। যোগ্য সঙ্গত দিতেন পেদ্রো আর বুস্কেতস। কখনও সামনে দাভিদ ভিয়া। আর সেই পাশের জালে হারিয়ে যেত বিপক্ষ ফুটবলাররা। এই সেই তিকিতাকা ফুটবল। আর এবার সেই তিকিতাকাকে সঙ্গে নিয়েই কলকাতায় আসছেন আর্জেন্টাইন সুপারস্টার।
জানা গিয়েছে, ১৩ ডিসেম্বর বেলায় যুবভারতীতে মোহনবাগান ‘মেসি’ অল স্টার বনাম ডায়মন্ড হারবার ‘মেসি’ অল স্টার ম্যাচের পর খুদে ফুটবলারদের সঙ্গে একটি ফুটবল ক্লিনিকে অংশ নেবেন এলএম টেন। আর সেই ক্লিনিকেই তিকিতাকা ড্রিল করাবেন তিনি। তবে এই ক্লিনিকে মেসি একা নন, থাকবেন প্রাইম টাইমের বার্সেলোনার আরও এক সদস্য, লুই সুয়ারেজও। এ ছাড়াও থাকবেন বিশ্বকাপ জয়ী আর্জেন্টিনা ফুটবল দলের তারকা রদ্রিগো ডি’পল। জানা গিয়েছে মেসির এই ছোট্ট যে ক্লিনিক হবে, সেখানে থাকবে সুন্দরবন ও রিষড়ার ২০ জন খুদে ফুটবলার।
জানা গিয়েছে মেসি ভার্চুয়ালি লেকটাউনে তাঁর যে মূর্তি, সেই মূর্তির উদ্বোধন করবেন। এ ছাড়াও যুবভারতীতে তাঁকে সংবর্ধনাও জানানো হবে। এ ছাড়াও সব শেষে যুবভারতীতে মাঠও প্রদক্ষিণ করবেন মেসি। আর তারপরই দুপুরে হায়দরাবাদের উদ্দেশ্য রওনা দেবেন তিনি।