
লন্ডন: আর্জেন্টিনার সুপারস্টার লিওলেন মেসি। স্প্য়ানিশ ক্লাব বার্সেলোনার হয়েই ক্লাব ফুটবলের আঙিনায় আবির্ভাব হয়েছিল লিওনেল মেসি। ২০০৪ সালের অক্টোবরে লা লিগার ম্যাচে পরিবর্ত হিসাবে প্রথম বার নেমেছিলেন মেসি। তখন তাঁর বয়স ছিল মাত্র ১৭ বছর ৩ মাস। আর্জেন্টিনার হয়ে আন্তর্জাতিক ম্যাচে মেসিকে প্রথম বার দেখা গিয়েছিল হাঙ্গেরির বিরুদ্ধে বন্ধুত্বপূর্ণ ম্যাচে। তখন তাঁর বয়স ছিল ১৮ বছর।
আবির্ভাবের পরেই ২০০৫ সালে ইউরোপের সেরা যুব ফুটবলার হিসাবে গোল্ডেন বয় পুরস্কারের জন্য মনোনীত হন। ২০০৬ সালের বিশ্বকাপ মেসির জীবনের প্রথম বিশ্বকাপ। আর্জেন্টিনার সর্বকনিষ্ঠ হিসাবে সে বছর বিশ্বকাপ খেলেছিলেন মেসি। সার্বিয়া ও মন্টিনেগ্রোর বিরুদ্ধে ম্যাচের ৭৪ মিনিটে পরিবর্ত হিসাবে মাঠে নামেন তিনি। যদি কোয়ার্টার ফাইনালে জার্মানির কাছে হেরে সেই বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিয়েছিল আর্জেন্টিনা।
২০০৭ সালে রিয়াল মাদ্রিদের বিরুদ্ধে ম্যাচে বার্সার হয়ে প্রথম বার হ্যাটট্রিক করেন মেসি। সেটিই ছিল ক্লাব ফুটবলে তাঁর প্রথম হ্যাটট্রিক। ২০০৮ সালের অলিম্পিকের ফাইনালে উঠেছিল আর্জেন্টিনা। বেজিং অলিম্পিকে সোনা জেতেন মেসিরা। বার্সার হয়ে ২০০৬ সালেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের স্বাদ পেয়েছিলেন মেসি। কিন্তু ২০০৯ সালের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের সময় মেসি আরও পরিণত। সেই লিগের সর্বোচ্চ গোলও করেছিলেন তিনি। ২০০৬ সালের মতো ২০১০ সালেও জার্মানির কাছে হেরেই বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিতে হয়েছিল আর্জেন্টিনা। মারাদোনা সে সময় আর্জেন্টিনা দলের কোচ ছিলেন। কিন্তু বিশ্বকাপের ব্যর্থ হতেই সমালোচনায় বিদ্ধ হন মেসি। দলের থেকে ক্লাব তাঁর কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এই অভিযোগও ওঠে।
২০১১ সালে আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের অধিনায়ক হন মেসি। ২০১২ সালে বার্সার হয়ে সর্বোচ্চ গোল করার রেকর্ড যায় মেসির দখলে। এর আগে সিজার রডরিগেজের দখলে ছিল সেই রেকর্ড। সেই রেকর্ডই ভাঙেন মেসি। ২০১৪ সালের বিশ্বকাপে মেসির নেতৃত্বে সাড়া জাগিয়েছিল আর্জেন্টিনা। ব্রাজিলে আয়োজিত সেই বিশ্বকাপের ফাইনালে পৌঁছেছিলেন মেসিরা। কিন্তু ফাইনালে তাঁরা হেরে যান সেই জার্মানির কাছে। মারিও গোটজের গোলে হারতে মেসিদের। সেই স্বপ্ন ভঙ্গ যন্ত্রণা অনেক দিন কাঁদিয়ে ছিল বলে নিজেরই জানিয়েছিলেন মেসি।
২০১৬ সালের কোপা আমেরিকায় হেরে আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসর ঘোষণা করেন মেসি। তবে কিছু দিন পরেই নিজের অবসরের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন তিনি। ২০১৯ সালে ষষ্ঠ বারের জন্য ব্যালন ডিঅর জিতে রেকর্ড গড়েন মেসি।